/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/14/sdfdsfwe-2025-10-14-16-20-23.jpg)
আমার স্ত্রী, সন্তান জানে আমি কতটা কর্তব্যপরায়ণ: কৌশিক
Kaushik Banerjee-Laboni Sarkar: প্রয়াত গায়ক শ্যামল মিত্রের মেয়ে মনোবীণা মিত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল অভিনেতা কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ভালবেসে বৈবাহিকবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু, তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় কৌশিক-মনোবীণার সাজানো সংসার। মানসিক অসুস্থতার কারণেই নাকি দীর্ঘদিন লোকচক্ষুর অন্তরালে মনোবীণা। বর্তমানে অভিনেত্রী-স্ত্রী লাবণী সরকার ও সন্তান নিয়ে সুখী দাম্পত্য কৌশিকের। আচমকা অতীত নিয়ে কাটাছেড়া। দীর্ঘ ২৫ বছর আগে কৌশিক-মনোবীণার সম্পর্কের ভাঙন আজ বিনোদনের চর্চিত টপিক। এই ঘটনায় সুখী সংসারে অশান্তির মেঘ ঘনিয়ে আসছে?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার এই প্রশ্নে কৌশিকের সপাট জবাব, 'এই ঘটনাটা তো গোপন করার মতো কোনও বিষয় নয়। আমার দিক থেকে আমি একদম একশো শতাংশ স্বচ্ছ। দীর্ঘ ২৫ বছর আগের একটা ঘটনা নিয়ে হঠাৎ কাটাছেঁড়া শুরু হয়েছে। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে এতগুলো বছর পর আমি মুখ খুলতে বাধ্য হলাম। আমি আমার দিক থেকে এতটাই স্বচ্ছ আর পরিস্কার যে কারও কাছে কোনও জবাবদিহি করার দায়বদ্ধতা ছিল না। কিন্তু, এবার মনে হল আমার আর চুপ থাকা উচিত নয়। আমি কর্তব্য পালন করেছি কিনা কিংবা ভবিষ্যৎ-এ করব কিনা সেটা সকলকে জানানো উচিত। নাহলে সমাজের কাছে আমার ইমেজ নষ্ট হচ্ছে, ভুল বার্তা যাচ্ছে। তাই নিজের বক্তব্য আমি স্পষ্ট করেছি।'
আরও পড়ুন সৃজিতের ছত্রছায়ায় শিকে ছিঁড়ল 'ফুলকি'-র, ধারাবাহিকে আর দেখা যাবে দিব্যাণীকে?
এই ঘটনায় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে? অভিনেতার সংযোজন, 'নিজের কাছে আমি সম্পূর্ণ সৎ। এরপর সমাজ আমাকে নিয়ে কী বলল বা কী ভাবল সেটা একদম পরোয়া করি না। এই ঘটনায় আমার পরিবার বিন্দুমাত্র ব্যথিত নয়। কোনওরকম আঘাত পায়নি। কারণ আমার স্ত্রী, সন্তান জানে আমি কতটা কর্তব্যপরায়ণ। যাঁর জন্য এই কর্তব্য করছি সেটা আমৃত্যু পালন করব এমনকী আমার অবর্তমানেও যাতে তাঁর কোনও সমস্যা না হয় সেই ব্যবস্থাও আমি করেছি। এরপর সমাজ যদি সমাজ আমাকে বাঁকা নজরে দেখে তাতে আমার এবং স্ত্রী-সন্তানের মনে কোনও নেচিবাচক প্রভাব বিস্তার করবে না।'
আরও পড়ুন টেলিভিশনের কাজ সরকারি চাকরির মতো, প্রতি মাসে পারিশ্রমিক পাই: শ্রুতি
আপত্তিকর মন্তব্য দেখে খারাপ লাগে? কৌশিকের উত্তর, 'যার যা ইচ্ছে বলতে পারে। কারণ কথা বলতে তো কোনও ট্যাক্স লাগে না। আর পশ্চিমবঙ্গের ১০ কোটি মানুষের মুখে তো আমি সেলোটেপ লাগাতে পারব না। আমার দিকে কোনও গলদ নেই, বরং এই ঘটনাটা আমার ও পরিবারের জন্য সাপে বর হয়েছে। এতদিন মুখ বুঝে ছিলাম। এবার সত্যিটা সকলের সামনে এল। আমাদের সম্পর্কের ভিত অত্যন্ত মজবুত। এই ঘটনায় দাম্পত্যে কোনও সমস্যা তৈরি হয়নি। কোনও মানসিক অশান্তি নেই। উলটে অনেকটা মানসিক শান্তি পেয়েছি। এতগুলো বছর পর প্রকাশ্যে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হল। সকলে জানল আমি কী করেছি এবং ভবিষ্যৎ-এ তাঁর জন্য কী পরিকল্পনা রয়েছে। আমার বক্তব্য সকলের কাছে পৌঁছেছে এটা আমার নৈতিক জয়।'
আরও পড়ুন 'যেমন প্রতিভাবান ঠিক তেমনই অমায়িক', অমিতাভের জন্মদিনে স্মৃতিমেদুর 'গৌরী' রচনা