Koneenica Banerjee-Durga Puja: প্রতিবার মাকে লাল পাড় সাদা শাড়ি দিই গত বছরই দিলাম না, এটা সারাজীবনের আক্ষেপ থাকবে: কনীনিকা

Koneenica Banerje: 'প্রতি বছর পুজোতে মা নবমীর দিন পোলাও, মাংস আরও কত কী রান্না করত। গতবারও আয়োজন করেছিল।' মাতৃবিয়োগের পর প্রথম পুজোয় আনন্দের মাঝেও খানিক বিষাদের সুর কনীনিকার হৃদয়ে।

Koneenica Banerje: 'প্রতি বছর পুজোতে মা নবমীর দিন পোলাও, মাংস আরও কত কী রান্না করত। গতবারও আয়োজন করেছিল।' মাতৃবিয়োগের পর প্রথম পুজোয় আনন্দের মাঝেও খানিক বিষাদের সুর কনীনিকার হৃদয়ে।

author-image
Kasturi Kundu
New Update
cats

মায়ের হাত ধরেই দুর্গাপ্রতিমা চেনা, ছোটবেলায় ঠাকুর দেখা: কনীনিকা

Koneenica Banerje Puja 2025: ১ এপ্রিলে কারও বলা কথা বা কোনও ঘটনা প্রথমেই বিশ্বাস করতে একটা কিন্তু বোধ কাজ করে। কারণ এই দিনটা যে 'এপ্রিল ফুল'। কিন্তু, জীবনের অনেক কঠিন বাস্তবের সামনে মানুষ সত্যিই বোকা বনে যায়। ঠিক যেভাবে গত ১ এপ্রিল মেয়েকে এপ্রিল ফুল করে চিরঘুমে চলে গিয়েছিলেন কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা। দীর্ঘ অসুস্থতার পর জীবন-মৃত্যুর লড়াইয়ে হেরে যান। সোশ্যাল মিডিয়ায় মাতৃবিয়োগের কথা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রী। মাকে হারানোর পাঁচ মাস পরই মা দুর্গার আগমন। চারিদিকে আলোর রোশনাই, ঢাকের আওয়াজের মাঝে মায়ের জন্য মন কেমন কনীনিকার?

Advertisment

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি বলেন, 'এবারের পুজোটা সত্যিই আলাদা। প্রতিবারই পুজোর সময় ঘুরতে যাই। এবার একদম পঞ্চমীতেই বেরিয়ে গিয়েছি। কলকাতায় থাকতে আর ভাল লাগল না। পুজো পরিক্রমা যা ছিল হয়ে গিয়েছে। শিল্পচর্চাও হল।' শহরে থাকলে মায়ের সঙ্গে কাটানো পুজোর দিনগুলোর কথা আরও বেশি মনে পড়বে। বিমানযাত্রার মাঝে এমনটাই বললেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। মায়ের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে একটা আক্ষেপের কথাও বললেন। শেষবার মাকে লাড় পাড়ের শাড়ি না দেওয়ার আক্ষেপ। 

আরও পড়ুন অষ্টমীর অঞ্জলির শেষে ফুলটা ঠাকুরের পা পর্যন্ত পৌঁছাত না, মেয়েদের মাথাতেই পড়ত: ঋষভ

Advertisment

কনীনিকার সংযোজন, 'যেদিন থেকে আমি উপার্জন করি প্রতি বছর পুজোয় মাকে আমি লাল পাড় সাদা শাড়ি দিই। গত বছর মায়ের শরীরটা একটু খারাপ ছিল। তাই মা নিজেই বলেছিল এবার আমাকে আর শাড়ি দিস না। এরপর তো আর কখনও দেওয়ার সুযোগ হবে না। ওটাই খুব খারাপ লাগে, প্রতিবার দিই গতবারই দিলাম না। মায়ের হাত ধরেই দুর্গাপ্রতিমা চেনা, ছোটবেলায় ঠাকুর দেখা। আজ সেই মানুষটা আর নেই। এই শূন্যতা কোনওদিন পূরণ হওয়ার নয়।'

মায়ের কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে অভিনেত্রী বলেন, 'মা আমাকে যে ভালবাসা, গাইডেন্স দিয়েছে সেগুলো পাথেয় করেই জীবনটা কাটাচ্ছি। প্রতি বছর পুজোতে মা নবমীর দিন পোলাও, মাংস আরও কত কী রান্না করত। মায়ের হাতের যে কোনও রান্নাই ছিল চরম সুস্বাদু। গতবারও আয়োজন করেছিল।'

আরও পড়ুন 'একদম শান্ত ছিল-ঢাকের আওয়াজেও কাঁদেনি', একরত্তিকে নিয়ে অঞ্জলি দেওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ পরম পত্নী পিয়ার

Durga Puja koneenica banerjee