/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/02/assult-2025-09-02-17-49-54.jpg)
বাড়িতে দুষ্কৃতী হামলার পর আতঙ্কে যুবকের পরিবার।
শনি ঠাকুরের মন্দিরে জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করেছিল স্থানীয় এক যুবক। আর এই ঘটনার পর সশস্ত্র একদল দুষ্কৃতী ওই যুবকের বাড়িতে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দুষ্কৃতীদের হামলায় প্রতিবাদী যুবকের বাড়ির দুই মহিলা আক্রান্ত হন। পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয় দুটি মোটর বাইক এবং বাড়ির জানালা, দরজা। ওই দুই মহিলাকে পরে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর বিমল দাস কলোনি এলাকায়। এই হামলার ঘটনার পর ওই প্রতিবাদী যুবক প্রসেনজিৎ দে দাস হামলাকারীদের মোবাইলে ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে। এরপর পুরো ঘটনাটি নিয়ে পুরাতন মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
পুলিশকে অভিযোগে প্রতিবাদী যুবক প্রসেনজিৎ দে দাস বলেন, "আমি পেশায় একজন বেসরকারি সংস্থার কর্মী । বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এদিল হাতে অস্ত্র নিয়ে যেভাবে আমার বাড়িতে হামলা চালালো, তাতে আতঙ্কে আছি। আমি পালিয়ে না গেলে ওরা হয়তো আমাকে খুন করতো।"
তিনি আরও বলেন, "সেই সময় হামলাকারীরা আমার বৃদ্ধা মা ও স্ত্রীকে মারধর করে দুটি সোনার চেইন ছিনিয়ে নিয়েছে। বাধ্য হয়ে হামলাকারীদের ছবি আমি ছাদ থেকে মোবাইলে ভিডিও করি। প্রসেনজিৎবাবু আরও বলেন, গত শনিবার এলাকার শনি মন্দিরে বাৎসরিক পুজো ছিল। সেখানেই মন্দির চত্বরে বহিরাগত একদল যুবক জুয়ার আসর বসাতে চেয়েছিল। প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। আর তারপরেই এভাবেই সোমবার গভীর রাতে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা আমার বাড়িতে হামলা চালায়।"
আরও পড়ুন-Mahua Moitra:মহুয়ার মন্তব্যে চটে লাল মতুয়ারা! মমতাবালার নেতৃত্বাধীন সংগঠনেরই চরম বার্তা!
ওই যুবকের কথায়, "যদিও ওই দুষ্কৃতীদের আমি চিনতে পারি নি। তবে মোবাইলে যে ভিডিও তুলেছি, সেই ছবি দেখিয়েই পুরাতন মালদা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এই ঘটনার পর থেকে গোটা পরিবার আতঙ্কে রয়েছে।"
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এই এলাকায় জুয়া এবং বেআইনি মদের কারবার চলছে । পুলিশ কেও এব্যাপারে আগে জানানো হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ প্রয়োজনীয় কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। যার কারণে দুষ্কৃতীদের এত বাড়বাড়ন্ত হয়ে উঠেছে। এদিন জুয়ার ঠেকের প্রতিবাদ করাতে অন্যায় ভাবে প্রসেনজিতের বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুরাতন মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, মোবাইলে ছবির দেখেই হামলাকারিদের খোঁজ চালানো হচ্ছে।