/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/28/cats-2025-09-28-17-21-37.jpg)
ঋষভের পুজো
Rishav Basu: দুর্গাপুজোর চারটি দিনের মধ্যে অষ্টমীটা 'এক্সট্রা স্পেশাল'। অঞ্জলি দেওয়া, ভোগ খাওয়া, প্রিয় মানুষের হাত ধরে শাড়ি পরে ঠাকুর দেখার জন্যই যেন এক বছরের অপেক্ষা। তেরো থেকে তিরাশির কাছেই অষ্টমীর একটা আলাদা মাহাত্ম। আর জেন জি-র কাছে এই দিনের উদযাপনটাই একদম আলাদা। বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে শুধু সরস্বতী পুজোই নয়, শারদোৎসবের অষ্টমীও। এই দিনটি শুধু সাধারণ মানুষের জন্যই স্পেশাল এমনটা নয়, টলিপাড়ার ট্যালেন্টদের কাছেও এই দিনের একটা আলাদা গুরুত্ব আছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল স্টুডিওপাড়ার 'শ্রীকান্ত' ঋষভ বসুর সঙ্গে।
অষ্টমীর দিন চোখে চোখে প্রেম বা ভাললাগা শুধু এই প্রজন্মেরই? কোনও বিশেষ ঘটনা বা এমন কোনও বিশেষ মুহূর্ত স্মৃতিতে আছে? ঋষভ বলেন, 'এটা শুধু আজকের প্রজন্ম বলে নয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম এটা কম-বেশি হয়েই থাকে। আমি নাইনটিজের ছেলে। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ধরনের ঘটনার সাক্ষী। এমনকী নিজেকে যে বিরত রেখেছিলাম এমনটাও নয়। অষ্টমীর অঞ্জলির সময় ছেলেরা পিছনে দাড়াত আর মেয়েদের লাইন থাকত সামনে। অঞ্জলির শেষে ফুলটা আর ঠাকুরের পা পর্যন্ত পৌঁছাত না, মেয়েদের মাথাতেই পড়ত। এগুলো এখনও হয়। কিন্তু, সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এখন মোবাইলে এই ধরনের ঘটনা অহরহ দেখা যায়। পুজো মণ্ডপে অঞ্জলির দিন এই ঘটনা ছিল আছে আর থাকবে।'
ছেলেবেলার পুজোর অভিজ্ঞতা ভাগ করতে গিয়ে ঋষভ বলেন, 'আমি তো উত্তর কলকাতার ছেলে। ছোটবেলায় প্রত্যেক বছর পুজোতে এই ঘটনা ঘটেছে। বন্ধুদের সঙ্গে যখনই ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছি, পাড়ার প্যাণ্ডেলে বসে আড্ডা দিয়েছি কোনও মেয়েকে হয়ত ভাল লেগেছে কিন্তু, কথা বলা হয়নি। এখন সময়ের সঙ্গে সেটা বদলে গিয়েছে। এখন তো পুজো পরিক্রমায় গেলে অনেকে সেলফির আবদার করেন, অটোগ্রাফ চান এগুলোও খুব এনজয় করি। বুঝতে পারি মানুষ আমাকে ভালবাসে। এটা বিরাট প্রাপ্তি। কাজের মাধ্যমে মানুষের মনের কতটা গভীরে পৌঁছেছি সেটা পুজোর সময় সত্যিই বোঝা যায়।'
সেলিব্রিটি ঋষভ নাকি উত্তর কলকাতার সাধারণ ছেলে ঋষভ, কোন সময় পুজোর আনন্দ বেশি? অভিনেতা বলেন, 'নিঃসন্দেহে ছোটবেলার পুজোটাই বেশি এনজয় করতাম। ওটা ছিল একদম নির্ভেজাল। অনেক বেশি আনন্দ ছিল। তখন সবার হাতে মোবাইল ছিল না। সেলফি তোলার হিড়িক ছিল না। প্যাণ্ডেল থেকে ছবি তুলে বা প্রতি ঘণ্টায় পোশাক পরিবর্তন করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে হবে সেই ব্যস্ততা লো ছিল না। আমার মনে হয় ছোটবেলার পুজো ছিল অনেক বেশি আন্তরিক, আবেগমিশ্রিত। সেগুলো খুব মিস করি। টাইমমেশিনে ভর করে যদি সেই দিনগুলোতে ফিরে যেতে পারতাম খুব ভাল হত।'
আরও পড়ুন 'কলকাতার পুজোর আমেজ, রাস্তায় ভিড়, চারদিকে প্যাণ্ডেল..', মুম্বই থেকে আবেগে ভাসলেন মিশমি
'সারলাক্ষ হোমস' দর্শকমহলে প্রশংসিত। এবারের পুজোয় সাফল্য সেলিব্রেশনের স্পেশাল আয়োজন? ঋষভের সংযোজন, 'বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া, গানবাজনার মধ্যেই প্রতিবার আমার পুজো কাটে। একেবারে ঘরোয়া আয়োজনেই পুজো এনজয় করি। আমার অনেক বন্ধু বাইরে থাকে যাঁদের সঙ্গে কেবলমাত্র পুজোর সময়ই দেখা হয়। সব মিলিয়ে বাড়িতেই আসর জমে যায়।'
আরও পড়ুন অর্ণব আমাকে লাল রঙে দেখতে ভালবাসত তাই লাল শাড়িতেই মা দুর্গাকে বরণ করব: পৌষমিতা
বর্তমান প্রজন্মের পছন্দের নায়ক ঋষভ। জেন জি-র জন্য অভিনেতার টিপস, 'এখন তো মহালয়া থেকেই ঠাকুর দেখা শুরু হয়ে যায়। আমি জানি জেন ওয়াই অনেক স্মার্ট। তবুও বলব, মোবাইল বেশি ব্যবহার না করে যদি প্যাণ্ডেলের শিল্পকর্মকে একটু ভাল করে দেখে, মাতৃপ্রতিমাকে দুচোখ ভরে দেখলে মন শান্ত হবে। সবকিছু ক্যামেরাবন্দি হলে নিজের চোখে কিছু দেখা হয় না। পুরোটাই লেন্সের মাধ্যমে হয়ে যায়। সেটা যদি এড়িয়ে চলা যায় আমার মনে হয় খুব একটা খারাপ হবে না।'