/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/27/cats-2025-09-27-14-50-01.jpg)
অর্ণবের চলে যাওয়ার পর আমি সমস্ত ট্যাবু ভেঙেছি: পৌষমিতা
Poushmita Goswami Durga Puja Celebration: ছোট পর্দার অত্যন্ত পরিচিত মুখ পৌষমিতা গোস্বামী। মিঠিঝোরা ধারাবাহিকে রিল লাইফের স্বামীহারা হয়েছেন টেলি অভিনেত্রী। কয়েকদিনের মধ্যেই রিলের ঘটনা যে রিয়েলেও বাস্তবায়িত হয়ে যাবে সেটা বোধয় দুঃস্বপ্নেও ভাবতে পারেননি পৌষমিতা। এই ঘটনার পরই দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী ছিল পৌষমিতা-অর্ণবের। আচমকাই জীবনসঙ্গী অর্ণব গোস্বামীকে হারানোর শোক সামলে জীবনের মূল স্রোতে ফিরেছেন ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। প্রিয়জন বিয়োগের পর প্রথম শারদীয়ায় বিষাদের সুর নাকি অর্ণবের স্মৃতি আগলে উৎসবের আনন্দে মেতে উঠবেন পৌষমিতা?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে অভিনেত্রী বললেন, 'পুজো সুন্দর সেলিব্রেশনের মধ্যেই কাটবে। প্রথমবার আমার জীবনে একটা বিরাট প্রাপ্তি হয়েছে। বাড়ির এলাকার একটি পুজোর সঙ্গে আমি যুক্ত রয়েছি। আমি সেই পুজোর সেক্রেটারি। এবছর পুজো প্যাণ্ডেলের একজন হওয়াটা জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। সপ্তমী আর দশমীর ভোগ আমাদের বাড়িতে রান্না হবে। ঢাক বাজিয়ে বাড়ি থেকে মায়ের ভোগ নিতে আসার মুহূর্তটা দারুণ। প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আমরা অংশ নেব। পঞ্চমীতে আমাদের প্যাণ্ডেলে একজন বিশেষ অতিথি উপস্থিত থাকবেন। তিনি বাচ্চা ও দুঃস্থদের হাতে বস্ত্র তুলে দেবেন। অনেক পুজো প্যাণ্ডেলের তরফে আমন্ত্রণ করেছে। এছাড়াও বন্ধুদের সঙ্গে দেদার আড্ডা, গান শোনা তো আছেই। একদিন সিনেমাও দেখার ইচ্ছে রয়েছে।'
আরও পড়ুন এখন মুখ দেখেই প্যাণ্ডেলে ঢুকিয়ে দেয়, ভিআইপি ট্রিটমেন্টটা বেশ এনজয় করি: সায়ক চক্রবর্তী
অর্ণব গোস্বামীর সঙ্গে শেষ পুজোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'বিয়ের পরের পুজোটাই আমার ওঁর সঙ্গে কাটানো শেষ পুজো। আমরা গাড়ি নিয়ে উত্তরবঙ্গ গিয়েছিলাম। রেজেস্ট্রির পরও আমরা পুজোয় হিমাচলে ছিলাম। ওটা ছিল আমার জীবনের প্রথম পুজো যেটা কলকাতার বাইরে কাটিয়েছি। অর্ণব এখন আমার জীবনে কেমোর মতো। আলাদা করে বাহ্যিক উপস্থিতির প্রয়োজন হয় না। নিজের মধ্যে ওকে অনুভব করতে পারি। আমি জানি অর্ণব ভাল আছে। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি ও যেখানেই আছে যেন ভাল থাকে। এই জন্মটা যেন ভাল হয়। খারাপ লাগাটা তো কোনওদিন মুছে যাবে না বা এড়িয়ে যেতে পারব না। ওঁর চলে যাওয়ার যন্ত্রণা কোনওদিন ভোলার নয়। আমি চাই কষ্টকে আগলেই নিজের দায়িত্বগুলো পালন করতে। শুটিং করা, বাবা মাকে ভাল রাখা, পুজোর নতুন দায়িত্ব পালন এগুলো কোনওটাই বাদ দিলে হবে না। আমি খারাপ থাকলে আমার সঙ্গে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাও তো খারাপ থাকবে। সেটা আমি চাই না। পুজোর এই চারটে দিন কী ভাবে কেটে যাবে বুঝতেই পারব না। কষ্ট পাওয়ার অবকাশই নেই।'
দশমীর দিন সিঁদুরখেলা মিস করবেন পৌষমিতা? সপাট জবাব, 'বিয়ের আগে যেভাবে আমি সিঁদুর খেলতাম এবারও সেভাবেই খেলব। অর্ণবের চলে যাওয়ার পর আমি সমস্ত ট্যাবু ভেঙেছি। আমাদের প্রিয় রং লাল। অর্ণব আমাকে লাল রঙে দেখতে ভালবাসত। তাই লালকে কোনওদিন অস্বাকীর করব না। বিয়ের শাড়ি-গয়না সব ব্যবহার করি। বাড়ির কালীপুজোয় লালপাড় শাড়িতেই মাকে বরণ করেছি। আমার ভাল লাগার রং লাল। মা দুর্গাকেও লাল রঙের শাড়ি পরেই বরণ করব। আমি সমাজের পরোয়া করি না। আমি যদি সত্য-ভালবাসার পথে থাকি তাহলে সেটা আজ না বুঝলেও আগামীতে সকলে বুঝবে আর সেই পথের পথিকই হবে।'
আরও পড়ুন 'কলকাতার পুজোর আমেজ, রাস্তায় ভিড়, চারদিকে প্যাণ্ডেল..', মুম্বই থেকে আবেগে ভাসলেন মিশমি