Kolkata transgender workshop:পথ চলতে গিয়ে জীবনের নানা সময়ে একাধিক কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয় রূপান্তরকামীদের একটি বড় অংশকে। মানবসভ্যতা উন্নয়নের শিখর ছুঁলেও এখনও একরাশ আলোর নিচে খানিকটা যেন অন্ধকারেই থাকতে হয় রূপান্তরকামীদের একাংশকে। আজকের দুনিয়ায় কেমন আছেন রূপান্তরকামীরা? কলকাতায় রূপান্তরকামীদের নিয়ে মত বিনিময়ের বিশেষ একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে দারুণ সাড়াও মিলেছিল।
ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অধিকারভিত্তিক চিকিৎসা শুধু নৈতিক দায় নয় — এটি মানবিকতার প্রকৃত পরীক্ষা। পরিবারে গ্রহণযোগ্যতার অভাবে, প্রায় ৬৭% ট্রান্সজেন্ডার বা রূপান্তরকামী ব্যক্তি আত্মপরিচয় প্রকাশের পরও পরিবারে থাকলেও প্রকৃত মানসিক সমর্থন পায় না। বহুজন স্কুলের গণ্ডি অবধি পার হতে পারে না, সমাজের অবজ্ঞা এবং পরিবারের প্রত্যাখ্যানের কারণে উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়।
পরিবারের অবহেলা ও সমাজের বৈষম্য ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিদের মধ্যে ডিপ্রেশন, আত্মহত্যার প্রবণতা এবং অন্যান্য মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাকে তীব্রতর করে তোলে। ভারতে প্রায় ৫০% ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তি জীবনের কোনো এক সময়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং আমাদের মানবিক ব্যর্থতার প্রমাণ।
আরও পড়ুন- railways fare hike: ভাড়া বাড়াল রেল! AC-স্লিপার ক্লাসে চড়লে বাড়তি কত খসবে গ্যাঁটের কড়ি?
সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার, আইওপি-এর মানসিক-সামাজিক কর্ম বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের উদ্যোগে রূপান্তরকামীদের সম্পর্কে বিশেষ একটি সচেতনতামূলক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। এই শিবিরের মূল লক্ষ্যই ছিল সমাজে প্রত্যেকে যাতে নিজের পরিচয় নিয়ে গর্বের সঙ্গে বাঁচতে পারে এবং যেখানে সম্মান ও মানবিক মর্যাদা সকলের জন্য নিশ্চিত হয়, সেব্যাপারে সচেতনা বাড়ানো।
আরও পড়ুন- West Bengal News Live Updates:কসবা-কাণ্ডের ৬ দিনের মাথায় বড় পদক্ষেপ, মনোজিৎকে চাকরি থেকে বরখাস্তের নির্দেশ
পশ্চিমবঙ্গের সব জেলা থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, নিরাপত্তা কর্মী, বিভাগের প্রধান, মেডিক্যাল সুপারিনটেন্ডেন্টরাও উপস্থিত ছিলেন এই কর্মশালায়। রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ ইনস্টিটিউটের অধিকর্তা, আইওপি-র অধিকর্তা, জনস্বাস্থ্য উপদেষ্টা, সহকারী স্বাস্থ্য অধিকর্তা (মানসিক স্বাস্থ্য), পশ্চিমবঙ্গ সরকার — উপস্থিত ছিলেন এই অনুষ্ঠানে। এছাড়াও NIMHANS-এর অধ্যাপক, TISS-এর সহকারী অধ্যাপক, IBHAS দিল্লির অতিরিক্ত অধ্যাপক, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, প্লাস্টিক সার্জন এবং ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন।