Mehazabien Chowdhury-dhaka plane crash: ২১ জুলাই সপ্তাহের প্রথমদিন সোমবার প্রচণ্ড কর্মব্যস্ত দিনে বাংলাদেশে ঘটে যায় হাড়হিম করা এক মারাত্মক দুর্ঘটনা। কলকাতায় যখন তৃণমূলের শহীদ দিসব পলিত হচ্ছে তখন, ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার একটি বিমান।মুহূর্তে বদলে যায় ওপার বাংলার চিত্রটা। চারিদিক থেকে শুধু ভেসে আসছিল সন্তান হারানো বাবা-মায়েদের আর্তনাদ। তার মাঝেও রাস্তায় ভিড় করে ছবি তোলা-ভিডিও বানানোয় বিরাম নেই। ইমার্জেন্সিতে এভাবে রাস্তা আটকে রাখার জন্য বিমান দুর্ঘটনায় দগ্ধ ভাইকে ঠিক সময়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে না পারায় ১০ মিনিটের মধ্যে মারা যান।
'এনএসইউ ফ্যাকাল্টি কোর্স' নামক একটি ফেসবুক গ্রুপের তরফে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছে। যেখানে ওই ব্যক্তি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। একইসঙ্গে বলেছেন, তাঁর ভাইয়ের মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী তাঁরা যেন কঠোরতম শাস্তি পায়। এই পোস্টটি শেয়ার করে বাংলাদেশের অভিনেত্রী মেহজাবীনও দুঃখপ্রকাশ করেছেন।
মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে হতাশ হয়ে তিনি লিখছেন, 'আমরা কতটা অমানবিক হয়ে গিয়েছি! দেশে অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের জন্য কোনও আলাদা লেন নেই, সামান্য কিছু হলেই রাস্তাজুড়ে জ্যাম আর একটু বৃষ্টি হলেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট। যে সময়ে সকলের উচিত রাস্তা ফাঁকা করে দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সকে অগ্রাধিকার দেওয়া সেই সময় মানুষ ভিড় করে দাঁড়িয়ে থাকে কনটেন্ট বানানোর লোভে ভিডিও করার জন্য। এমন এক সমাজে আমরা বাস করছি যেখানে সাধারণ বুদ্ধির এতটাই অভাব যে বিপদের সময় সাহায্যের চেয়ে শোরগোলটাই বড় হয়ে দাঁড়ায়। কী ভাবে পারে এরা জলের দাম, গাড়ির ভাড়া সব কিছু এভাবে বাড়িয়ে দিতে? রাতে এরা ঘুমোয় কী ভাবে? আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেদের চোখে চোখ রাখতে পারে?'
আরও পড়ুন 'বুকের ভেতর ধরফর...', ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনার পর কেন তড়িঘড়ি হাসপাতালে পরি মণি?
সেদিনের ঘটনায় ভেঙে পড়েছিলেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। লাইভে এসে কান্না থামাতে পারেননি। যুদ্ধবিমান পরীক্ষা করার আগে কেন সব কিছু খতিয়ে দেখা হল না, মাঝপথে বিপদ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, কোন এলাকায় যুদ্ধবিমান পরীক্ষা করা উচিত সেগুলো কেন আগে পর্যালোচনা করা হল না, সেই বিষয়টিও লাাইভে তুলে ধরেছেন। অন্যদিকে ঢাকায় বিমান দুর্ঘটনার পর প্যানিক অ্যাটাক হয় পরি মণির। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
আরও পড়ুন ঢাকার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় সন্তানহারা বহু বাবা-মা, লাইভে বুকফাটা কান্না অভিনেত্রী তিশার
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই খবর নিজেই জানিয়েচেন অভিনেত্রী। তিনি লিখেছেন, 'আগুনের একটা ট্রমা আমার আছে ছোটোবেলা থেকে। সেটা যে এখনও এতো ভয়ংকর ভাবে আছে আগে বুঝতে পারিনি। গতকালের দুর্ঘটনায় ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর পোড়া শরীরের ছবি বা ভিডিও দেখে আমার খুব খারাপ ভাবে প্যানিক অ্যাটাক হয়! রাতে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। বুকের ভেতর শুধু ধরফর করে। আহারে এই শোক ওই মায়েরা কিভাবে সহ্য করবে আল্লাহ! আল্লাহ আল্লাহ...!'
আরও পড়ুন 'শ্বশুরের প্রশ্রয়ে রক্ষিতাকে নিয়ে...', স্বামীর খুল্লামখুল্লা পরকীয়া নিয়ে বিস্ফোরক বাঙালি অভিনেত্রী