West Bengal Lok Sabha Election 2019: বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডব নিয়ে বাংলায় চড়ল রাজনীতির পারদ। বিদ্যাসাগরের মূর্তি কে ভাঙল? এ নিয়েই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙল কে? জবাব দিন অমিত শাহ। তালা ভেঙে বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকেছেন ওঁরা। ঘর থেকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি এনে ভাঙা হয়েছে। নিলর্জ্জ ওঁরা। বাংলার সংস্কৃতি বোঝেন না ওঁরা। বাইরে থেকে লোক এনে বিভ্রান্তিমুলক কথা বলছেন। পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত করতে গিয়ে বিদ্যাসাগরের গায়ে হাত লাগালেন। ক্ষমতা এতটা দরকার, যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙবেন। আবার বলছেন, তৃণমূলের কাজ! বিদ্যাসাগরকে লাঞ্ছনা, অপমান, বাংলার সব মানুষকে অপমান’’। এর আগে অমিত শাহ অভিযোগ করেন, যে তৃণমূলের গুন্ডারাই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে।
লোকসভা নির্বাচনের আরও খবর পড়ুন, এখানে
এদিকে, রাজনৈতিক উত্তাপের আবহেই আজ বাংলায় ফের ভোটের প্রচারে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আজও নির্বাচনী সভায় গলা হাঁকাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সপ্তম দফার ভোটের আগে আবারও আজ মোদী বনাম মমতা বাগযুদ্ধের সাক্ষী হতে চলছে বঙ্গ রাজনীতি। রাজনীতির ময়দানে দুই প্রতিদ্বন্দ্বী এদিন একে অপরের বিরুদ্ধে নতুন করে কী আক্রমণ শানান, সেদিকেই নজর থাকবে রাজনীতির কারবারীদের। পাশাপাশি, আজ বাংলায় ভোটপ্রচারে আসছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
মঙ্গলবার কলকাতায় অমিত শাহর রোড শো ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে কলেজ স্ট্রিট চত্বরে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটে অমিত শাহের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন টিএমসিপি সমর্থকরা। পাল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে জড়ো হন এবিভিপি সমর্থকরা। রোড শো লক্ষ্য করে ইট-জলের বোতল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। অমিত শাহর গাড়ি যাওযার পরই ওই এলাকা আরও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। টিএমসিপি-বিজেপি সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকে তাণ্ডব চালানো হয়। কলেজে থাকা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙে দেওয়া হয়। কলেজের সামনে বাইকে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ বাহিনী। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথমে কলেজে যান শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। পরে বিদ্যাসাগর কলেজে যান স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে বিদ্যাসাগর কলেজকাণ্ডে ধৃত ১৬, এলাকায় পুলিশ পাহারা Read the full story in English
Live Blog
বিদ্যাসাগরের মূর্তি কে ভাঙল? এ নিয়েই শুরু হয়েছে শাসক-বিরোধী তরজা। লোকসভা নির্বাচনের সব খবরের আপডেট রইল এখানে, Follow the Updates here:
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে তিনি ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে বলেছিলেন “নীচ আদমি” (নীচ ব্যক্তি)। সেই মন্তব্যের জেরে কংগ্রেসের প্রধান সদস্যপদ থেকে বহিষ্কৃত হন দলের বর্ষীয়ান নেতা মণিশঙ্কর আয়ার। মঙ্গলবার তাঁর সেই মন্তব্যকে “ভবিষ্যদ্বাণী” আখ্যা দিলেন আয়ার। ‘রাইজিং কাশ্মীর’ পত্রিকার জন্য লেখা এবং ‘দ্য প্রিন্ট’-এ পুনঃ প্রকাশিত তাঁর একটি প্রতিবেদনে আয়ার বলেন, “মনে আছে, ৭ ডিসেম্বর ২০১৭-য় আমি তাঁকে কীভাবে বর্ণনা করেছিলাম? আমার কথাটা কি ভবিষ্যদ্বাণীর মতো শোনাচ্ছে না?” আয়ার এবার মোদীকে “সবচেয়ে অশ্লীলভাষী প্রধানমন্ত্রী” আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ২৩ মে তাঁকে “উৎখাত” করবে দেশের জনতা। জওহরলাল নেহরু এবং মোদীর শিক্ষাগত যোগ্যতার মধ্যে তুলনা করে আয়ার প্রধানমন্ত্রীর “স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতন অশিক্ষিত দাবি”-কেও আক্রমণ করেন, যার নেপথ্যে রয়েছে মোদীর সাম্প্রতিক মন্তব্য যে তিনি আকাশ মেঘলা থাকাকালীন ভারতীয় বায়ুসেনাকে বালাকোট বিমান হানার নির্দেশ দেন, যাতে ভারতীয় বিমান পাকিস্তানের র্যাডারে ধরা না পড়ে। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে মোদীকে ‘নীচ আদমি’ বলেছিলাম, ঠিকই বলেছিলাম, বললেন মণিশঙ্কর
বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডব নিয়ে বিজেপিকে পাল্টা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে পার্থ বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙল কে? জবাব দিন অমিত শাহ। তালা ভেঙে বিদ্যাসাগর কলেজে ঢুকেছেন ওঁরা। ঘর থেকে বিদ্যাসাগরের মূর্তি এনে ভাঙা হয়েছে। লজ্জায় কোথায় মুখ রাখব আমরা? নিলর্জ্জ ওঁরা। বাংলার সংস্কৃতি বোঝেন না ওঁরা। বাইরে থেকে লোক এনে বিভ্রান্তিমুলক কথা বলছেন। পূর্বপরিকল্পিত চক্রান্ত করতে গিয়ে বিদ্যাসাগরের গায়ে হাত লাগালেন। ক্ষমতা এতটা দরকার, যে বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙবেন। আবার বলছেন, তৃণমূলের কাজ! বিদ্যাসাগরকে লাঞ্ছনা, অপমান, বাংলার সব মানুষকে অপমান’’।
‘‘গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে তা দুঃখজনক’’, সাংবাদিক বৈঠকে মন্তব্য তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডবে বিজেপির নজরে প্রাক্তন ছাত্র অভিষেক মিশ্র। বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে রাহুল সিনহা বলেন, ‘‘গোলমালের ঘটনার সময় কলেজে ছিলেন প্রাক্তন ছাত্র অভিষেক মিশ্র। কেন গিয়েছিলেন ওই সময় কলেজে? গোটাটাই পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। সেজন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ ধিক্কার মিছিল করছেন’’। রাহুলের আরও অভিযোগ, ‘‘একটি মেয়ের আত্মহত্যার জন্য দায়ী অভিষেক। সেই অভিষেকই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক। সমাজবিরোধীদের জড়ো করে পরিকল্পিত ভাবে এটা করা হয়েছে। কারণ ওঁরা বুঝেছেন উত্তর কলকাতায় হারছেন, তাই এসব করছেন’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ‘সুপারইম্পোজড’ করার ঘটনায় তিনি একেবারেই দুঃখিত নন। এজন্য কোনওভাবেই ক্ষমা চাইবেন না, জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর সাফ জানিয়ে দিলেন হাওড়ার বিজেপি যুব মোর্চা নেত্রী প্রিয়াঙ্কা শর্মা। একইসঙ্গে মমতাকে নিশানা করে প্রিয়াঙ্কার হুঁশিয়ারি, ‘‘উনি তো প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে এতকিছু বলছেন, তাহলে তো ওঁকেও গ্রেফতার করা উচিত’’। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে ক্ষমা চাইব না, মমতাকেও গ্রেফতার করা উচিত: প্রিয়াঙ্কা শর্মা
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মীরাই, এমনই অভিযোগ করলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সভাপতি বলেন, ‘‘বিদ্যাসাগরের মূর্তি বিজেপি ভাঙেনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের কর্মীরাই মূর্তি ভেঙেছে। তৃণমূলের গুন্ডারাই মূর্তি ভেঙে এখন নাটক করছে’’। এ প্রসঙ্গে মোদী সেনাপতি আরও বলেন, ‘‘কলেজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কলেজের গেট বন্ধ ছিল। গেট ভাঙাও হয়নি, অক্ষত রয়েছে। আমরা তো বাইরে ছিলাম। তৃণমূলের লোকেরা ভিতরে ছিল। বিদ্যাসাগরের মূর্তি যে ঘরে ছিল, সেই ঘরও তো বন্ধ ছিল। তাহলে কে খুলল? কার কাছে চাবি আছে?’’ মমতাকে নিশানা করে শাহ বলেন, ‘‘ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির স্বার্থেই তৃণমূল বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে’’। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে মমতার লোকেরা বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে: অমিত শাহ
বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডবের প্রতিবাদে কলেজ স্কোয়ারে প্রতিবাদ মিছিলে শামিল বামেরা। মিছিলে সীতারাম ইয়েচুরি, বিমান বসুরা। এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিমান বসু বলেন, ‘‘এটা বাংলার কলঙ্ক, নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করা হোক। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক’’।
কলকাতায় ভোটের আগে অমিত শাহর-র রোড শোয় অশান্তি ঘিরে চড়ছে রাজনীতির পারদ। বিজেপি সভাপতির রোড শো ঘিরে মঙ্গলবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কলকাতার বইপাড়া। রাজনৈতিক সংঘর্ষের উত্তাপে ‘নজিরবিহীন’ ভাবে চুরমার করা হয়েছে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি। বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডবের প্রতিবাদে আজ পথে নামছে শাসক থেকে বিরোধী সব পক্ষই। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙার প্রতিবাদে বুধবার মিছিল করবে তৃণমূল। একথা মঙ্গলবারই ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার শাসকদলের পাশাপাশি এ ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে পথে নামছে কংগ্রেস ও বামেরাও। এদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। বিস্তারিত পড়ুন, এই প্রতিবেদনে বিদ্যাসাগর কলেজে তাণ্ডব, প্রতিবাদে পথে তৃণমূল-বাম-কংগ্রেস
মমতাদি হারবেন বলে ভয় পেয়েছেন। উনি গণতন্ত্র হত্যা করছেন। কাউকে প্রচার করতে দিচ্ছেন না। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোটের দাবি জানাচ্ছি কমিশনের কাছে: দেবেন্দ্র ফড়নবীশ