Hiten Tejwani: ৩০ দিন ডাবল শিফটে কাজ-ঘুমন্ত অবস্থায় গাড়ি চালাতে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা, লাখ টাকা কামানোর কঠিন অজ্ঞিজতা হিতেনের

Hiten Tejwani-Kyunki Saas Bhi Kabhi Bahu Thi: অভিনয় জগৎ-এ ২৫ বছর পূর্তিতে হিতেন তেজওয়ানি সিদ্ধার্থ কাননের পডকাস্টে কেরিয়ার নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। একটা সময় একটানা ২২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। তারপর এক লাখ টাকার চেক পেয়েছেন।

Hiten Tejwani-Kyunki Saas Bhi Kabhi Bahu Thi: অভিনয় জগৎ-এ ২৫ বছর পূর্তিতে হিতেন তেজওয়ানি সিদ্ধার্থ কাননের পডকাস্টে কেরিয়ার নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। একটা সময় একটানা ২২ ঘণ্টা কাজ করতে হয়েছে। তারপর এক লাখ টাকার চেক পেয়েছেন।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
cats

হিতেনের কঠোর শ্রম

Hiten Tejwani-22 Working Hours: বিনোদন জগতে কাজ করা যথেষ্ট পরিশ্রমের। বিশেষত সিনেমা ও ডেইলি সোপের ক্ষেত্রে। বহুবার টেলি অভিনেতা-অভিনেত্রীরা জানিয়েছেন কীভাবে তাঁদের কঠিন সিডিউল সামলাতে হয়। মা হওয়ার পর দীপিকা পাডুকোন আট ঘণ্টার শিফটে কাজ করার শর্ত রেখেছেন। যে কারণে ছবি থেকে বাদ পর্যন্ত পড়তে হয়েছে। শুধু তাই নয়, কটাক্ষের শিকারল বলিউডের মস্তানি। ইন্ডাস্ট্রির বহু সতীর্থ তাঁর সঙ্গে সহমত আবার অনেকেই বিরোধীতা করেছেন। এইরকম পরিস্থিতিতে শুটিং সিডিউল নিয়ে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা হিতেন তেজওয়ানি। সিদ্ধার্থ কাননের শোয়ে এসে অভিনেতা স্বীকার করেছেন গত ২৫ বছর ধরে তিনি নিজের শরীরকে নিংড়ে কাজ করেছেন। 

Advertisment

অভিনয় জগৎ-এ ২৫ বছর পূর্তিতে হিতেন তেজওয়ানি সিদ্ধার্থ কাননের পডকাস্টে কেরিয়ার নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন। সেখানে তিনি নিজের কেরিয়ার শুরুর দিনগুলির কথা, আর্থিক ও পেশাগত উন্নতি, ব্যস্ত জীবনে আশেপাশের মানুষের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার কথা বলেন। হিতেন বলেন, 'আমি এই ২৫ বছরে প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছি। কেরিয়ার শুরুর সময় বাড়ি যেতাম শুধু ফ্রেশ হতে। অনেক গাড়িচালক রেখেছিলাম কিন্তু সবাই পালিয়ে যেত। কারণ আমার সময়সূচি কেউই সহ্য করতে পারত না। আমি নিজেই গাড়ি চালাতাম, আর চালাতে চালাতে ঘুমিয়ে পড়তাম। একদিন এমনও হয়েছিল যে গাড়িটা ডিভাইডারে ধাক্কা খায় কিন্তু ঈশ্বরের কৃপায় কিছুই হয়নি।' 

আরও বলেন, 'সুকন্যা সিরিয়ালে আমি দিনে ১০০০ টাকা পেতাম আর মাসে ১২ দিন শুটিং হত। একইভাবে ‘কুটুম্ব’সিরিয়ালে আমি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করলেও পারিশ্রমিক খুব একটা বাড়েনি।' তবে হিতেন তেজওয়ানি শেয়ার করেন তাঁর জীবনের প্রথম বড় চেক পাওয়ার অভিজ্ঞতা। যা তিনি একটানা ৩০ দিন ডাবল শিফটে কাজ করার পর পেয়েছিলেন। হিতেনের সংযোজন, '৩০ দিন আমি ৩০টা অতিরিক্ত শিফট করেছিলাম। নিজে গিয়ে চেকটা নিয়েছিলাম। এক লাখ টাকার চেক, খুব খুশি হয়েছিলাম। মনে হয়েছিল যদি আমি সাধারণ কোনও চাকরি করতাম, হয়তো সময় কম দিতে হত, কিন্তু ওই টাকার অঙ্কে পৌঁছাতে অনেক বছর লেগে যেত।'

Advertisment

আরও পড়ুন গানে গানে সতীশ স্মরণ, সোনুর সঙ্গে ‘তেরে মেরে সপনে’ গাইলেন স্ত্রী মধু! ভাইরাল আবেগঘন মুহূর্ত

ডবল শিফট কীভাবে কাজ করতেন সেই ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আমাদের শিডিউলে লেখা থাকত সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা কিন্তু শুটিং শেষ হত ভোর ৫টায়। তারপর পরের শিফট শুরু হত সকাল ৭টায়। ফলে আমি ২২ ঘণ্টা কাজ করতাম। কখনও কখনও লাইটম্যানরা ইচ্ছে করে লাইট নিভিয়ে দিত যাতে আমি একটু ঘুমোতে পারি। আমি সেটের মেঝেতে শুয়েই ঘুমিয়ে পড়তাম। 

আরও পড়ুন আমিরের জন্যই সন্তান সুখ, তারকা দম্পতির জীবনে কী ভাবে আশার আলো জ্বালিয়েছেন মিস্টার পারফেক্টশনিস্ট?

অতীতেও এক জনপ্রিয় টেলি অভিনেতা জানিয়েছিলেন টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রির ভয়াবহ পরিশ্রমের কথা। তিনি বলেছিলেন, 'আমি টানা ৭২ ঘণ্টা কাজ করেছি কোনওরকম বিরতি ছাড়াই। ৩০ দিনের সিডিউলে কাজ করে ৪৫ দিনের পারিশ্রমিক পেতাম। কারণ প্রথম শিফট হত সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত আর দ্বিতীয় শিফট সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত।'

আরও পড়ুন হাসপাতালেই কেটেছে দীপাবলি, শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপচারের পর কেমন আছেন জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালক অর্জুন?

Hiten Tejwani