Kunal On Thakurpukur Accident: ৬ এপ্রিল রবিবার ভোর রাত, শহর কলকাতার বুকে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা। ঠাকুরপুকুর বাজারে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে হুরমুড়িয়ে ঢুকে পড়ল বিশালাকার একটি বিলাসবহুল গাড়ি। রবিবাসরীয় সকালে বাজারে আসা এক বৃদ্ধকে পিষে দিল বাংলা মেগার মদ্যপ পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টো। ঘটনায় তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। বাড়ির ড্রইং রুম থেকে চায়ের ঠেকের আলোচনায় পরিণত হয়েছে ঠাকুরপুকুর কাণ্ড। ইন্ডাস্ট্রির একাংশও এই মদ্যপ অবস্থায় ভিক্টোর গাড়ি চালানোর সিদ্ধান্তকে ধিক্কার জানিয়েছেন। নিরীহ মানুষের মৃত্যুতে ক্ষোভে ফুঁসছে নাগরিকসমাজ। সমাজমাধ্যমে প্রতিনিয়ত পোস্ট সকলের চোখে পড়ছে। এবার এই ঘটনায় সুর চড়ালেন কুণাল ঘোষ। তাঁর মতে টলিউড নাকি মৌনব্রত পালন করছে।
মদ্যপ চালক সহ তাঁর সঙ্গীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। একইসঙ্গে আরজি কর কাণ্ডে টলিপাড়ার সেলেবরা যেভাবে হাতে মৌমবাতি নিয়ে কখনও মৌন মিছিল তো কখনও আবার 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দিয়েছেন। ভিক্টোর ঘটনায় সেই চেনা মুখগুলোর খোঁজ করছেন কুণাল ঘোষ। টলিউডের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের উদ্দেশে হেঁয়ালি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, 'ঠাকুরপুকুরে মদ্যপ অবস্থায় বেপরোয়া অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি চালিয়ে মানুষ মারা জানোয়ারগুলো এখনও সবাই গ্রেপ্তার নয় কেন? যে চালাচ্ছিল, যে কটা মদ্যপ অসভ্য গাড়িতে ছিল, সবকটার গ্রেপ্তারি চাই। সাধারণ দুর্ঘটনা আর এই মাতাল হয়ে হুল্লোড় করে মানুষ মারা এক নয়। টলিউডের বিপ্লবীরা 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' বলে মোমবাতি হাতে নামছেন না কেন? আপনাদের ইন্ডাস্ট্রির মদ্যপ, খুনী বলে? সেই বিপ্লবী দাদা, দিদিমণিদের বিপ্লবী নাচগান কোথায় গেল?'
প্রসঙ্গত, যে কোনও বিষয়েই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে নিজের মত প্রকাশ করেন কুণাল ঘোষ। ঠাকুরপুকুর কাণ্ডেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। একদিকে যখন কুণাল ঘোষ টলিউডকে দুষছেন তখন অন্যদিকে বর্ষীয়ান অভিনেতা চন্দন সেন একহাত নিয়েছেন রাজ্য সরকার ও পুলিশি ব্যবস্থাকে। মৃতের পরিবরকে অর্থের বিনিময়ে পুলিশ বিষয়টা মিটিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিতেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি বলেছেন, 'পুলিশের ভূমিকা তো আরও একবার প্রমাণ করল রক্ষকই ভক্ষক। রাজ্য সরকার অর্থাৎ যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁরা উপরতলার মানুষদের জন্য একরকমের আইন আর যাঁরা একটু কম ক্ষমতাসম্পন্ন আমাদের মতো তাঁদের জন্য নিয়মটা অন্য। দুটোর তারতম্য প্রকাশ্যে দেখতে পাচ্ছি। যদি আপনার ক্ষমতা থাকে বিকেল চারটের মধ্যে জামিন পেয়ে যাবেন আর যদি ক্ষমতা না থাকে তাহলে ঘুরে বেড়াতে হবে। যদি প্রতিবাদ করেন তাহলে পাড়ার তৃণমূলের গুণ্ডারা এসে থ্রেট করবে। এটা তো নিয়মে পরিণত হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ক্ষমতাশালী হলে শাস্তি মুকুব আর না হলে পাড়ার তৃণমূলের গুণ্ডারা থ্রেট করবে: চন্দন সেন