/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/Kanchan-Pinky.jpg)
বিতর্কের মাঝেই মুখ খুললেন বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক
বিধায়ক হওয়ার পরই নাকি স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি-দাওয়ার ডালি উপচে পড়েছিল, বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mullick)। একদিকে যখন অভিনেতার বিরুদ্ধে মদ্যপ অবস্থায় গালি-গালাজ করার অভিযোগ এনেছেন স্ত্রী। অন্যদিকে তখন বিতর্কের মাঝে মুখ খুললেন কাঞ্চন। তাঁর সপাট মন্তব্য, বিধায়ক হওয়ার পর তাঁর কাছে একাধিক দাবি করে বসেছিলেন পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় (Pinky Banerjee)। "মাসে মাসে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিতে হবে। চাকরি পাইয়ে দিতে হবে ছেলের আয়ার ভাইকে.." এহেন নানা আবদার নাকি পিঙ্কি করে বসেছিলেন। যা মেটানো কাঞ্চনের পক্ষে অসম্ভবপর হয়ে উঠেছিল।
সদ্য এক সংবাদমাধ্যমের কাছে কাঞ্চন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। তিনি জানান, লোক হাসাতে হাসাতে আজ একলা ঘরে বসে হাউ হাউ করে কেঁদে চলেছেন অভিনেতা খোদ। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও তাঁকে দেখার কেউ নেই! তাঁর আক্ষেপ, এইধরণের কুৎসা রটলে সমাজ সাধারণত পুরুষের দিকেই আঙুল তোলে। কিন্তু পুরুষদেরও তো কান্না পায়! সেটা কে বুঝবে? লজ্জায় মাথা নিচু হয়ে গিয়েছে দলের কাছে। রাস্তায় বেরনো তো দূরঅস্ত, লোকের মুখের দিকে তাকিয়ে কথাও বলতে পারছেন না।
কাঞ্চনের প্রশ্ন, কী উত্তর দেবেন তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)? যাঁরা কিনা ভরসা করে একটি কেন্দ্রের বিধায়ক পদে প্রার্থী করেছিলেন কাঞ্চনকে। আজ মানুষের ভালবাসায় জিতে তিনি বিধায়ক। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে এমন কাদা ছোড়াছুঁড়ি হওয়ায় প্রশাসনিক স্তরে তিনি মুখ দেখাতে পারছেন না! দাবি অভিনেতার। এমনভাবে নেত্রীর কাছে ছোট করার কি কোনও প্রয়োজন ছিল? প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন কাঞ্চন মল্লিক।
<আরও পড়ুন: Kanchan Mullick: “এই চেহারা নিয়েও মদ খেয়ে বউ পেটান!”,নেটদুনিয়ায় চরম কটাক্ষের শিকার কাঞ্চন >
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/06/Kanchan-Mullick-.jpg)
পাশাপাশি স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পরকীয়া করার অভিযোগও তুলেছেন তিনি। অভিনেতার কথায়, কোথাও শ্রীময়ী চট্টোরাজের (Sreemoyee Chattoraj)সঙ্গে তাঁর নাম জড়িয়ে মিথ্যে দোষারোপ করতে গিয়ে পিঙ্কি নিজেই নিজের জীবনের সত্যিটা সামনে এনে ফেললেন না তো! কাঞ্চন বিধায়ক হওয়ার পর নাকি একাধিক দাবি-দাওয়া সামনে রেখেছিলেন অভিনেত্রী পিঙ্কি। সেই প্রেক্ষিতেই অভিনেতা জানান, তিনি বিধায়ক হলেও আজও ছা-পোষা একজন অভিনেতা। তাঁর পক্ষে এত দাবি মেটানো অসম্ভব।
অভিনেতা-বিধায়ক এও জানান যে, গত লকডাউনে শ্বশুরবাড়িতে ২ লক্ষ টাকা-সমেত রেশন পাঠিয়েছেন। যার ব্যাঙ্কের নথিপ্রমাণও আছে তাঁর কাছে। কাঞ্চন স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর কাঁধে এখন অনেক দায়িত্ব। মানুষের জন্য তাঁকে প্রচুর কাজ করতে হবে। তাই এই মিথ্যে অপবাদ থেকে স্ত্রী পিঙ্কি যেন তাঁকে মুক্তি দেন, সেই আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। ছেলের সব দায়িত্ব সারা জীবনের জন্য নিজের কাঁধে তুলে নেবেন বলেও জানান কাঞ্চন। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্ক থেকে মুক্তি চাওয়ার মানে কি তাহলে অভিনেতা বিচ্ছেদ চাইছেন? সেই প্রশ্ন কিন্তু ইতিমধ্যেই উঠেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন