'পলাতক' প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে দেশে ফেরাতে দলের লিগাল সেলকে তৎপর হওয়ার নির্দেশ দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বর্তমানে ব্রিটেন নিবাসী শরিফের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে পাকিস্তানে। ব্রিটেনের সঙ্গে কূটনৈতিক স্তরে সম্পর্কের অবনতির জেরে আইনের সাহায্য ছাড়া শরিফকে দেশে ফেরানোর আর কোনও রাস্তা খোলা নেই বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি বিরোধীদের আক্রমণ সামলানোর জন্য একটি কমিটি গঠন করেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার পাক সংবাদমাধ্যম ডনের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেনার বিরুদ্ধে কুৎসা করার জন্য বিরোধীদের চেষ্টাকে বিফল করতে শাসকদল তেহরিক-ই-ইনসাফও কোমর বেঁধেছে।
এর আগেও একবার ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাকিস্তান মুসলিম লিগের (নওয়াজ) নেতাদের প্রত্যর্পণের জন্য আবেদন করেছিল পাক সরকার। নওয়াজ-সহ তাঁর দলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা চলছে পাকিস্তানে। সেই সূত্রেই মামলার নিষ্পত্তির জন্য এই আবেদন করেছিল ইমরান খান সরকার। প্রসঙ্গত, গত বছর নভেম্বর থেকে ব্রিটেনে থাকেন নওয়াজ। চিকিৎসা সূত্রে তাঁকে ব্রিটেনের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটেন থেকেই পাক সেনাকে নিশানা করে পাকিস্তানে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি করার চেষ্টা করছেন বলে নওয়াজের বিরুদ্ধে অভিযোগ।
আরও পড়ুন করোনার থাবা: হাসপাতালে ভর্তি হলেন ট্রাম্প, বাতিল নির্বাচনী প্রচার
ডন সূত্রে খবর, লন্ডন থেকে নওয়াজকে ফেরাতে কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইমরান খান। সেই বৈঠকেই নওয়াজ ফেরানোর জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলেছেন ইমরান। যেহেতু ব্রিটেনের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও প্রত্যর্পণ সমঝোতা নেই, তাই এই কাজে সমস্যার সম্মুখীন শাসকদল। এই কমিটিতে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি, আসাদ উমর, ফওয়াদ চৌধুরি, শফকত মাহমুদ এবং পারভেজ খাট্টাক। প্রধানমন্ত্রীর অভ্যন্তরীণ উপদেষ্টা শাহজাদ আকবর জানিয়েছেন, যে পাক সরকার ব্রিটিশ সরকারকে চিঠি লিখে সরকারিভাবে নওয়াজের প্রত্যর্পণের আর্জি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন “পুতিনই আমাকে খুনের চেষ্টা করেছে”, নাভালনির বিস্ফোরণে শোরগোল রাশিয়ায়
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ইসলামাবাদ হাইকোর্ট শরিফের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও হাজিরা না দেওয়ার অপরাধে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল তাঁকে। আদালতের আরও নির্দেশ, পাক সরকারের দায়িত্ব নওয়াজকে পাকিস্তানে ফেরত আনা। ২০১৭ সালে আদালতের নির্দেশে দুর্নীতির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রীর পদ হারান নওয়াজ শরিফ। ২০১৮ সালে নির্বাচনে জিতে পাকিস্তানের মসনদে বসেন ইমরান খান।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন