মাধুরী দীক্ষিতের মেগা কামব্যাক হতে চলেছে 'কলঙ্ক' ছবিতে। বলিউডের 'ধক ধক' নায়িকাকে এই ছবির গানে কোরিওগ্রাফ করেছেন সরোজ খান ও রেমো ডিসুজা। গানটি গেয়েছেন শ্রেয়া ঘোষাল, সঙ্গীত পরিচালক প্রীতম।
দু'মিনিটের এই সং সিকোয়েন্সটি ইউটিউবে মুক্তি পেয়েছে ৯ এপ্রিল। মুক্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্য়েই ভিউ ছাড়িয়ে গেল প্রায় ২.৫ লক্ষ। মাধুরী একজন প্রশিক্ষিত কথক শিল্পী। সেই দক্ষতাকে যথাযথ ব্যবহার করেছেন রেমো এবং সরোজ। 'তবাহ্ হো গয়ে' গানের ভিডিওটি দেখে মনে পড়ে যেতে বাধ্য 'দেবদাস' ছবির 'মার ডালা'।
আরও পড়ুন: আবার ‘কুলি নাম্বার ওয়ান’, নায়ক বরুণ, নায়িকা কে
এখনও পর্যন্ত বলিউডে মাধুরীর সেরা ডান্স নাম্বারগুলির মধ্যে অন্যতম 'দেবদাস' ছবির সেই গান। সেই ম্যাজিককেই নতুনভাবে সৃষ্টি করতে চেয়েছেন কোরিওগ্রাফাররা, 'কলঙ্ক' ছবির 'তবাহ্ হো গয়ে' গানটিতে। ছবির দৃশ্যায়নটিও ভারি সুন্দর কিন্তু গানের কম্পোজিশন আরও একটু ভাল হতে পারত।
এই গান প্রসঙ্গে মাধুরী আইএনএস সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ''এই গানটি ছবিতে এমন একটা সময়ে ব্যবহার করা হয় যখন প্রত্যেকটি চরিত্রের অতীতের গল্পগুলো একটু একটু করে সামনে আসছে। ছবির খুব গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত সেটি।''
আরও পড়ুন: ‘ধন্যি মেয়ে’ জয়ার বয়স হল ৭১, পার্টি দিলেন কে
সরোজ খান এই গানের অন্যতম কোরিওগ্রাফার। মাধুরীর কেরিয়ারে সরোজ খানের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। বলিউডকে একের পর এক হিট গান উপহার দিয়েছে এই জুটি। সেই 'এক দো তিন' দিয়ে শুরু, তার পরে 'চোলি কে পিছে', 'ধক ধক করনে লগা' এবং অবশ্যই 'মার ডালা'।
নতুন ছবির নতুন গান রিলিজ প্রসঙ্গে মাধুরী জানালেন সরোজ খানের কাজের ধরন সম্পর্কে তাঁর অভিমত, ''কোনও গানের কোরিওগ্রাফি করার সময়ে সরোজজি গানের কথাগুলোর অনেক গভীরে চলে যান। এটা খুব কম কোরিওগ্রাফারের ক্ষেত্রেই আমি দেখেছি। ছবির গান শ্যুট করার সময়ে ক্যামেরার অ্যাঙ্গল মাথায় রেখে ডান্স স্টেপ কোরিওগ্রাফ করার একটি ট্রেন্ড রয়েছে। কিন্তু সরোজজি ওইভাবে নাচকে কয়েকটা মুভমেন্টের মধ্যে বেঁধে রাখেন না। তিনি গানের আধ্যাত্মিক দিকটা তুলে ধরার চেষ্টা করেন, অভিব্যক্তির উপর জোর দেন। উনি জানেন নাচের মাধ্যমে একজন নারীকে কীভাবে সুন্দর ও স্নিগ্ধ করে তুলতে হয়।''
নতুন এই গানটিতে কেমন লাগছে মাধুরীকে তা দেখে নিতে পারেন নীচের এই লিঙ্কে ক্লিক করে--
আরও পড়ুন: সিরিয়াল নয়, অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত ‘ইমন’
এই নিয়ে 'কলঙ্ক' ছবির চতুর্থ গান প্রকাশিত হল। এর আগে ইউটিউবে এসেছে 'কলঙ্ক নহি ইশক হ্যায়', 'ঘর মোরে পরদেশিয়া' এবং 'ফার্স্ট ক্লাস'।