Debchandrima Singha Roy: ২ মে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল ২০২৫-এর মাধ্যমিক ফলাফল। ৬৯ দিনের মাথায় হল ফলপ্রকাশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে রেগুলার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
মেধাতালিকার প্রথম দশে রয়েছে ৬৬ জন পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরনোর পর সিংহভাগ পড়ুয়ার মুখেই শোনা যায় অঙ্কে ভীতির কথা। কেউ আবার ইতিহাস-ভূগোলে কোনওক্রমে গোল দিয়েই সুখী। খুব কমজনই আছেন যাঁরা বুক চিতিয়ে বলেন অঙ্ক আমার প্রিয় সাবজেক্ট। আর সেই তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে দেবচন্দ্রিমা আনন্দের সঙ্গে বলেন, 'অঙ্ক আমার প্রিয় সাবজেক্ট। মাধ্যমিকে আমি অঙ্কে ৯২ পেয়েছিলাম। এরপর পিওর সায়েন্স নিয়ে পড়েছি। তবে যে সাবজেক্টে ভীতি ছিল সেটা হল ইতিহাস। মাত্র ৬৭ পেয়েছিলাম। ভূগোলও আমার মোটামুটি ভালই লাগত। কিন্তু, ইতিহাসের ওই মুখস্থ বিদ্যাটা আমার কাছে আতঙ্ক ছিল।'
বাংলা ধারাবাহিকের অত্যন্ত পরিচিত মুখ দেবচন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। 'সাঁঝের বাতি', 'সাহেবের চিঠি'-এর মতো বেশ কিছু বাংলা মেগায় তাঁর অভিনয় দাগ কেটেছে দর্শকের মনে। বাংলা মেগার দর্শকের ঘরের মেয়ে দেবচন্দ্রিমা। ধারাবাহিকের পাশাপাশি পরিণীতা সিরিজেও কাজ করেছেন। হিন্দি সিরিয়ালেও কাজ করছেন বঙ্গ তনয়া। কাজের সূত্রে অনেকদিন মায়ানগরীতেই ছিলেন দেবচন্দ্রিমা সিংহ রায়।
কলার্সের 'সুহাগন চুড়েল' ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন। ঘুরত খুব ভালবাসেন অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় দেবচন্দ্রিমা। বিদেশ বিঁভুইয়ের নানান রঙিন মুহূর্ত সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেন। ফটোশুটেও মাত দেন অভিনেত্রী। সম্প্রতি প্রাক্তন প্রেমিক সায়ন্ত মোদককে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন দেবচন্দ্রিমা।
কিরণ ও প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সায়ন্তর মুখোশ টেনে খুলে দিয়েছিলেন। কিরণের সঙ্গে এখন তাঁর বন্ধুত্বও ভীষণ গাঢ়। অভিনেত্রীর জন্মদিনের রাতে সেলিব্রেশনের ভিডিও-ও শেয়ার করেছিলেন। এর মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল অভিনেত্রীর একটি ঘিবলি।
আরও পড়ুন: 'অঙ্কে তো ৯০ শতাংশের বেশি পেয়েছি কিন্তু ইতিহাসের দিন...', মাধ্যমিকের মজার ঘটনা বললেন স্যান্ডি
নিজের একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছিলেন। তার মধ্যেই ছিল যুগলের দাঁড়িয়ে থাকা একটি ছবি। মেয়েটির তাকিয়ে আছে ছেলেটি। আর একটি ছবিতে দুই পোষ্যকে নিয়ে ছেলেটি শুয়ে রয়েছে বিছানায়। সব ক'টি ছবি 'অ্যানিমেটেড'। তাই মুখের আকার বোঝা সম্ভব নয়। দেবচন্দ্রিমা ছবিগুলি পোস্ট করে লিখেছিলেন, 'আমাদের মনের কথা প্রকাশ্যে আনতে জিবলি না বুঝেই সাহায্য করল।' এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই দেবচন্দ্রিমার জীবনে নতুন প্রেমের বসন্ত নিয়ে শুরু হয়েছে ফিসফাস।
আরও পড়ুন: অঙ্কে ভীতি ছিল? মাধ্যমিকে কত পেয়েছিলেন? 'অঙ্ক কি কঠিন' মুক্তির আগে জানালেন ঊষসী