Arjan Bajwa-Priyanka Chopra: ব্যক্তিগতজীবন ও কর্মজীবন ব্যালেন্স করে চলাই একজন পেশাদার অভিনেতার প্রকৃত গুণ। সম্প্রতি SCREEN-এর ‘Dear Me’ সিজন ২-এ উপস্থিত হয়েছিলেন অভিনেতা অর্জুন বাজওয়া। ২৫ বছরের অভিনয় কেরিয়ারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। এই সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, বাবার মৃত্যুর তিন মাস পরই তাঁকে মধুর ভান্ডারকরের 'ফ্যাশন' ছবির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই সময় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হলেও ধীরে ধীরে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অর্জুন।
অর্জুন বলেন, 'অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক একটি দুর্ঘটনায় আমি বাবাকে হারিয়েছিলাম। তখনও ঠিক বুঝতে পারছিলাম না আমি আদৌ মুম্বইয়ে ফিরে অভিনয়ে যোগ দিতে পারব কিনা। বেশ কিছুটা সময় বাড়িতে কাটানোর পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে আমি আবার মুম্বই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিই। যখন আমি দিল্লিতে ছিলাম তখন মধুর ভান্ডারকরের অফিস থেকে ফোন আসে। তাঁরা বলেন আমি যেন মুম্বই এসে তাঁদের সঙ্গে দেখা করি। ছবির দুই লেখক আমার বন্ধু ছিলেন আর মধুরজিও আমাকে আগে থেকেই চিনতেন। আমি তখন জানতাম এই ছবিতে প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও অভিনয় করছেন।'
তবে সেই সময় পিতৃবিয়োগের যন্ত্রণা সম্পূর্ণ কাটিয়ে উঠতে পারেননি অর্জুন। তিনি বলেন, 'ফ্যাশনের আগেই প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে আমার আলাপ। ছবির প্রথম মিটিং ছিল জুহুর এক হোটেলে। সেখানে পুরো টিমের জন্য ডিনারের আয়োজন করেছিলেন মধুর স্যার। প্রকাশ্যে হাসিমুখে সবটাই করেছিলাম কিন্তু মনে তখনও মনের ভিতর গভীর যন্ত্রণা। আমি যেন নিজস্ব একটা জগতে আটকে ছিলাম।'প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও ভাগ করে নেন অর্জুন।
আরও পড়ুন সন্তানের ডেবিউ মুভির আগেই অকাল মৃত্যু, জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পীর মর্মান্তিক পরিণতি
অভিনেতা বলেন, 'প্রিয়াঙ্কা একবার বলেছিলেন প্রথমে জানতেন না কে মানবের চরিত্রে অভিনয় করবে। আমি তখন ‘গুলাল’-এর জন্যও অডিশন দিয়েছিলাম। সেই ছবির একটি অডিশন ভিডিও অন্ধেরির একটি থিয়েটারের পার্কিং লটে ল্যাপটপে ওকে দেখানো হয়। পরে প্রিয়াঙ্কা এসে বলেছিলেন ভিডিওটা দেখে ও খুব ভাল লেগেছিল।' প্রিয়াঙ্কা একদিন শ্যুটিংয়ের ফাঁকে বাবাদের নিয়ে দুজনের মধ্যে অনেক গল্প হয়েছিল।
আরও পড়ুন কিয়ারার পর এবার মা হচ্ছেন পরিণীতি! কপিল শর্মার শোয়ে বড় ইঙ্গিত বেটারহাফ রাঘবের
স্মৃতিচারণ করে অর্জুন বলেন, 'প্রিয়াঙ্কার বাবা তখন ক্যানসারে আক্রান্ত আর আমার বাবা মাত্র কয়েক মাস আগেই মারা গিয়েছেন। আমরা দুজনেই শ্যুটিং সেটে একদিন গল্প করছিলাম আর সেখানেই একে অপরের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আমি বলেছিলাম কী ভাবে আমার বাবাকে হারিয়েছি আর প্রিয়াঙ্কা শেয়ার করছিলেন কীভাবে তাঁর বাবার অসুস্থতায় মানসিকভাবে বিধ্বস্ত ছিলেন। আমি ওঁর চোখেমুখে সেই চিন্তার ছাপটা বুঝতে পারছিলাম। প্রিয়াঙ্কার বাবা অশোকজিকে আমি চিনতাম। খুবই ভাল মানুষ ছিলেন। কিন্তু ভাগ্যের ওপর তো আর কারও হাত নেই'।
আরও পড়ুন মারাত্মক বিপদে 'পবিত্র রিস্তা' খ্যাত অঙ্কিতা! তড়িঘড়ি থানায় ছুটলেন অভিনেত্রী