/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/14/mishmee-2025-09-14-19-00-37.jpeg)
মুম্বইয়ে মিশমির পুজো গ্রাফিক্স (সন্দীপন দে)
Mishmee Das: বাংলা ধারাবাহিকের অত্যন্ত পরিচিত মুখ মিশমি দাস। জি বাংলার জনপ্রিয় মেগা 'কোন গোপনে মন ভেসেছে'-তে নায়কের বোন রোহিনীর চরিত্রে অভিনয় করছিলেন। তার মাঝেই 'ঝনক' সিরিয়ালে কাজের প্রস্তাব পেয়ে শহর ছাড়েন অভিনেত্রী। যদিও কোনও এক অজ্ঞাত কারণবসত শেষ পর্যন্ত কাজটি আর হয়নি। তবে মুম্বইয়ে বাংলা মিউজিক ভিডিও, ৪টি ভার্টিকাল শুট করেছেন অভিনেত্রী মিশমি দাস। বর্তমানে মুম্বই-ই তাঁর স্থায়ী ঠিকানা। এবারেও পুজোও কাটবে মায়ানগরীতেই। প্রথমবার শহরের বাইরে, দুর্গাপুজোর আগে মন খারাপ বঙ্গললনা মিশমি দাসের?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে অভিনেত্রী বলেন, 'মুম্বইয়ে এটা আমার প্রথম দুর্গা পুজো। আগেও পুজোর সময় মুম্বই এসেছি, তবে সেটা ছিল একদম অন্যরকম। ছুটি কাটাতে আসতাম। আমরা তো পুজোর সময় লম্বা ছুটি পেতাম। তাই ষষ্ঠী-সপ্তমী কলকাতায় ঠাকুর দেখে অষ্টমী বা নবমীতে আসতাম। দুর্গাপুজোর আনন্দ কলকাতার থেকে ভাল অন্য কোথাও সত্যিই বোঝা যায় না। ওখানে যেমন পুজোর আমেজ, রাস্তায় ভিড়, চারদিকে প্যাণ্ডেল তৈরি সেগুলো ভীষণ মিস করছি। পুজোর আগে কাজের চাপ থাকত। তবুও উইকএন্ডে সুযোগ বুঝে একসঙ্গে শপিং করতে যেতাম। ওই মুহূর্তগুলো খুব মনে পড়ছে।'
কলকাতার পুজোর আবেগে ডুব দিয়ে মিশমির সংযোজন, 'এখানে তো কলকাতার মতো দুর্গাপুজোয় আলাদা করে কোনও ছুটি থাকে না। আমার অনেক বাঙালি বন্ধুবান্ধব আছে। ওঁদেরও ছুটি থাকে না। তাই কাজের পর একসঙ্গে ঘুরতে যাওয়া, খাওয়াদাওয়া এগুলোই প্ল্যান করব। সময় পেলে অষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেব।' মুম্বই থেকেই এবার পুজোর শপিং করলেন মিশমি? উত্তরে অভিনেত্রী বলেন, 'এখানে যেহেতু পুজোর সেই ভাইবসটা নেই তাই শপিংও করিনি। তাছাড়া এখন তো সারা বছরই কিছু না কিছু শপিং করা হয়। তাই পুজো উপলক্ষে আলাদা করে কোনও কেনাকাটা আর করিনি। আত্মীয়স্বজনদের বাড়ির ঠিকানায় অনলাইন থেকে পাঠিয়ে দেব।'
প্রথমবার পুজোর সময় মুম্বইয়ে, কাজল-রানি বা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়ির পুজোয় যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে? মিশমি বলেন, 'এখনও পর্যন্ত সেটা নিয়ে সত্যিই ভাবিনি। ওঁদের পুজো ছাড়াও অন্য বেশ কিছু পুজো হয়। বন্ধুবান্ধবরা কী প্ল্যান করে সেটা দেখি। তবে ব্যক্তিগতভাবে মুখোপাধ্যায় বাড়ির পুজোটা আমার দেখার খুব ইচ্ছে। দশমীর দিন ওখানে সিঁদুরখেলা, হইহুল্লোড় হয়। এবারে তো পুজোর চারদিনের মধ্যে একটা দিনও শনি বা রবি নেই। তাই কাজের মাঝে সুযোগ বের করে ইচ্ছেপূরণ করাটাও একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ।'
সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখছেন পরিচিতরা শপিং করছেন, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় প্যান্ডেল-পুজোর থিম নজর কাড়ছে। তবে মুম্বইয়ে বসে পুজোর অনুভূতিটা প্রায় নেই বললেই চলে। গণেশ চতুর্থীর দিনই কলকাতার দুর্গাপুজোর আনন্দ অনুভব করেছেন মিশমি। আবার হয়ত দিওয়ালিতে সেই ভাইবসটা বুঝতে পারবেন বলে আশাবাদী অভিনেত্রী। কাজের চাপে এখন কলকাতায় আসতে না পারলেও ডিসেম্বরে আসার চেষ্টা করবেন মিশমি।
আরও পড়ুন এখন মুখ দেখেই প্যাণ্ডেলে ঢুকিয়ে দেয়, ভিআইপি ট্রিটমেন্টটা বেশ এনজয় করি: সায়ক চক্রবর্তী
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us