/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/12/cats-2025-08-12-13-28-31.jpg)
এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয়: তথাগত
Tathagata Mukherjee: শীর্ষ আদালতের নির্দেশ, দিল্লির রাস্তা থেকে সরিয়ে ফেলতে হবে পথকুকুর। তাদের উদ্ধার করে রাখা হবে নির্দিষ্ট আশ্রয়স্থলে। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়দানের পর উষ্মা প্রকাশ করেছেন পশুপ্রেমীরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় যখন এই বিষয় নিয়ে তরজা তুঙ্গে তখন এই ঘটনার নেপথ্যে রাজনীতির গন্ধ পেলেন বাংলার অভিনেতা-পরিচালক, সর্বোপরি পশুপ্রেমী তথাগত মুখোপাধ্যায়। পথকুকুরদের নিয়ে 'পারিয়া' ছবিটি পর্যন্ত বানিয়েছেন, আজ সুপ্রিম রায়ে ফুঁসে উঠলেন তথাগত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে এই বিষয়ে কী বললেন?
তথাগত বলেন, 'সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল ভারতবর্ষের কোনও এলাকার সারমেয় বা পথকুকুরদের রিলোকেট করা যাবে না। রাস্তায় ওদের খাওয়ানোর অনুমতিও দিয়েছিল। সেই সুপ্রিম কোর্টই এবার...!! এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয়। দিল্লির রাস্তায় কান পাতলেই বোঝা যাবে সেখানের কোন রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে কার ঝামেলার জেরে এই মারাত্মক ঘটনাটা ঘটল। এটা রাজনৈতিক ইগোর লড়াই। আর পথকুকুরদের আশ্রয় তো দেওয়া হবে না, প্রকৃতঅর্থে ওদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা একটা ভয়ংকর ঘটনা যেখানে সরকার অবলা প্রাণীদের উপর নিজেরাই নিজেদের 'ওভাররুল' করছে। সারমেয়দের রিলোকেট করা নিয়মবিরুদ্ধ, কারণ ওরাই আদিবাসিন্দা।'
আরও পড়ুন সেলেবদের ব্যান করা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, শিল্পীরা সেই রাজনীতির অংশ নয়: তথাগত মুখোপাধ্যায়
অভিনেতার সংযোজন, 'এই রায়দানে হিংস্রতা, ব্যাভিচার আরও বাড়াবে। রাস্তার অবলা প্রাণীদের এমনিই সরকার থেকে ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত করা হয় না, রিলোকেট করে নাকি আশ্রয়ে রাখা হবে! এটা পুরোটাই 'আই-ওয়াশ'। আসলে নিরাপরাদ পথকুকুরদের মৃত্যুদন্ড দেওয়া হল। এই ঘটনা মানবিকতার মুখে চড়। এভাবে যদি সত্যিই দুনিয়া চালিত হয় তাহলে আগামীদিনে পৃথিবীতে মানুষ ছাড়া আর কেউ থাকবে না। সবশেষে মানুষও ধ্বংস হবে সেটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এমনিই বাঘ-সিংহের সংখ্যা কমে এসেছে, জঙ্গলের ভিতর নির্বিচারে অনেক প্রাণী হত্যা হয় সেটা আমরা জানতেও পারি না। সারমেয়রা আমাদের চোখের সামনে থাকে বলে সেটা নজরে আসে। এটা ঘৃণ্য একটা ঘটনা।'
আরও পড়ুন মিঠে রোদ গায়ে মাখা অনাবৃত সুঠাম চেহারা! প্রেমিকার তারিফ করে তথাগত বললেন...
তথাগতর মতে, 'আর সেটাকে আড়াল করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় 'মেইল' আদানপ্রদানের কথা বলা হচ্ছে, যেটা আরও বড় মিথ্যা! আজ পর্যন্ত এইসব মেইল-এ কোনও কাজ হয়নি। এটা লোকদেখানো যে সবাই প্রতিবাদ করছে। আমাদের দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে। একে অপরের সঙ্গে ইগোর লড়াইয়ের কারণে দেশটা ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে একটা দেশের বর্তমান অবস্থান। নরওয়ে-তে গাছ কাটলে জরিমানা করা হয়। অন্যদেশে প্রাণীহত্যার জন্য কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। আমাদের দেশে সেই আইন দুর্বল। বোঝাই যাচ্ছে, আমরা খুব ভয়ংকর একটা পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছি। গোটা দেশে গুণ্ডা রাজত্ব চলছে। যে ক্ষমতায় আছে সেই সবচেয়ে বড় গুণ্ডা হয়ে দাঁড়াচ্ছে!'
আরও পড়ুন 'শিক্ষা-রুচিবোধ আমাকে আটকেছে', তথাগতকে অশিক্ষিত অপবাদ প্রেমেন্দুর, 'রাস' বিতর্কে চাঁছাছোলা পরিচালক