Advertisment

''মানুষ তো এখন শিখতে চায় না, তবে ব্যক্তিগতভাবে মনে করি শেখার কোনও শেষ নেই, বিশেষ করে ফিল্ম''

সামাজিক ইস্যুতে গোত্র কতটা প্রাসঙ্গিক, অভিনেতা, টলিউড , সিনেমা সবকিছু নিয়ে কথা বললেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী অনসূয়া মজুমদার। জানালেন পরিচালকদ্বয়ের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
anasuya

অনসূয়া মজুমদার। ফোটো- উইন্ডোজ

একমাত্র ছেলে অনির্বাণ বাইরে থাকে। গোবিন্দর পুজো, ঋতম, ঝুমা এদের নিয়ে দিব্যি বাস মুক্তি দেবীর। আরও একজন রয়েছে এই ছবিতে তিনি তারেক আলি। মুক্তি দেবীর রাগ তার উপর “বুড়ো ভাম জুটেছে”। কিন্তু স্বাধীনতা প্রিয়, মুক্ত মানসিকতা ও সংস্কৃতিসম্পন্ন এই মহিলাই প্রশ্ন তুলেছে ‘গোত্র’ কী? এই ভূমিকাতেই দেখা যাবে অভিনেত্রী অনসূয়া মজুমদারকে। ছবি মুক্তির আগে তিনি কথা বললেন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে।

Advertisment

কলকাতায় যেভাবে একের পর এক ঘটনা ঘটছে, বৃ্দ্ধদের জন্য এই শহর কতটা নিরাপদ বলে আপনি মনে করেন? আর এই ঘটনা পরম্পরায় গোত্র-র প্রাসঙ্গিকতা কতটা দেখতে পান?

দেখুন, কোনও সেভাবে বলতে গেলে কোনও শহরই নিরাপদ নয়। এই বয়সে মানুষ  ভীষণ দুর্বল, নির্ভরশীল হয়ে যান। ফলে দুর্বৃত্তরা সেই সুযোগটা নেওয়ার চেষ্টা করেন, যেটা ঘটেছে কিছুদিন আগেই। গোত্র-তেও মুক্তিদেবী একা থাকেন, সেখানে পরিস্থিতিটা দু-তিন রকমভাবে ভার্নারেবল। প্রথমত, প্রমোটার পরে রয়েছে কবে বাড়িটা নিয়ে পারবে, দ্বিতীয়ত, একাকীত্বে নিশ্চয় ভোগেন, ছেলে-বৌমা, নাতিকে মিস করে। এই নিরিখে গোত্র প্রসঙ্গিক। তাছাড়া নানা টুকরো টুকরো ঘটনায় গোত্র ভীষণভাবে প্রাসঙ্গিক আমি বলবো।

সম্প্রতি জোম্যাটোর ঘটনাটাও আমরা দেখলাম...

হ্যাঁ! এটা গোত্রতেও দেখানো হয়েছে তারেক আলির হাতে ভোগ নিচ্ছেনা খরাজ। শিবপ্রসাদ-নন্দিতার ছবি মানেই, হিটস অ্যা নেইল অন দ্যা হেড (হাসি)। সবসময়ই তাদের ছবিতে সামাজিক বার্তা থাকেই। তবে গোত্র, আমি বলবো কর্মাশিয়ার ছবি হয়েও এতটাই মৌলিক, যে তাতেও দর্শক খুব উৎসাহিত হবে। তার সঙ্গে সামাজিক বিষয়গুলো নিয়ে ভাববে।

আরও পড়ুন, আলিয়া ভাটের বাবার ভূমিকায় যিশু সেনগুপ্ত

আপনাকে প্রধান চরিত্রে পরিচালকদ্বস কাস্ট করেছেন, টলিউডের ছবির ধারা বদলাচ্ছে? 

বদল কিনা আমি জানিনা।শিবু-নন্দিতাই জানেন তারা আমায় কেন নিয়েছেন। নিশ্চয়ই কোথাও একটা ভরসা ছিল, 'মুখার্জিদার বউ'-য়ের পর। তাছাড়া এর আগেও তারা আমার নাটক দেখেছেন। তবে আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, খুব খুশি। তাদের সঙ্গে কাজ করেও খুব আনন্দ পেয়েছি, চিত্রনাট্য ও নিজেদের কাজ নিয়ে তারা এত কনভিডেন্ট, দর্শকের উপর তাদের আস্থা সবটা আমাকে মুগ্ধ করেছে।

gotro গোত্র ছবিতে মানালি ঘোষ এবং অনসূয়া মজুমদার। ফোটো- উইনডোজ

আরও পড়ুন, একটুও আতঙ্কিত নই, আমি অত্যন্ত বিরক্ত: বিশ্বজিৎ

নাইজেল-মানালি, তাদের সঙ্গে আপনার কাজ করার অভিজ্ঞতা...

মানালিকে তো আমি ছোটবেলা থেকে দেখছি। ভীষণ স্নেহ করি। এখানে প্রাণবন্ত একটা চরিত্র ও অসাধারণ করেছে। আর নাইজেলকে কী বলব, ও নিজেকে নিংড়ে দিয়েছে, এত ভাল লেগেছে কাজ করে। প্রত্যেকটা ফ্রেম, আমার সঙ্গে যে কটা সিন আছে, সবগুলো করার আগে বলতো, ''দিদি তুমি বলো আমি ঠিক করছি তো। আমায় দেখিয়ে দাও...'' আসলে এগুলো তো এখন আর দেখা যায়না। শেখার তো কোন শেষ নেই, বিশেষ করে সিনেমা। আমি ব্যক্তিগতভাবে এখনও ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল  ভাল করে বুঝতে পারিনা। এছাড়া...

হ্যাঁ বলুন...

সেখানে ও  শিখতে চায়, গড ব্লেস হিম। তাছাড়া বাকি যারা কাজ করেছেন প্রত্যেকে তাদের চরিত্রে মানানসই, ভীষণ ভাল- খরাজ বলো, সাহেব বলো, বিশ্বনাথ, বাদশা, অম্বরীশ, কাদের বাদ দেব। আমি প্রত্যেকের সঙ্গে কাজ করে অসম্ভব ভাল লেগেছে।

gotro টিম গোত্র।

আরও পড়ুন, বড়পর্দায় জুটি বাঁধছেন প্রসেনজিৎ-জয়া!

সামনে আপনার আর কী কী কাজ দর্শক দেখতে পাবে? 

শৈবাল মিত্রের 'দেবতার গ্রাস'-এ একটা ক্যামিও চরিত্র রয়েছে, এছাড়া আর কোনও কাজ নেই। নতুন নাটক করতে পারিনা, সময় পাই না। তাই নাটককে ঠকাতে পারবো না, তবে পুরনো থিয়েটারের কাজগুলো চলছে।

tollywood Shiboprosad Mukherjee Nandita Roy Bengali Cinema
Advertisment