আজ, শনিবার, ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচারস এবং কালচারাল কনফেডারেশের প্রথম বৈঠক। এদিন প্রধান অতিথি হিসাবে আসছেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ, থাকবেন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু আসছেন না লকেট চট্টাপাধ্যায়। রাজ্যে শক্তি বাড়তেই এবার বাংলা বিনোদন জগতেও প্রভাব বিস্তার করতে উদ্যোগী হবে পদ্ম ব্রিগেড, একথা বোঝাই যাচ্ছিল। একটি নয়, বিজেপি-সমর্থিত দু’টি সংগঠন একসঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। টলিপাড়ার সবচেয়ে বড় সংগঠন অর্থাৎ ‘ফেডারেশন অফ সিনে ওয়ার্কার্স অ্য়ান্ড টেকনিসিয়ান্স অফ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া'-য় তৃণমূলের প্রভাব থাকলেও টলি ও টেলিপাড়ায় শিল্পী-টেকনিসিয়ানদের বহু সমস্যার সমাধানসূত্র বিগত কয়েক বছরে করা যায় নি।
সম্প্রতি তা নিয়েই সরগরম টলিউড। টলিপাড়ার এমন একাধিক ইস্যু নিয়েই কাজ করতে চায় বিজেপি, এমনটাই আভাস মিলল ফ্যাশন ডিজাইনার তথা কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অগ্নিমিত্রা পালের কথায়। যদিও অগ্নিমিত্রার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "এটা বিজেপির অর্গানাইজেশন নয়। আমাদের যে গাইডলাইন ঠিক করা হয়েছে, সেখানে যিনিই সাহায্যের জন্য আসুন না কেন, ফিরে যাবেন না। তার জন্য কোনও রাজনৈতিক দলকে তোষণের প্রয়োজন হবে না। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সাড়া দিয়েছেন।"
আরও পড়ুন, ফেডারেশনের ‘জরুরি বৈঠক’-এর নেপথ্যে কি ‘একাধিপত্যের’ ক্ষমতা প্রদর্শন?
তবে তাঁর বক্তব্য, "এঁরা সবাই আমাকে এনডোর্স করছেন। আজকে চাইলে সিপিআইএমও তা করতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আমায় এনডোর্স করতে পারেন।"
তিনি এও বলেন, "এখানে হাজার হাজার মানুষ কাজ পাচ্ছেন না। কারণ তারা ইয়েস ম্যান নন। মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারছেন না। এই পরিস্থিতির একটা বিহিত প্রয়োজন। এক সপ্তাহ হলো শিল্পীদের বকেয়া পাওনা মিটেছে। এখনও টেকনিশিয়ানদের পারিশ্রমিকের কোন সুরাহা হয় নি। বিদেশে শুটিং করতে যাওয়ার বিষয়ে যে সমস্যাগুলো হয়, সেদিকেও নজর রয়েছে আমাদের।''
আরও পড়ুন, টলিউডে ‘সিন্ডিকেট’ ঠেকাতে দিল্লি-মুম্বাইতে অবস্থান, বিদেশের শুটিং নিয়ে হুঁশিয়ারি
অগ্নিমিত্রার আরও প্রশ্ন, "পেমেন্টের সমস্যা তো আজকের নয়। তাহলে এতদিন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নি কেন? এতদিন পর তৎপরতা কেন?" অতএব টলিউডের ক্ষমতা গ্রাসের লড়াইয়ে দাপট কমতে পারে তৃণমূলের। এই নতুন অর্গানাইজেশন তৈরির পদক্ষেপ ঘাসফুল শিবিরকে চাপে ফেলতে পারে বলেও মত বিনোদন জগতের একাংশের।