/indian-express-bangla/media/member_avatars/2024/12/18/2024-12-18t155945930z-whatsapp-image-2024-12-15-at-102343-am.jpeg )
/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/27/cats-2025-09-27-18-25-11.jpg)
পড়াশোনা কাজকর্ম সব পণ্ড হয়ে যায়: শ্রীলেখা
Sreelekha Mitra-West Bengal Government: মহালয়া থেকেই শহরজুড়ে বিভিন্ন পুজোর উদ্ভোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথায়ও ভার্চুয়ালি তো কোথায় নিজে উপস্থিত থেকে। প্রথমা থেকেই ঠাকুর দেখার হিড়িক। স্কুল, কলেজ, অফিসে পুজোর ছুটির আগেই ঠাকুর দেখার ক্রেজ। ট্রেন, বাস, মেট্রোতে অস্বাভাবিক ভিড়। একটা পা রাখার জায়গা পর্যন্ত হয় না, রীতিমতো বাঁদর ঝোলা হয়ে গন্তব্যে পৌঁছান নিত্যযাত্রীরা। বাড়ি ফেরার পথে ক্লান্ত শরীরে ভিড় ঠেলে একেবারে নাজেহাল অবস্থা। একাংশের মতে এত আগে পুজো উদ্ভোধন করলে সমস্যায় পড়ে সাধারণ মানুষ। সহমত পোষণ করলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার কাছে তাঁর পালটা প্রশ্ন, 'সরকারের এই পুজো উদ্ভোধনে তো মানুষেরও মদত আছে। তাঁরাও ঠাকুর দেখছে কেন?' শ্রীলেখা মিত্রর স্পষ্ট বক্তব্য, 'পুজো যেভাবে হওয়া উচিত আজকাল আর সেভাবে হচ্ছে না। পড়াশোনা কাজকর্ম সব পণ্ড হয়ে যায়। এই সময় তো আর স্কুল-কলেজে ছুটি পড়ে না। ওদের তো পড়াশোনা থাকে। এথিক্যালি কিছুই হয় না।'
সরকারকে খোঁচা মেরে অভিনেত্রী বলেন, 'সরকার চায় রঙিন জামা, আলোর রোশনাইয়ের মাঝে মানুষ সব অপকর্ম ভুলে যাক। পুজোর সময় এমনিই সকলে একটা অন্য মেজাজে থাকে।' আরও বলেন, 'আসলে আনন্দের মোড়কে অনেক কিছু ভুলিয়ে দিতে সময়ের আগে পুজোর উদ্ভোধন সরকারের মাস্টার স্ট্রোক। চূড়ান্ত অরাজকতা চলছে। মহালয়া থেকে পুজোর উদ্ভোধন রাজনৈতিক প্ল্যান। এটা তুখর মস্তিষ্কের খেলা। মানুষ সব অন্যায় অবিচার ভুলে উৎসবের জোয়ারে গা ভাসায়। কারণ মানুষ তো সত্যিই হুজুকে।'
আরও পড়ুন জীবনটা গোলাপের বাগিচা নয়, অনেক কাঁটা ছড়িয়ে থাকে তাই হাসিটা স্মিত থেকে মলিন হয়ে যায়: শ্রীলেখা
প্রসঙ্গত, শ্রীলেখা মিত্র বরাবরই স্পষ্টবাদী। কোনও কিছু নিয়েই বক্তব্য পেশ করতে বিন্দুমাত্র কুণ্ঠাবোধ করেন না। বড় পর্দায় পর্দায় মুখ্যমন্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। যদি বাস্তবে 'নায়ক' ছবিতে অনিল কাপুরের মতো একদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ পান তাহলে কী কী পরিবর্তন করবেন?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে শ্রীলেখা বলেছিলেন, 'আমি চাইব এই রাজ্য যেন দুর্নীতিমুক্তি হয়, দ্বিতীয় কোনও অভয়া না ঘটে, তামান্নার মতো নিষ্পাপ শিশুর মৃত্যুর সঠিক বিচার হোক। ধর্ষকের এমন শাস্তির ব্যবস্থা করব যাতে ধর্ষণের ভাবনা মাথায় এলেই গায়ের রোম খাড়া হয়ে যাবে। দাগী অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারলে ওই আসনে বসার স্বার্থকতা।'