New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/05/lead-40.jpg)
শন বন্দ্য়োপাধ্যায়। ছবি সৌজন্য: ফেস
Bengali Television: বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীই একটানা বাংলা বলতে অক্ষম। অথচ একটা গোটা সাক্ষাৎকার পর্বে বাংলায় কথা বলতে শনের একটুও সমস্যা হয় না।
শন বন্দ্য়োপাধ্যায়। ছবি সৌজন্য: ফেস
Bengali Television: অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্য়ায়, যিনি 'আমি সিরাজের বেগম' ধারাবাহিক দিয়ে শুরু করলেন তাঁর টেলিভিশন কেরিয়ার, বাংলা জানতেন না একফোঁটাও। কারণ ছোটবেলা থেকেই তিনি বড় হয়েছেন নৈনিতালে। সেখানকার স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। বাংলা ভাষা তাঁর পাঠক্রমের মধ্য়ে ছিল না কোনওকালেই। কিন্তু বাংলার সঙ্গে তাঁর নাড়ির টান নিবিড়, বাংলা ছবির প্রতি তাঁর টানও। কারণ তিনি কিংবদন্তি অভিনেত্রী, সুপ্রিয়া দেবীর নাতি।
সম্প্রতি 'ফেস আনোখি'-র আনুষ্ঠানিক লঞ্চ-এ এসে অন্তরঙ্গ আলাপচারিতায় শন জানালেন তাঁর বাংলা শেখার কিছু কথা। শনকে এক ঝলক দেখে, তাঁর সঙ্গে কথা না বলে অনেকেরই মনে হতে পারে যে তিনি বাংলায় খুব একটা স্বচ্ছন্দ নন। ধারাবাহিকে তো স্ক্রিপ্ট পড়ে সংলাপ বলেন অভিনেতারা, বাস্তবেও কি তাই? যে দর্শকের মনে এই কৌতূহল রয়েছে, তাঁদের অবশ্যই জানানো উচিত যে শন ভারি সুন্দর এবং পরিশীলিত বাংলা বলেন। কলকাতায় বড় হয়েছেন এমন বহু অভিনেতা-অভিনেত্রীই একটানা বাংলা বলতে অক্ষম। এমনকী গোটা একটি বাক্য় বাংলা বলতে গিয়ে তাঁরা হোঁচট খেয়ে থাকেন। অথচ একটা গোটা বাক্য শুধু নয়, একটা গোটা সাক্ষাৎকার পর্বে বাংলায় কথা বলতে শনের একটুও সমস্যা হয় না।
আরও পড়ুন: ‘ডবল’ বউমাকে সামাল দেবেন রূপসা
কিন্তু অভিনেতা নিজের বাংলা নিয়ে একেবারেই খুশি নন। ''আমার বাংলাটা খুব খারাপ ছিল, এখনও খারাপ কিন্তু সিরাজ করতে গিয়ে অনেকটা বেটার হয়েছে'', বলেন শন। শন কলকাতায় এসে যখন কলেজে পড়ছেন, মডেলিং শুরু করেছেন, তখনও অনেকেই জানতেন না তাঁর পারিবারিক পরিচয়। তিনি যে সুপ্রিয়া দেবীর নাতি, সেটা অনেক পরে জেনেছে বাংলা বিনোদন জগৎ। তাঁর চেহারা এবং হিন্দি অ্য়াকসেন্ট যতটা ভাল, তেমনটা বাঙালি অভিনেতাদের মধ্য়ে বিরল। তাই বলিউডে বা হিন্দি টেলিভিশনে কেরিয়ার করতে চাওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। কিন্তু শন বাংলাতেই কাজ করতে চেয়েছেন আর তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন অনেক আগে থেকেই।
সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগেই বাংলা শিখতে শুরু করেছিলেন তিনি সেই কলেজজীবনেই। সব বাঙালির মতোই তাঁরও ভরসা ছিল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্য়াসাগরের 'বর্ণপরিচয়'। কিছু অর্বাচীন ঈশ্বরচন্দ্রের মূর্তি ভেঙে কিচ্ছু করতে যে পারবে না এ বাংলায়, তার একটি জলজ্যান্ত উদাহরণ। 'বর্ণপরিচয়' থেকে প্রাথমিক বাংলাটুকু শিখে, শন এর পরে সাহায্য় নেন ইউটিউব টিউটোরিয়ালের। এভাবেই বাংলাকে রপ্ত করেছেন তিনি। সেটা করেছিলেন বলেই অবশ্য সিরাজের মতো এত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রটি পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘সমাজ কী বলবে, সেই নিয়ে ভাবি না’: অর্পিতা
এই ধারাবাহিকটি অনেক ভ্য়ালু অ্য়াডিশন ঘটিয়েছে অভিনেতার জীবনে। বিশেষত, তাঁকে পর্দায় অভিনয়ের টেকনিক সম্পর্কে সচেতন করেছেন। ''দিদা আমাকে অনেক টিপস দিয়েছে, অনেক কিছু শিখিয়েছে ঠিকই কিন্তু কাজ করতে করতে আমি আরও অনেক কিছু শিখেছি'', জানালেন শন। দিদাকে অসম্ভব মিস করেন অভিনেতা। তাঁর প্রসঙ্গে কিছু বলার অনুরোধ করলেই বলেন, ''ঠিক কী বলব বলো তো, এত কিছু বলার আছে। খুব মিস করি, খারাপ লাগে যে যতটুকু অ্যাচিভমেন্ট আমার এখানে, দিদা সেটা দেখে যেতে পারল না।''