Piyush Pandey Death: ৭০-এ সব শেষ- প্রয়াত বিজ্ঞাপনের লেজেন্ড পিয়ূষ পাণ্ডে, শোকস্তব্ধ বিনোদুনিয়া থেকে রাজনৈতিকমহল

Advertising legend Piyush Pandey: শুক্রে শোকের ছায়া। ৭০ বছরে প্রয়াত বিজ্ঞাপন দুনিয়ার লেজেন্ড পিয়ূষ পাণ্ডে। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ-ও।

Advertising legend Piyush Pandey: শুক্রে শোকের ছায়া। ৭০ বছরে প্রয়াত বিজ্ঞাপন দুনিয়ার লেজেন্ড পিয়ূষ পাণ্ডে। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিনোদন জগৎ-ও।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
cats

৭০-এ সব শেষ

Piyush Pandey Passed Away: পিয়ূষ পাণ্ডে, যিনি ছিলেন বিজ্ঞাপন দুনিয়ার লেজেন্ড। তাঁর প্রতিভার বিচ্ছুরণ ঘটেছে একাধিক বিজ্ঞাপনের 'জিঙ্গল' যা যুগে যুগে সমাদৃত। বৃহস্পতিবার চিরঘুমের দেশে সেই প্রতিভা, প্রয়াত পিয়ূষ পাণ্ডে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তাঁর অনবদ্য সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে এশিয়ান পেইন্টসের 'হার ঘর কুছ কহতা হ্যায়' থেকে গুগল ইন্ডিয়ার 'রিইউনিয়ন'। এছাড়াও তৈরি করেছিলেন পন্ডসের 'গুগলি উগলি উশ', ভোডাফোনের জুজু ও পাগ মাসকট, এবং অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে তৈরি করা পোলিও সচেতনতা প্রচার 'দো বুন্দ জিন্দেগি কি'।

Advertisment

চার দশকেরও বেশি সময় ধরে পিয়ূষ পাণ্ডে ভারতকে একাধিক 'জিঙ্গল' উপহার দিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে শিকড়ের টান অনুভব করা যায়, অত্যন্ত সহজ ও চিরস্মরণীয়। ক্যাডবেরি ডেয়ারি মিল্কের 'কুছ খাস হ্যায়', ফেভিকলের 'ফেভিকল কা জোড়'-এ তাঁর কাজ বারবার প্রতিফলিত করেছে ভারতবাসীর দৈনন্দিন জীবনের হাস্যরস, উষ্ণতা ও বৈপরীত্যকে। অসাধারণ বুদ্ধিদীপ্ততা ও মানবিক ছোঁয়ায় ভারতীয় বিজ্ঞাপনকে বদলে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, ৭০ বছর বয়সে সংক্রমণের কারণে মৃত্যুবরণ করেছেন পিয়ূষ পাণ্ডে। 

তিনি প্রায়ই বলতেন, 'ভারতের হৃদস্পন্দন তার ছোট শহরগুলিতে বাজে' এবং তার কাজ সেই বিশ্বাসকেই প্রতিফলিত করেছে। তাঁর লেখা ও নিজের কণ্ঠে গাওয়া জাতীয় সংহতির গান 'মিলে সুর মেরা তুমহারা' আটের দশকের শেষের দিকে সাংস্কৃতিক জগৎ-এ মাইলফলক তৈরি করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারে তাঁর তৈরি স্লোগান  'অব কি বার, মোদি সরকার' রাজনৈতিক ইতিহাসে এক স্মরণীয় মুহূর্ত তৈরি করেছিল। 

Advertisment

আরও পড়ুন 'তুমি আমাকে ছেড়ে চলে গেলে...', গায়ক অভিনেতার অকাল প্রয়াণে কী প্রতিজ্ঞা করলেন স্ত্রী?

জয়পুরে জন্ম ও বেড়ে ওঠা পিয়ূষ পাণ্ডে প্রথমে ক্রিকেটার হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। রাজস্থানের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছিলেন। এরপর ১৯৮২ সালে যোগ দেন ওগিলভি-তে যা ভারতীয় বিজ্ঞাপনের ইতিহাসে এক মোড় ঘোরানো পর্ব। পরবর্তী চার দশকে তিনি শুধু বিজ্ঞাপনই তৈরি করেননি বরং সৃষ্টি করেছিলেন জনসংযোগের এক নতুন ভাষা। তিনি ২০১৬ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০২৪ সালে এলআইএ লিজেন্ড অ্যাওয়ার্ড পান।

আরও পড়ুন রামচরণ-উপসানার জীবনে জোড়া সুখ, যমজ সন্তানের বাবা-মা হচ্ছেন তারকা দম্পতি

কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পিয়ূষ গোয়েল তার মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে লিখেছেন, 'বিজ্ঞাপনের জগতে তিনি ছিলেন এক অনন্য প্রতিভা। তাঁর সৃজনশীল প্রতিভা গল্প বলার ধরনকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। আমাদের উপহার দিয়েছে অসংখ্য অমলিন গল্প। আমার কাছে তিনি ছিলেন এমন এক বন্ধু যাঁর উজ্জ্বলতা ফুটে উঠত আন্তরিকতা, উষ্ণতা ও রসিকতায়। তাঁর অনুপস্থিতি এক অপূরণীয় শূন্যতা সৃষ্টি করল। ওঁর পরিবার, বন্ধু ও অনুরাগীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাই।' শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন নির্মলা সীতারমন।

আরও পড়ুন বেবি বাম্পে হাত- কান পেতে হৃদস্পন্দন শোনা, মেটারনিটি ফটোশুটের অদেখা ছবিতে রাঘব-পরিনীতি

death news