/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/28/kjhkjhj-2025-10-28-10-45-57.jpg)
বাড়ি ফেরার পর...
Arjunn Dutta Health: দীপাবলিতে যখন চারিদিকে আলোর রোশনাই তখন হাসপাতালে শিরদাঁড়ার অস্ত্রোপচার করেছেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক অর্জুন দত্ত। সোশ্যাল মিডিয়ায় অসুস্থতার কথা নিজেই সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন ডিপ ফ্রিজ খ্যাত পরিচালক। জাতীয় পুরস্কার নিতে যাওয়ার কিছু দিন আগেই কলকাতায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অর্জুন। সেখানেই সিঁড়ি থেকে স্লিপ করে পড়ে যান। চিকিৎসক তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাবা চেয়েছিলেন ছেলে নিজের হাতে জাতীয় পুরস্কার গ্রহণ করুক। তাই অস্ত্রোপচারের দিন পিছিয়ে দিল্লি উড়ে গিয়েছিলেন। আলোর উৎসবে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে থাকতে মোটেই ভাল লাগেনি। সেই অনুভূতিও শেয়ার করেছেন অর্জুন দত্ত। সাত দিন পর ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে। বাড়ি ফেরার পর মুখ আড়ালে রেখে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করে কী বার্তা পরিচালকের?
উচ্ছ্বাসিত অর্জুন লিখেছেন, 'এক সপ্তাহ হাসপাতালে থাকার পর অবশেষে ঘরে ফিরলাম। চেয়ারে বসে সহকারীর সাহায্যে সাত দিন পর স্নান করলাম। আহা, স্বর্গীয় অনুভূতি। চুলেরও কিছুটা যত্ন নেওয়া হল। অনেকদিন পর শ্যাম্পু আর কন্ডিশনারে ধুলাম, সে এক দারুণ সুখের মুহূর্ত। যেহেতু আমি এখন একরকম 'গৃহবন্দি' তাই আমার সহকারী চুলের তিন রকম স্টাইল ট্রাই করে ফেলল। ঘরেই যেন মিনি মেকওভার! চুল বাঁধাও এখন বিলাসিতা মনে হয়।'
আরও পড়ুন 'ডিপ ফ্রিজ' সেরা বাংলা ছবি, অর্জুনের প্রশংসায় জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক শুভ্রজিৎ
মুখ কেন লুকিয়ে রেখেছেন অর্জুন? সেই কারণ বাতলে দিয়ে পরিচালক জানিয়েছেন, 'সত্যি বলতে, মুখটা এখন দেখানোর মতো নেই। ঘণ্টার পর ঘণ্টা অস্ত্রোপচারের পর মুখের ফোলাভাব এখনও কমেনি যা মোটেই ফোটোজেনিক নয়। আপাতত 'স্পাইনোমিটার' লুকেই রয়েছি, ক্রমাগত শ্বাস নিচ্ছি আর শ্বাস ছাড়ছি। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। আর হ্যাঁ, ২১ নভেম্বর ডিপ ফ্রিজ মুক্তি পাচ্ছে। কাজ শুরু করতে হবে। জীবনের ছোট ছোট আনন্দগুলোকে নতুন করে অনুভব করছি। নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে হচ্ছে।'
অর্জুনের বর্তমান শারীরিক অবস্থা কতটা স্থিতিশীল তা জানতে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। পরিচালক বলেন, 'এখন আগের থেক অনেকটাই সুস্থ আছি। ওয়াকার ছাড়াই এখন হাঁটছি। তবে চিকিৎসক আরও কিছুদিন বিশ্রাম নিতে বলেছেন। এদিকে ডিপ ফ্রিজের মিউজিকের কাজ বাকি আছে। বিবি পায়রা-র কাজও শেষ করতে হবে। শীঘ্রই সেগুলো শুরু করতে হবে।'
আরও পড়ুন বাঙালি পরিচালকের সাফল্যে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী, কড়া জবাব জাতীয় পুরস্কারের জুরি চেয়ারম্যানের
হাসপাতালের জীবন অনেক কিছু শিখিয়েছে। অর্জুনের বক্তব্য, ছোট ছোট জিনিসের মর্ম বুঝতে শিখেছেন। যেমন জানালার বাইরে আতশবাজি দেখা! মা ও দিদার উপদেশগুলো আর কখনও হালকাভাবে নেবেন না। যখন তাঁরা বলতেন, 'পুচকি পরে বুঝবি। এখন তো বয়সটা কম, আমরাও তো চিরকাল থাকব না।' কঠিন মুহূর্তে মা-দিদাকে বড্ড মনে পড়ছে তাঁর। আবেগপ্রবণ হয়ে অর্জুন লিখেছেন, 'একদিন বিছানায় শুয়ে থাকতে থাকতে হঠাৎ কপালে এক মৃদু স্পর্শ অনুভব করলাম। মনে হল, মা, দিদা, তোমরাই নাকি? যা-ই হোক না কেন, সেটা ভালবাসাই ছিল।'
আরও পড়ুন 'উপর থেকে কলকাঠি নাড়িয়ে...', মায়ের মৃত্যুর পর জাতীয় পুরস্কার জিতে আবেগপ্রবণ পরিচালক অর্জুন
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)

Follow Us