গ্রামের বেহাল রাস্তার প্রতিবাদ জানিয়ে কাদামটির মধ্যে ধানের চারা লাগিয়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সামিল হলেন শতাধিক মহিলা। ঘটনাটি ঘটেছে মালদার বামনগোলা থানার মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের ফরিদপুর এলাকায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এই গ্রামের প্রায় দুই কিলোমিটার কাদা মাটির রাস্তার বেহাল অবস্থা। এই গ্রামে একটি মাত্র রাস্তা। আর এই রাস্তার ওপর নির্ভর হয় শতাধিক মানুষকে। এই এলাকায় প্রায় দু'শো পরিবারের বসবাস। অথচ এখানকার রাস্তার বেহাল দশা।
বিষয়টি একাধিকবার স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনকে জানানো হলেও প্রয়োজনীয় কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। তাই বাধ্য হয়েই গ্রামের মহিলারা কাদামাটির রাস্তায় ধানের চারা লাগিয়ে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন। এমনকী দ্রুত রাস্তা সংস্কার না করা হলে আগামী দিনে এলাকায় ভোট বয়কটের হুমকি দিয়েছেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা।
বিক্ষোভকারী গ্রামবাসী অনিতা সরকার, মিনতি মার্ডিদের অভিযোগ, এই একটিমাত্র রাস্তা অল্প বৃষ্টিতে হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে পড়ে। যার ফলে স্কুল কলেজ থেকে শুরু করে অফিস, বাজার-হাটে যাতায়াত ঠিকমতো করতে পারেন না ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ। এই এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ টি টোটো রয়েছে। তাদেরও ইনকামের পথ বন্ধ হয়ে পড়েছে। কাদা মাটি রাস্তার জন্য গত দুই মাস ধরে এলাকার টোটোগুলি বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে।
আরও পড়ুন- West Bengal news Live Updates:হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি, মর্মান্তিক মৃত্যুতে শোকে পাথর গোটা এলাকা
রাতে বা দিনে কোনও সময় মুমূর্ষ রোগী ও গর্ভবতী মহিলাদের হসপতালে নিয়ে যেতে গেলে কোলাপাঁজা করে দুই কিলোমিটার রাস্তা হাঁটতে হয়। কারণ বেহাল রাস্তার কারণে গ্রামে অ্যাম্বুলেন্স ঢোকে না। এই সব সমস্যার প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন। এদিকে মদনাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের স্থানীয় এলাকার তৃণমূল দলের সদস্যা জয়ন্তী মুর্মু বলেন, "আমি নিজে বহুবার জানিয়েছি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনকে। কিন্তু কোনও সঠিক উত্তর পাইনি। রাস্তা হবে এই প্রতিশ্রুতি শুধু দেওয়া হয়। তবে এবারে এই রাস্তার সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে।"
আরও পড়ুন- Adhir Chowdhury:'২১ জুলাই কোটি কোটি টাকা খরচে শক্তি প্রদর্শন দিবস তৃণমূলের', বেনজির কটাক্ষ অধীরের
তৃণমূল পরিচালিত মালদা জেলা পরিষদের সংশ্লিষ্ট এলাকার সদস্য পূর্ণিমা বারুই দাস বলেন, "ফরিদপুর এলাকার কাঁচামাটি রাস্তা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গ্রামবাসীদের একটা দাবি উঠে আসছে। ওই রাস্তাটি নতুনভাবে কংক্রিটের ঢালাই দিয়ে তৈরি করার জন্য একটি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বর্ষার মরশুমে জন্য কাজ শুরু করা যায়নি। তবে পুজোর মরশুমে আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু করে দেওয়া হবে।"