Yellow-bellied sea snake: বিষাক্ত 'ইয়েলো বেলি' সাপ এর আগেও বাংলার একাধিক সমুদ্রতটে দেখা গিয়েছে। এবার বিষধর এই সাপের হদিশ বাংলার আরও এক সমুদ্রতটে। বছরভর এখানে পর্যটকদের আনাগোনা লেগেই থাকে। স্বাভাবিকভাবেই এই সাগরতটে এবার এই ধরনের সাপের দেখা মেলায় আতঙ্ক বেড়েছে।
এর আগে দিঘা (Digha), বকখালির সমুদ্র উপকূলে 'ইয়েলো বেলি' (Yellow-bellied sea snake) সাপের দেখা মিলেছিল। এই সাপের বৈজ্ঞানিক নাম পেলামিস প্ল্যাটুরাস। এবার মৌসুনি দ্বীপে (Mousuni Island) সমুদ্র সৈকতে দেখা গিয়েছে 'ইয়েলো বেলি' সাপ। যা ঘিরে সাগরঘেরা এই দ্বীপাঞ্চলে তুমুল আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মৌসুমী দ্বীপে মোটামুটি বছরের অধিকাংশ সময় পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকে। এখানকার সাগর পাড়ে একাধিক ক্যাম্প, মাড হাউজে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে।
কোলাহল এড়িয়ে নিরিবিলি-নির্জনে যারা কাটাতে চান দিন কয়েক, মূলত তারাই ছুটে যান বঙ্গোপসাগরের এই দ্বীপে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মধ্যে পড়ে এই অঞ্চল। এবার এখানেও 'ইয়েলো বেলি' সাপের দেখা মেলায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। মৌসুনীর বটতলা নদীর চরে সাপটিকে দেখতে পায় স্থানীয়রা। এলাকার কয়েকজন যুবক বটতলা নদীর চরে ফুটবল খেলার সময় সাপটি দেখতে পায় এবং মোবাইলে ছবি ও তোলা হয় সাপটির। স্থানীয়দের দাবি, এই সাপটি এর আগে কখনও দেখা যায়নি মৌসুনী দ্বীপে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় মানুষ জন থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন- Bengal Weather:: ফের কাঁপানো বৃষ্টির তুফানি পূর্বাভাস! কোন কোন জেলায় জোরালো দুর্যোগ? চলবে কতদিন?
আরও পড়ুন- Manik Bhattacharya: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, জামিন পেলেন মানিক ভট্টাচার্য
আরও পড়ুন- Eastern Rail: অভাবনীয় তৎপরতা রেলের! যাত্রী স্বার্থে এমন তাকলাগানো উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা!
আবির মণ্ডল নামে স্থানীয় এক কিশোর বলেন, "আমরা এর আগে কখনও এই সাপ দেখিনি। টিভিতে দেখেছিলাম, দিঘা-বকখালিতে এর আগে এই সাপটি দেখতে পাওয়া যায়। তবে আমাদের এখানে এই প্রথম এই সাপ দেখা গেল। একটু তো ভয় লাগছে।" আনসার আলি নামে স্থানীয় এক মৎস্যজীবী বলেন, "নদীতে জাল ফেলতে গিয়ে এটা দেখতে পাই। এই সাপ এখানে আগে দেখিনি। বকখালিতে এই সাপ দেখা গিয়েছিল। মৌসমুনী দ্বীপে নতুন আতঙ্ক ছড়াল। এলাকাবাসীকে সাপটা দেখানো হয়েছে।"
আরও পড়ুন- Rg kar financial irregularities: আরজি কর দুর্নীতির দুরন্ত তদন্তে ED! 'মাস্টারলিড'-এর আশায় কলকাতায় ত্রিফলা হানা