গাড়ি থেকে নামিয়েই দড়ি বেঁধে হিড় হিড় করে টান! ED অফিসের বাইরে হইচই!
ED: মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে। স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান অনেকেই। ইডি দফতরের বাইরে পাহারারত সশস্ত্র জওয়ানরাও এগিয়ে যান। চিল-চিৎকার-কান্নায় ফেটে পড়ে চারিদিক।
ED: মঙ্গলবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে সল্টলেক সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে। স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে যান। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ব হয়ে যান অনেকেই। ইডি দফতরের বাইরে পাহারারত সশস্ত্র জওয়ানরাও এগিয়ে যান। চিল-চিৎকার-কান্নায় ফেটে পড়ে চারিদিক।
ED-CGO Complex: নিয়োগ দুর্নীতি মামলা থেকে শুরু করে খাদ্য দফতরের কেলেঙ্কারির তদন্ত করছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)। এরই মধ্যে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের (Shahajan Seikh) বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে বেদম মারধর চলেছে ইডি আধিকারিকের ওপর। এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে সর্বত্র চর্চা চলছে। এবার এক ভুয়ো ইডি অফিসারের হাত দড়ি দিয়ে বেঁধে একদল লোক সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়ার সময় বেধড়ক মারধর করা হয় ওই যুবককে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় সিজিও কমপ্লেক্স চত্বরে হাজির লোকজনও হকচকিয়ে যায়।
Advertisment
মঙ্গলবার দুপুরে হাতে দড়ি দিয়ে বাঁধা ও গলায় ঝোলানো ইডির ভুয়ো পরিচয় পত্র ঝোলানো অবস্থায় এক ব্যক্তিকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে বেশ কিছু উত্তেজিত মানুষ। তাঁদের অভিযোগ, নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে ওই ব্যক্তি তাদের পরিবারের মেয়ের সঙ্গে বিয়ে করার ফন্দি এঁটেছে।
এমনকী অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই পরিবারের থেকে টাকা নিয়েছে বলে দাবি করে অভিযোগকারীরা। ইডি অফিসের সামনেই অভিযুক্তকে বেধড়ক মারধর চলতে থাকে। অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে বলতে থাকেন এই পরিচয় পত্র যাঁরা ধরে নিয়ে এসেছে তাঁরাই ঝুলিয়ে দিয়েছে।
জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম প্রদীপ সাহা। তিনি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরের (Sonarpur) বাসিন্দা। অভিযোগ, বিরাটির বাসিন্দা একটি মেয়ের সঙ্গে তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) যোগাযোগ হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে পরিচিতি বাড়তে থাকে। অভিযুক্ত প্রদীপ সাহা নিজেকে ইডি অফিসার পরিচয় দিয়ে মেয়েটিকে বিয়ে করতে চায়। এমনকী মেয়েটির সঙ্গে বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু মেয়েটির পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হয় আদৌ ভাবী জামাই ইডি আধিকারিক কিনা।
গতকাল, সোমবার তাঁরা ইডি দফতরে প্রদীপ সাহা সম্বন্ধে খোঁজ নিতে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা জানতে পারেন ওই নামে কেউ ইডি অফিসে কাজ করেন না। এরপর এদিন প্রদীপ সাহাকে বেঁধে নিয়ে তারা উপস্থিত হয় ইডির অফিসে। ইডি অফিসের বাইরে অভিযুক্ত প্রদীপ সাহাকে মারতে থাকে তারা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠছে বুঝতে পেরে অভিযুক্তকে গাড়িতে করে নিয়ে বেরিয়ে যায় অভিযোগকারী পরিবার।