/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/17/481167357_1188882539265569_1327855832669133077_n-2025-08-17-17-55-12.jpg)
১০৪ জ্বর থেকে উঠে আমি প্রোমো শুট করেছি: শ্রুতি
সিনেমা-সিরিজের পর ফের সিরিয়াল, নতুন কাজের প্রস্তাবটা কখন পেলেন?
লাভা-তে 'ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল'-এর শুটিং করতে যাওয়ার সময় প্রস্তাবটা পেয়েছি। এনজিপি-তে নেমে গাড়িতে উঠেছি তখন শিল্পীদি ফোন করে আমাকে বললেন সুশান্ত দার হাউজের একটা নতুন মেগার জন্য তোকে ভেবেছি। তখন ভেবেছিলাম 'ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল'-র সঙ্গে ডেট নিয়ে সমস্যা হতে পারে। তবে ভগবানের ইচ্ছেয় সেই সমস্যা হয়নি। ভগবানই হয়তো চেয়েছেন আমি মেগায় কাজ করি। আমার সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার পরই লুক সেট, প্রোমো সব হয়েছে।
বড় পর্দা, সিরিজে কাজ করার পর সিরিয়ালে ফেরাটা মনের ইচ্ছে নাকি অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছ্বল থাকতে?
বড় পর্দায় কাজটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। দুটো মুভি, একটা সিরিজ, একটা মাইক্রো সিরিজ। সব মিলিয়ে চারটে তুলনামূলক বড় কাজের পরও আমার মনে হয়েছে সিরিয়াল আমার শিকড়। সেটাকে অস্বীকার করা যায় না। আমি সবসময় মেগায় কাজ করতে চেয়েছি। সর্বোপরি এটা আমার বেঁচে থাকার রসদ। নির্দ্ধিয়ায় বলতে পারি টেলিভিশনের কাজ সরকারি চাকরির মতো। প্রতি মাসে আমরা পারিশ্রমিক পাই। সেটা আর্থিক দিক থেকে আমাদের জীবনকে অনেকটাই নিরাপত্তা দেয়। অর্থনৈতিক সচ্ছ্বলতাও বজায় থাকে।
এই ধারাবাহিকে রাজি হওয়ার নেপথ্য কারণ কী?
আমার কাছে এর আগে আটটি মেগার প্রস্তাব এসেছে। কিন্তু, সেই ধারাবাহিকের শুরুতে আমার কোনও চরিত্র ছিল না। দীর্ঘদিন চলছে সেখানে কিছু চরিত্রের জন্য প্রস্তাব এসেছিল। তাই বিশেষ আগ্রহ দেখাইনি। সেকেণ্ড লিড করার সুযোগ হয়ত ভবিষ্যৎ-এ আরও পাব। আমি এখন চাইছি নিজেকে ভেঙে চুরে আরও ভালভাবে দর্শকের সামনে মেলে ধরতে। এই ধারাবাহিকে আমার চরিত্রটাকে মনে হয়েছে ছকভাঙা একটা চরিত্র। তাই রাজি হয়েছি। ১০৪ জ্বর থেকে উঠে আমি প্রোমো শুট করেছি। অনেক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে যে কাজটা করেছি এবং যে ভাল প্রতিক্রিয়াগুলো পাচ্ছি সেটা আমার কাছে আশীর্বাদ। গ্রাম্য মেয়ে, বউ হিসেবেই তো এতদিন দর্শক দেখেছে। এইরকম একটা দাপুটে চরিত্রের প্রস্তাব সত্যিই আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। আমি এভাবেই ফিরতে চেয়েছিলাম।
মেগার মাঝে যদি কোনও বড় বা লোভনীয় কাজের প্রস্তাব আসে?
যদি বড় প্রজেক্টে কাজের সুযোগ আসে তাহলে চ্যানেল বা হাউজের কাছে একবার অনুরোধ করতে পারি। তবে আমি এটুকু জানি মেগার লিড চরিত্রে অভিনয় করলে লম্বা ছুটি পাওয়া সম্ভব হয় না। দুটো ছবিতেই তো আমি ক্যারেক্টার আর্টিস্ট, এবার যদি কোনও বড় পরিচালক আমাকে নিয়ে সিনেমা তৈরি করেন তখন আমি একবার চেষ্টা করব। চ্যানেল বা হাউজ যদি মনে করেন আমার কেরিয়ারের অগ্রগতির জন্য এই কাজটা দরকার তাহলে আমাকে নিশ্চয়ই অনুমতি দেবে। এটা আমার বিশ্বাস।
এখন অনেক সিরিয়াল অল্প সময়ে শেষ হয়ে যাচ্ছে, নিরাপত্তাহীনতায় ভোগেন?
আমি এখন আর ওটা নিয়ে ভাবি না। কারণ আমার একটা সিরিয়াল ন'মাসে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এখন তো দু'মাসেও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। সিরিয়ালের সাফল্য টিআরপি-র উপর নির্ভরশীল। আমরা ভাল কাজ করার চেষ্টাটুকু করে যাই। বাকিটা তো ভবিষ্যৎ। স্বর্ণ আমাকে একটা কথা বলে, রবি ওঝা স্যার বলেন সিরিয়ালের যখন গল্প লেখা হয় তখনই আয়ু নির্ধারণ হয়ে যায়। আমার নতুন ধারাবাহিকের গল্প যখন লেখা হয়েছে তখন তার আয়ুও নিশ্চয়ই নির্ধারণ হয়ে গিয়েছে। আমি চাই সৎ ভাবে মন দিয়ে কাজ করতে। ভাগ্য আমাকে যেদিকে নিয়ে যাবে সেদিকেই যাব।
দুই বোনের গল্পে ত্রিকোণ প্রেমের কাহিনি আছে?
এক নায়ক নিয়ে দুই নায়িকার টানাটানির কোনও গল্প নেই। গল্পের একটা সুন্দর বুনোন রয়েছে। বাহ্যিকভাবে মেয়েটিকে এত নেগেটিভ লাগলেও কেন এইরকম সেটাই গল্পের ইউএসপি। আর সেটা দর্শক আগ্রহের সঙ্গে দেখবে বলে আমি আশাবাদী।
গল্পের নায়ক কে?
গল্পের নায়ক আমি নিজেকেও বলতে পারি, আমার বোন আরাত্রিকাতেও বলতে পারি। আবার নায়ক কিন্তু, অভিষেকও। তিনজনই আমার নজরে এই মেগার নায়ক। তবে যদি পুরুষ চরিত্রকে বলতে হয় তাহলে তো এখনও পর্যন্ত অভিষেক-ই।
অনেকেই বলেন অকারণে সিরিয়ালে বেশি এপিসোড, এই বিষয়ে কী মত?
এটা নিয়ে আমার সত্যিই কিছু বলার নেই। আমি তো ক্যামেরার পিছনে কাজ করি না। ওঁরা আমাদের যেভাবে কাজ করাবেন আমরা তো সেভাবেই কাজ করব। তাই এই বিষয়টা একেবারেই ওঁদের উপর নির্ভরশীল।
আরও পড়ুন ব্যক্তিগতজীবন হোক বা কর্মজীবন কখনই কোনও কিছুর জন্য কম্প্রোমাইজ করিনি: শ্রুতি দাস