Naseeruddin Shah Controversy: ভারতীয় সমান্তরাল সিনেমার অন্যতম খ্যাতনামা অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। 'মন্থন', 'স্পর্শ', 'আলবার্ট পিন্টো কো গুস্সা কিউঁ আতা হ্যায়' , 'আক্রোশ' এর মতো ছবিতে নাসিরুদ্দিনের অভিনয়কে করেছে কালজয়ী। আটের দশকে তিনি পা রাখেন মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে। পঙ্কজ পরাশর পরিচালিত অ্যাকশন-কমেডি জলওয়া তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। অবস্থান বদলের সিদ্ধান্ত আরও তাৎপর্যপূর্ণ কারণ সেই সময় গৌতম ঘোষের পার ছবিতে অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কাটে। শুধু তাই নয়, এই ছবির জন্য ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা অভিনেতার পুরস্কারও পান।
সম্প্রতি পরিচালক পঙ্কজ পরাশর এক সাক্ষাৎকারে নাসিরুদ্দিন শাহ কী ভাবে জলওয়া ছবির সঙ্গে যুক্ত হলেন সেই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলন, 'নাসিরের হাতে তখন কোনও কাজ ছিল না। আমি জলওয়ার জন্য ওঁর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হই। তখনই তিনি ভেনিস থেকে পুরস্কার জিতে ফিরেছেন। বিশ্বসেরা অভিনেতাদের মধ্যে একজন হয়েও তাঁর হাতে কোনও সিনেমা ছিল না।' একটি পার্টির ঘটনার স্মৃতিচারণ করে পরিচালক পঙ্কজ পরাশর জানান জলওয়া-র গল্প শুরুর কাহিনি।
তিনি বলেন, একটি পার্টিতে গিয়েছিলাম। সেখানে ওম পুরি সহ আরও অনেকে ছিলেন। একটু দূরে হাতে স্টিলের গ্লাস নিয়ে মাটিতে বসে ছিলেন নাসির। আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন পঙ্কজ, কী করছো এখন? আমি বললাম, একটা সিনেমা করছি। তিনি বললেন, তোমার করমচন্দ ভালো লেগেছিল। এবার ভালো কিছু করো। আমি বললাম, টারজান করছি। এটা শুনে উনি বললেন কে আছে? আমি বললাম, হেমন্ত বীরজে।'
আরও পড়ুন পেট ভরাতে ভরসা মাত্র ১ টাকা! সুপারস্টারের বাবার জীবনের লড়াই শুনলে চোখে জল আসবে
পঙ্কজ আরও বলেন, 'আমার উত্তরে তখন উনি বললেন, তুমি হেমন্ত বীরজেকে নিয়ে টারজান বানাবে? তুমি তো ফিল্ম স্কুলের গোল্ড মেডালিস্ট! করমচন্দ বানানোর পর এই রকম জঘন্য কাজ? আমি বললাম, হ্যাঁ, করছি। কিমি কাৎকরকেও সাইন করিয়েছি। তখন আমাকে বললেন, বোকামি কোরো না। আমি তখন বাধ্য হয়ে বললাম, তুমি তোমার পানীয় খেয়ে যাও আমি আমার কাজ করি। কিন্তু সত্যি বলতে, আমি মন থেকে ভেঙে পড়ছিলাম।'
আরও পড়ুন 'চিঠি লিখেছিলেন-লকডাউনের সময় ফোন করে...', হাঁটুর বয়সী অভিনেত্রীর সঙ্গে অমিতাভের সিক্রেট ফাঁস
এরপর যা ঘটল, তা যেন রূপকথার গল্পের থেকে কোনও অংশে কম নয়। কথোপকথনের মঝে হঠাৎ নাসিরুদ্দিন বলেন টারজান হিসেবে তাঁকে কাস্ট করতে। কিন্তু, পঙ্কজ সেই সময় নাসিরুদ্দিনের সঙ্গে আর কোনও বাক্যালাপে জড়াননি। কিন্তু, পরদিন প্রযোজক গুল আনন্দকে ঘটনাটা জানালে তিনি বলেন, 'নাসিরুদ্দিন শাহ যদি চান, তিনি মিকি মাউস-ও হতে পারেন! ডেকো ওনাকে।'
এরপর শাহ Sea Rock জিমে ভর্তি হয়ে ছ'মাসের মধ্যে চরিত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে ফেলেন। এরপর পঙ্কজ পরাশর আর গুল আনন্দ সিদ্ধান্ত নেন টারজান নয়, বরং Beverly Hills Cop ও Commando-র মতো হলিউডি ঘরানাকে ভারতীয় ছাঁচে ফেলে করমচন্দ ধাঁচের ছবি জলওয়া তৈরি করবেন।
আরও পড়ুন 'ওঁদের পারিশ্রমিক দিতে পারিনি', 'সাইয়ারা' ঝড়ে বিপদের মুখে 'তানভি দ্য গ্রেট'-র পরিচালক অনুপম