/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/05/cats-2025-10-05-19-05-44.jpg)
আরজি কর কাণ্ডের সময় প্রতিমার পাশে ছিল প্রতিবাদের পোস্টার: চৈতি ঘোষাল
Kojagori Laxmi Puja 2025: অভিনেত্রী চৈতি ঘোষালের বাড়িতে লক্ষ্মী পুজোর প্রস্তুতি আগের দিন থেকেই শুরু হয়ে যায়। ৬ অক্টোবর অর্থাৎ সোমবার কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। শেষ মুহূর্তের কিছু জিনিস কেনা বাকি ছিল। তাই রবিবার বিকেলে সহকারি পাপ্পুর সঙ্গে বেরিয়ে কেনাকাটা করে ফেলেছেন চৈতি। প্রথা মেনে মা লক্ষ্মীর আরাধনায় একেবারে বিশ্বাসী নন অভিনেত্রী। তাঁর বাড়ির পুজো একদম আলাদা। নিয়ম মেনে ঘরে নাড়ু, মুড়কি বানানোর কোনও বাধ্যবাধ্যকতা নেই। তবে নিজের হাতে ঠাকুরের জন্য ভোগ রান্না করেন। লক্ষ্মী পুজোর খুটিনাটি নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল।
তিনি বলেন, 'আমি কোনওদিনই বাড়িতে নাড়ু, খই, মুড়কি এগুলো বানাই না। সবটাই কিনে আনি। আমার কাছে যে কোনও পুজো ভীষণ সনাতন, পরিবারের মিলন, সকলে একসঙ্গে ভগবানের কাছে প্রার্থনা করা। আমাদের সংস্কৃতিতে আছে একসঙ্গে আলপনা দেওয়া, মাকে সাজানো। আমার বাড়ির লক্ষ্মী প্রতিমাকে সাজাই মায়ের দেওয়া জড়োয়া গয়নার সেটে। যেটা আমাকে আজ থেকে বহু বছর আগে বিয়ের সময় মা দিয়েছিল। আমার বোনেরা ঠাকুরের বাকি সাজসজ্জার দায়িত্বে থাকে। আলপনা দেয় আমার এক বন্ধু। থিয়েটার, সিনেমার লোকজন আমাদের বাড়িতে আসে। আমার ছেলে অমর্ত্য মুম্বই থাকে। পুজোর সময় কলকাতা এসেছে। রবিবারই পটুয়া পাড়া থেকে ঠাকুর নিয়ে এসেছে। আমরা সকলে মিলে একদম অন্যরকমভাবে ঠাকুরকে সাজাই, লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করি।'
আরও বলেন, 'ভোগ রান্না অর্থাৎ খিচুড়ি, পায়েস, পাঁচ রকম ভাজা আমি সম্পূর্ণ নিজের হাতে করি। আমার বাড়ির পুজোয় সহকারী পাপ্পুর বাড়ি থেকেও অনেক বাসন আসে। আমি যে বাড়িতে থাকি সেখানের প্রতিবেশিরা সবাই আসে। আমার বাড়ির পুজোটা অনেকটা মা দুর্গার বিসর্জনের পর মন খারাপ হয়েও কিছুটা আনন্দের রেশ জিইয়ে রাখার মতো। সকলের মনে একটা আশা থাকে, চৈতির বাড়ি লক্ষ্মীপুজো হবে। সবাই একছাদের নীচে মিলিত হয়ে মজা করে। ভক্তি ভরে পুজো করার পাশাপাশি এটা আমার বিরাট প্রাপ্তি। আমার বাড়ির পুরোহিত একটা বাচ্চা ছেলে (ফোনের ওপারে মিষ্টি হাসি)।'
লক্ষ্মীপুজো নিয়ে কথা বলার সময় উঠে আসে আরজি কর কাণ্ড। চৈতি স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'আরজি কর কাণ্ডের সময় অর্থাৎ গত বছর লক্ষ্মীপুজো ছিল একেবারে জৌলুসহীন-আড়ম্বরহীন। প্রতিমার পাশে ছিল প্রতিবাদের পোস্টার। পুজো তো বন্ধ করা যায় না, তাই শুধু মা লক্ষ্মীর আরাধনাটুকুই করেছিলাম।' লক্ষ্মী তো ধনের দেবী। অর্থ-সম্পত্তিতে ফুলে ফেঁপে উঠার প্রার্থনা নাকি অন্য কোনও বিশেষ চাওয়া?
আরও পড়ুন অষ্টমীর অঞ্জলির শেষে ফুলটা ঠাকুরের পা পর্যন্ত পৌঁছাত না, মেয়েদের মাথাতেই পড়ত: ঋষভ
অভিনেত্রী চৈতি ঘোষাল বলেন, 'আমার মনে হয় লক্ষ্মী সেই দেবী যিনি ধনকে একহাতে ধরে রাখেন আবার একইসঙ্গে তিনি কিন্তু, পাওয়ারকেও ধরে রাখেন। ধন মানে শুধু টাকা নয়, পাওয়ারও। লক্ষ্মী কিন্তু, ভীষণ চঞ্চলা। আমি চাই আমার ঘরে লক্ষ্মী অচলা হয়ে থাকুক। আমার কাছে অঢেল টাকা এলে আমি তো সেটা নষ্টও করতে পারি। তাই আমি চাই অর্থের যথার্থ ব্যবহার করার জ্ঞানটুকু থাকুক। টাকা এলে যেন সেটার যথার্থ ব্যবহার করতে পারি। আমি প্রার্থনা করি প্রতিটি মেয়ের মধ্যে যেন সেই জায়গাটা থাকে। আমার নজরে আজকের দিনে প্রকৃত অর্থে লক্ষ্মীমন্ত মেয়ে কিন্তু তাঁরাই যারা নিজ গুনে পাওয়ার অর্জন করতে পারে।'
লক্ষ্মী পুজোর দিন আরও একটি বিষয়ে আলোকপাত করেন। তাঁর মতে, 'সন্তান বলতে শুধু নিজের ছেলে নয়, তোমাদেরকেউ সন্তান ভাবি আবার আমার চারপাশে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরাও আমার সন্তানতুল্য। আসলে সন্তান শব্দের অর্থ আমার কাছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। আমি চাই আমার সকল সন্তান সর্বোপরি আমার রাজ্য যেন দুধে ভাতে থাকে। মা লক্ষ্মীর কাছে আমি সেই প্রার্থনাই করব।'
আরও পড়ুন প্রতিবার মাকে লাল পাড় সাদা শাড়ি দিই গত বছরই দিলাম না, এটা সারাজীবনের আক্ষেপ থাকবে: কনীনিকা
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us