বিমানবন্দরে আরও আত্মঘাতী হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গিদের। যা ঠেকাতেই ড্রোন হামলা বলে দাবি মার্কিন সেনাবাহিনীর। আপাতত এই হামলা ঘিরেই সুর চড়াচ্ছে তালিবানরা। তাদের দাবি, মার্কিন ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকজন অসামরিক আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। কোনও কিছু বিপদ দেখলে আফগানিস্থানের বর্তমান প্রশাসকদের না জানিয়ে কেন মার্কিন বাহিনী ইচ্ছে মতো আঘাত হানছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে তালিবানরা। আপগানিস্তান ছাড়র আগে মার্কিন সেনার ভূমিকায় তালিবানরা যে একেবারেই খুশি নয় তা স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
চিনা সরকারি টেলিভিশন সিজিটিএন-কে লিখিত সাক্ষাৎকারে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছে, সর্বশেষ মার্কিন ড্রোন হামলায় আফগানিস্তানের সাত জন নাগরিকের প্রাণ গিয়েছে। বিদেশের মাটিতে মার্কিন সেনার পদক্ষেপকে 'বেআইনি' বলেও ব্যাখ্যা করেছেন এই তালিবান নেতা। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, "যদি আফগানিস্তানে কোনও ঝুঁকি থেকে থাকে তাহলে চা আগে তালিবানকে জানাতে হবে। তা না করে ইচ্ছে মতো আঘাত হানলে আসামরিক আফগান নাগরিকদের মৃত্যু হতে পারে।"
আরও পড়ুন- কাবুলের আকাশে ঘুরছে মার্কিন রকেট, ফের জঙ্গি ডেরায় প্রত্যাঘাত?
কাবুল বিমানবন্দরে শুক্রবার রাতের বিস্ফোরণের পর শনিবারের আফগানিস্তানে পাক সীমান্ত লাগোয়া নাঙ্গাহারে এয়ার স্ট্রাইক করে মার্কিন সেনা। পেন্টাগনের দাবি, এই হামলায় বিমানবন্দরে হামলার মূল চক্রী খতম হয়েছিল। এরপরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেনা ও এখনও সেদেশে আটকে থাকা আমেরিকার নাগরিকদের সতর্ক করেন। নির্দিষ্ট সময় অর্থাৎ ২৪ থেকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে আইএসআইএস জঙ্গিরা ফের কাবুলে বড়সড় হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করেন তিনি। যা তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মিলে যায়।
পেন্টাগনের দাবি, যে গাড়িকে লক্ষ্য করে ড্রোন হামলা হয়েছে সেখানে দ্বিতীয় বিষ্ফোরণেরও ইঙ্গিত মিলেছিল। গাড়ির মধ্যেই ছিল বিষ্ফোরক। নাশকতার জন্য মূলত মার্কিন সেনাকেই নিশানা করা হয়েছিল। যা ড্রোন হামলা করে রুখে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে এতে কোনও আসামরিক কোনও আফগান নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষ।
শুধু রবিবারেরই নয়, শনিবার নাঙ্গাহারে মার্কিন ড্রোন হামলারও প্রতিবাদ করেছেন তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ। ওই হামলায় আইএসআইএস খোরাসন গোষ্ঠীর দু'জনের মৃত্যুর খবর স্বীকার করেছেন তিনি। জানিয়েছেন, সেই আক্রমণে এক শিশু ও মহিলা জখম হয়েছেন।
আরও পড়ুন- ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক মসৃণ রাখতে আগ্রহী তালিবান
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন