/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/17/cats-2025-10-17-17-54-49.jpg)
শুটিং চলাকালীন যদি মায়ের পুজোর নির্ঘন্ট থাকে তাহলে শুটিং বন্ধ রাখা হয়: সায়ক
Sayak Chakraborty-Diwali 2025: আর মাত্র কয়েকটা দিনের অপেক্ষা। আলোর উৎসবে সামিল হবে ১৩ থেকে ৮৩। দীপাবলির আগেই রাতের অন্ধকার ঘুচিয়ে আলোর মালায় সেজে উঠেছে চারিদিক। ছোটদের কাছে কালী পুজো মানেই আতসবাজি ফাটানোর আনন্দ। কিন্তু, প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে মা কালীর পুজো মানে দেবীর আরাধনার সঙ্গে আনন্দ উদযাপন। অনেকে আবার এই দিনটিতে অনেক সমস্যার সমাধানের আশায় মায়ের কাছে মনের কথা জানান। আর সেই মনোবাসনা পূরণ হলেই মা কালীর প্রতি ভক্তি-শ্রদ্ধা আরও দ্বিগুণ বেড়ে যায়। টলি অভিনেতা সায়কের জীবনেও ঘটেছে এমন এক অবিশ্বাস্য ঘটনা। তবে সেটা খোদ কালী পুজোর দিন নয়। বরং ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে জাগ্রত মা কালীর কাছে প্রার্থনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হয়েছে মুসকিল আসান। কালী পুজোর আগে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে স্টুডিওপাড়ার মা কালী নিয়ে কথা বললেন অভিনেতা-ইউটিউবার সায়ক চক্রবর্তী।
তিনি বলেন, 'আমি যখন ফ্ল্যাট কেনার চেষ্টা করছিলাম কিছুতেই হচ্ছিল না। বারবার লোন নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। ইন্দ্রপুরী স্টুডিওতে যে কালী মা রয়েছেন তাঁর কাছে গিয়ে একবার সমস্যার কথা বলতেই মুশকিল আসান। আমি সেই অর্থে ভগবানের নামে নিজেকে সঁপে দেওয়ার জায়গায় পৌঁছাইনি। তবে আমি বিশ্বাস করি একটা পজেটিভ এনার্জি অবশ্যই আছে। কালী মা বা শিব সর্বসেরা সেটা আমি বিশ্বাস করি না। কারণ ভগবানের মধ্যে কোনও তুলনা করার মতো দুঃসাহস আমার নেই। একটা বিষয় আমার নিজস্ব উপলব্ধি, যে মানুষ ভগবানের যে রূপে বিশ্বাসী তিনি সেই দেবতার পূজারি। আমি যেমন লোকনাথ বাবার ভক্ত। ছোট থেকেই আমি ওঁর ভক্ত। তবে ফ্ল্যাট কেনার সময় যখন শেষ মুহূর্তে সব ভেস্তে গেল খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। তখন ইন্দ্রপুরী স্টুডিওর মা কালীর কাছে আমি প্রার্থনা করেছিলাম।'
আরও পড়ুন এখন মুখ দেখেই প্যাণ্ডেলে ঢুকিয়ে দেয়, ভিআইপি ট্রিটমেন্টটা বেশ এনজয় করি: সায়ক চক্রবর্তী
কথা প্রসঙ্গে জানান, 'বামাক্ষ্যাপা শুটিংয়ের সময় থেকেই এখানে মা কালীর মূর্তি, এখনও তিনি বর্তমান। ওই প্রজেক্টের পর মা কালী এতটাই জাগ্রত হয়ে যান যে ওই মূর্তিটা আর কখনও সরানো যায়নি। একটা সিরিয়াল শেষ হলে সাধারণত নতুন করে সেট সাজানো হয়। বামাক্ষ্যাপা শেষ হওয়ার পর কখনও ওনাকে সরানো যায়নি। যাঁরা ভাঙতে এসেছেন তাঁদেরকে হয় স্বপ্নে দেখা দিয়েছেন বা কুড়ুল ভেঙে গিয়েছে। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃতির পর সেই সময় যিনি প্রোডিউসর ছিলেন অর্থাৎ সুব্রত রায় এই সেটের মধ্যেই মূর্তিটি রেখে দেন। এরপর এই সেটে রানি রাসমণি, নিম ফুলের মধুর শুটিং হয়েছে। এখন রানি ভাবানীর শুটিং চলছে। মায়ের বেদীর অংশটুকু রেখেই দিব্যি শুটিং চলছে। নিত্য পুজো হয়। শুটিং চলাকালীন যদি মায়ের পুজোর নির্ঘন্ট থাকে তাহলে সেই মুহূর্তটুকুর জন্য শুটিং বন্ধ রাখা হয়।'
আরও পড়ুন জীবন তখনই স্বার্থক যে মা আমাকে জন্ম দিয়েছেন তাঁকে যোগ্য সম্মান দিতে পারছি: সায়ক চক্রবর্তী
নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে বললেন, 'এই ফ্লোরটা সকলের কাছে লাকি চার্ম। আমি নিজেও সেটা অনুভব করেছি। আমি খুব মন থেকে মাকে ডেকেছিলাম। আমি বলেছিলাম, মাকে ভাল রাখার জন্যই তো ফ্ল্যাটটা কিনতে চাইছি। মা তো জানে না নিজের বাড়ি কী জিনিস। আমার তো কোনও খারাপ বা অসৎ উদ্দেশ্য নেই। যদি সত্যিই তুমি থাকো তাহলে আমাকে সাহায্য করো মা। সেদিন স্টুডিওর গেট থেকে বেরনোর আগেই ব্যাঙ্ক থেকে ফোন আসে। আমার লোনের সমস্যা মিটে যায়। এরপর আমি যাই করি না কেন আগে মায়ের কাছে যাই। একটা মিষ্টির বক্স, মায়ের ভোগের জন্য খিচুড়ি দিই। এটা কিন্তু, ঘুষ নয়, আমার ভক্তি। যখন যেমন সামর্থ থাকে তখন সেইরকম জিনিস দিই।'
আরও পড়ুন পিতৃদিবসে বাবাকে 'স্পর্শ' করে মায়ের জয়গান, গোয়ায় 'ফাদার্স ডে' উদযাপন সায়কের