বাবাকে দেখে অনুপ্রাণিত। মোনা তাই বেছে নিয়েছিলেন দেশ সেবার কাজ। সেনায় যোগ দিয়ে সেই স্বপ্ন সার্থক হল তরুণীর। এবার তিনি যে দায়িত্ব পেলেন তা দেশসেবার ন্যায় গর্ব করার মতো। ইসলামের পবিত্র ধর্মীয়স্থল মক্কায় নিরাপত্তার দায়িত্বে প্রথমবার মহিলা বাহিনীর সদস্য ছিলেন তিনি।
এপ্রিল থেকে একডজন মহিলা সেনা মক্কা-মদিনার নিরাপত্তার দায়িত্বে মোতায়েন করা হয়েছে। তীর্থযাত্রীদের নজরদারি-সহ ধর্মীয়স্থলের নিরাপত্তা এখন তাঁদের কাঁধে। ইসলামের জন্মস্থানে এই প্রথমবার হজযাত্রীদের পাহারা দিলেন মহিলা সেনানিরা। যা সৌদি আরবের বুকে ইতিহাস সৃষ্টি করল।
খাঁকি উর্দি, কোমর পর্যন্ত জ্যাকেট পরিহিত এবং ঢিলেঢালা প্যান্টে তাঁদের কাবা মসজিদের পাহারায় ছিলেন মহিলা জওয়ানরা। ইসলামের রীতি অনুযায়ী, মাথার চুল কালো কাপড়ে ঢাকা ছিল, তার উপর ছিল ক্যাপ। মুখে মাস্ক পরে মক্কা চত্বরে নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিলেন মোনা।
নিজের পরিবারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোনা জানিয়েছেন, আমার প্রয়াত বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করছি আমি। তাঁর যাত্রা সম্পূর্ণ করার স্বপ্ন পূরণ করতে ইসলামের পবিত্রতম স্থানে মহান মসজিদের পাহারায় আমি কর্তব্য পালন করছি। তীর্থযাত্রীদের সেবা করা অত্যন্ত মহান এবং গর্বের কাজ।
আরও পড়ুন ইদের ছুটিতে বাড়ি ফেরা হল না, ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল অন্তত ৩০ জনের
এসবই সম্ভব হয়েছে সৌদির বর্তমান ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমনের উদারনীতি এবং আর্থ-সামাজিক সংস্কারের পদক্ষেপে। গোঁড়ামি ছেড়ে মুসলিম রাজতন্ত্রের এই দেশে আধুনিকতার ছোঁয়া এখন। আরব বসন্তের মতো এখন সৌদিতে স্বাধীনতার হাওয়া।
তাঁর সংস্কারপন্থী পরিকল্পনার জেরে একাধিক পরিবর্তন এসেছে দেশে। ভিশন ২০৩০ অনুযায়ী, ক্রাউন প্রিন্সের নির্দেশে দেশে মহিলাদের গাড়ি চালানোতে নিষেধাজ্ঞা, অনুমতি ছাড়া সাবালিকা মহিলাদের ভ্রমণের সুযোগ, পারিবারিক বিষয়ে মহিলাদের নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন কান্দাহারে আফগান সেনা-তালিবান সংঘর্ষে নিহত ভারতীয় চিত্র সাংবাদিক
উল্লেখ্য, এবছরও অতিমারীর কারণে সৌদি প্রশাসন নিজের দেশের নাগরিকদেরই হজযাত্রার অনুমতি দিয়েছে। কয়েক লক্ষ বিদেশি তীর্থযাত্রীকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়নি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন