Tasnuva Tisha Cried OnDhaka Plane Crash: সোমবার দুপুর, যখন খাস কলকাতায় ২১ জুলাই শহীদ দিবস পালিত হচ্ছে তখন ঢাকার উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপর ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার একটি বিমান। বাংলাদেশের 'আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর' জানিয়েছিল সোমবার রাত পর্যন্ত দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ২২, আহত প্রায় দেড়শোর বেশি। মঙ্গলবার সকাল ৮টা নাগাদ জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ও চিকিৎসক মহম্মদ সায়েদুর রহমান সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি জানান, মৃতের সংখ্যা ২৭। যার মধ্যে ২৫ জনই ১২ বছরের কম বয়সী শিশু। শোকবার্তায় ছেয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। এই ঘটনায় গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন ওপার বাংলার শিল্পীরা। মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে একপ্রকার শুটিং করতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। লাইভে এসে কান্না থামাতে পারলেন না অভিনেত্রী।
়
নিজের সন্তানদের নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন অভিনেত্রী। যে শিশুগুলো এই ঘটনার বলি তাদের জন্য কলিজা ফেটে যাচ্ছে তিশার। ওরা প্রত্যেকে তার সন্তানের মতো। তাই এই মর্মান্তিক ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না বাংলাদেশী অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। চোখের জল বাধ মানছে না। তার মাঝেই এক নিঃশ্বাসে তিশা বলে যাচ্ছেন, তিনি রাজনীতি বোঝেন না কিন্তু এই নিষ্পাপ শিশুগুলোর কোনও দোষ ছিল না সেটা বোঝেন। কেন তাদের সঙ্গে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটল বারবার প্রশ্ন তুলছেন অভিনেত্রী। সন্তানদের ঘরের বাইরে বের করতে, স্কুলে পাঠাতে বুক কাঁপছে। বাড়িতে বাচ্চাদের রেখে কাজে বেরনোর কথা ভাবলে হাত-পা কাঁপছে তিশার।
আরও পড়ুন পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, সাগরে তলিয়ে গেলেন গ্র্যামি জয়ী কিংবদন্তি অভিনেতা
বাবা-মায়েদের হাহাকার শুনে নিজেকে সামলাতে পারছেন না। যেন মনে হচ্ছে প্রতিটি সন্তান তাঁর নিজের। দেশের প্রশাসন ব্যবস্থান দিকে আঙুল তুলেছেন অভিনেত্রী। এত বড় ভুল কী ভাবে হয় সেটা প্রশ্নের উত্তর চাইছেন তিশা। যে বাবা-মায়েরা সন্তানের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন তাঁদের মনের অবস্থা উপলব্ধি করতে পারছেন। কারণ তিশাও একজন মা। মৃতের প্রকৃত সংখ্যা যেন সামনে আসে সেই আর্জি করেছেন অভিনেত্রী। সন্তানহারা বাবা-মায়েরা যেন শেষবারের মতো তাদের দেখতে পায়, অন্তত নিজের হাতে কবর দিতে পারেন!
আরও পড়ুন 'জীবন আর কখনও ...' , ২১ শে জুলাই শহীদ দিবসের পরই কেন হাহাকার সায়ন্তিকার?
যুদ্ধবিমান পরীক্ষা করার আগে কেন সব কিছু খতিয়ে দেখা হল না, মাঝপথে বিপদ কতটা ঝুঁকিপূর্ণ, কোন এলাকায় যুদ্ধবিমান পরীক্ষা করা উচিত সেগুলো কেন আগে পর্যালোচনা করা হল না, সেই বিষয়টিও লাাইভে তুলে ধরেছেন অভিনেত্রী। লাস্ট বাট নট ইন লিস্ট, তিশা ভেবেছিলেন মেয়েকে মাইলস্টোনে ভর্তি করাবেন। এখন সেটা চিন্তা করলে কলিজা কাঁপছে।
আরও পড়ুন 'এগুলো না করলে...', অভিনেত্রী হতে কী শর্ত? কেরিয়ারের শুরুতে ভয়ংকর অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন কল্কি