/indian-express-bangla/media/media_files/2025/08/28/cats-2025-08-28-17-38-06.jpg)
আসছে বাংলা হরর ড্রামা 'আমিষ'
নতুন ছবি 'আমিষ', হটকে টাইপ নামের মাধ্যমে দর্শককে আকৃষ্ট করার লেটেস্ট ট্রেন্ড?
যে কোনও গল্পই নিজস্ব একটা নাম ডিমান্ড করে। আমি যখন এই গল্পটা লিখি এবং এই গল্পটার মধ্যে যেহেতু একটা পাওয়ার, আমিষ-নিরামিষ এর একটা আইডিয়া রয়েছে তাই আমিষ নামটা আমার যথার্থ মনে হয়েছে। তাছাড়া ঠিক আমার মতোই আমার ছবির প্রোটাগনিস্ট নিরামিষ খেতে একদম ভালবাসে না। যেভাবে গল্পটা এগিয়েছে সেখানে খাবার নিজেই একটা চরিত্র হয়ে দাঁড়াবে। তাই পরিচালক হিসেবে মনে হয়েছে 'আমিষ'-এর চেয়ে ভাল নাম আর হতে পারে না।
'আমার মতোই আমার ছবির প্রোটাগনিস্ট নিরামিষ খেতে একদম ভালবাসে না', এই ছবিতে নিজের জীবনের কোনও ঘটনার প্রতিফলন রয়েছে?
এই পৃথিবীতে যত পরিচালক আছেন এবং ভাল কাজ করছেন আমি বিশ্বাস করি তাঁদের জীবনের কোনও প্রতিচ্ছবি স্ক্রিপ্টে প্রতিফলিত হওয়াটা স্বাভাবিক এবং প্রাথমিক একটি বিষয়। সেখানেই ইনটেনসিটি বা পার্সোনালাইজেশনটা তৈরি হয়। আমার যে বেসিক ভ্যালু সিস্টেম তার প্রভাব যে কোনও লেখার উপর থাকা উচিত ও বাঞ্ছনীয় বলে আমার মনে হয়। এই ছবিতে আমি যে গল্পটা বলতে চেয়েছি সেটা নিশ্চয়ই আমি জীবনের কোনও না কোনও সময় দেখেছি বা উপলব্ধি করেছি। চোখের সামনে শ্রেনিবিভাজন হতে দেখেছি। সেটা আমার মোটেই ভাল লাগেনি। আমার পার্সোনাল কানেকশন না থাকলে ছবির ইনটেনসিটিটাই তো তৈরি হবে না। একইসঙ্গে এটাও ঠিক, আমার জীবনের কোনও ডিরেক্ট কানেকশন নেই তবে আমার জীবন দর্শনের প্রতিফলন তো থাকবেই।
খাবারের মাধ্যমে শ্রেনি বিভাজনের গল্প বলার ধরনটা ঠিক কেমন?
আমার গল্পের যে প্রোটাগনিস্ট সে প্রিভিলেজ ব্যাকগ্রাউন্ড অর্থাৎ আর্থিক ক্ষমতাসম্পন্ন পরিবারের সদস্য। আর যারা প্রিভিলেজ ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসে তারাই একমাত্র বলতে পারে আমি নিরামিষ খাই না। যাদের সেই ক্ষমতা নেই তাদের কাছে তো কোনও চয়েজও থাকে না। যা পাবে সেটাই খেতে হবে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই আমিষ বিষয়টা প্রিভিলেজ সোসাইটির মানুষকে রিপ্রেজেন্ট করে বলেই আমার মনে হয়েছে। সেখান থেকেই এই আমিষ-নিরামিষের দ্বন্দের সূত্রপাত। সেই সঙ্গে রয়েছে একটা ভৌতিক কানেকশন। গল্পের মধ্যে অনেকগুলো স্তর আছে। আমার কাছে সিনেমা মানে বিনোদন। তারপর আমরা ভাবনাচিন্তাগুলো সেখানে স্বাভাবিকভাবেই যুক্ত হবে।
আজকাল ছবি নিয়ে অনায়াসেই বিতর্ক তৈরি হয়। 'আমিষ' যেহেতু শ্রেনিবিভাজনের গল্প কোনও সমস্যা হলে কী ভাবে মোকাবিলা করবেন ভেবেছেন?
না এখনও সেই বিষয়টা নিয়ে সত্যিই ভাবিনি। আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয় না এই ছবিতে এমন কিছু আছে যা বিতর্কিত। তবে এটাও ঠিক আজকাল মানুষ অল্প কিছুতেই খুব বিরক্ত হয়ে যায়। যদি কোনও সমস্যা হয় তাহলে কী করব সেটা এখনও জানি না।
যেহেতু ইউটিউবে রিলিজ করবে, এই ছবির টার্গেট অডিয়েন্স কারা?
সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে প্রত্যেকের কথা মাথায় রেখেই ছবিটি বানিয়েছি। দর্শকের কেমন লাগবে সেটা নিয়ে একটা টেনশন থেকেই যায়। তবে একজন দর্শক হিসেবে যখন আমি ছবিটা দেখছি আমার মনে হচ্ছে মানুষের ভাল লাগবে। বাকিটা তো সময় বলবে। কারণ দর্শকের কোনটা ভাল লাগবে আর কোনটা খারাপ সেটা বোঝা সত্যিই খুব মুশকিল।
গৌরবের 'প্রেতকথা' অন্যতম সফল একটি পডকাস্ট। সেই জন্যই এখানে ছবি মুক্তির ভাবনা?
ইউটিউবে ছবি বানানোর জন্য গৌরব আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি তখন বলেছিলাম এই ছবির জন্য যে বাজেটটা প্রয়োজন সেটা লাগবে। কারণ ইউটিউবের যে কোনও ছোট ছবির মতো কিন্তু 'আমিষ' বানাব না। পুরোদস্তুর সিনেমার মতোই সিনেমা বানাব। তখন গৌরব আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এমন কাজ হবে যা বাংলা ইউটিউবে এর আগে কখনও হয়নি। ওঁর এই চেষ্টা আমাকেও ভীষণ অনুপ্রাণিত করেছে।
আরও পড়ুন নেগেটিভ চরিত্রে কখনও অভিনয় করব না বলে অনেক ভাল প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছি : অলোক সান্যাল
ফলোয়ার্সের প্যারামিটারের ভিত্তিতেই এই ছবিতে প্রীতি?
আমি যখন চরিত্রটা লিখেছিলাম তখনই আমার প্রীতির কথা মনে হয়েছিল। ওঁর বেশ কিছু রিলসে এই চরিত্রের ঝলক দেখতে পেয়েছিলাম। আমার মনে হয়েছিল প্রীতি অভিনয় করতে পারে বা ওকে দিয়ে অভিনয় করানো সম্ভব। পরে যখন কথা বললাম তখন আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত হলাম যে এই চরিত্রের জন্য প্রীতি পারফেক্ট চয়েজ। ফলোয়ার্সের প্যারামিটারের ভিত্তিতে সুযোগ পেয়েছে এমনটা নয়।
'সন্দেশ' ফেমাস হওয়ার পরই ইউটিউবের প্রতি অগাধ প্রেম? সেখান থেকেই ইউটিউবের জন্য ছবি বানানোর ইচ্ছে?
ফিল্মমেকার হিসেবে অনেকগুলো বছর কলকাতায় আছি। বেশ কিছু মানুষ আমাকে চেনেন। তবে ইউটিউবে পডকাস্টের পর যে পরিচিতিটা পেয়েছি সেটা কিন্তু, আগে ছিল না। ইউটিউব বা পাবলিক প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমার একটা সম্মান রয়েছে। তাই মনে হয়েছে একটা ভাল কাজ এই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসলে দর্শক দেখবে। আমার বিশ্বাস এই কাজ যদি দর্শক পছন্দ করে এবং তাঁরা মনে করেন এই টিমের কাজ হল রিলিজের যোগ্য তাহলে আমরা পরের ছবির কথা ভাবতে পারব।
ব্যক্তিগতজীবনে কোনও ভৌতিক অভিজ্ঞতা?
আমি যখন 'আমিষ' বানাচ্ছিলাম তখন ভূতে আমি প্রচণ্ড বিশ্বাস করেছি। কিন্তু, আমিষ বানানোর আগে বা পরে কখনই আমি ভূত বা ভগবান কোনওটারই প্রমাণ পাইনি।
আরও পড়ুন ৪ বছর বয়স থেকে সিনেমা দেখি তাই নায়িকার মুখ না দেখেও এক্সপ্রেশন দিতে পারি: সায়নী পালিত