/indian-express-bangla/media/media_files/2025/10/17/cats-2025-10-17-17-01-37.jpg)
প্রেমের মাশুল
Nutan slapped Sanjeev Kumar: বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা সঞ্জীব কুমার। নিজের জীবন নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন তিনি কোনওদিন বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হতে পারবেন না। কারণ, হার্টের একটি পুরোনো সমস্যা ছিল। তাই তিনি মনে করতেন বিয়ে করলে জীবনসঙ্গীকে সেই ভার অযথা বইতে হবে। পাশাপাশি, তিনি মদ্যপানেও অভ্যস্ত ছিলেন এবং প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে বন্ধুদের নিয়ে আসর জমাতেন। নিজের অসুখের দায়ভার কখনই কোনও মহিলার উপর চাপিয়ে দিতে চাননি। তবে দু’বার তিনি নিজের নিয়ম ভাঙতে গিয়েছিলেন। প্রথমে হেমা মালিনীকে ভালবেসে, পরে নূতনের প্রেমে হাবুডুবু খেয়ে। কিন্তু নূতন তখন বিবাহিত এবং সম্পর্কের খবর প্রকাশ্যে আসলে দুনিয়া কী ভাববে সেই ভয়ে আতঙ্কিত ছিলেন।
সঞ্জীব কুমারের জীবনীকার Hanif Zaveri ও Jigna ভিকি লালওয়ানির সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনার স্মৃতিচারণ করে তাঁরা বলেন, 'এই সম্পর্ক শুরু হয়েছিল ‘দেবী’ ছবির শুটিং চলাকালীন। ছবির পরিচালক মধুসূধন রাও-ই তাঁদের মধ্যে প্রেমের সেতুবন্ধন ঘটান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সম্পর্কটি ভেঙে যায়। তবে ভাঙার আগে ঘটে এক বড় বিস্ফোরণ।'
আরও পড়ুন সঞ্জয়ের জন্মদিনে জোড়া শুভেচ্ছা, সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাঝে 'আবেগপ্রবণ প্রিয়া-করিশ্মা
হানিফ জাভেরি জানান, সঞ্জীব কুমারের এক বোন তাঁকে বলেন, কী ভাবে নূতন একবার পুরো ইউনিটের সামনে তাঁকে চড় মেরেছিলেন। ঘটনার আগের দিন সঞ্জীব জানতে পারেন নূতন ও তাঁর স্বামী রাজনিশ বেহলের মধ্যে তুমুল অশান্তি হয়েছে। তিনি রজনিশকে ফোন করে পরিস্থিতি শান্ত করতে গেলে ফল উল্টো হয়। রজনিশ আরও রেগে যান এবং পরের দিন স্বামীর সন্দেহ দূর করতে নূতন সেটে এসে সবার সামনে সঞ্জীবকে চড় মারেন।
আরও পড়ুন '১৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তো মানব ইতিহাসে...', প্রেগন্যান্সি গুঞ্জনের মাঝে 'দুষ্টুমি' সোনাক্ষীর
এই ঘটনার পরই শুটিং বন্ধ হয়ে যায়। দু’জনেরই পথ আলাদা হয়ে যায়। সঞ্জীব তখন তাঁর এক বন্ধুর বাড়িতে যান। পরামর্শ দেওয়া হয় যেন এই ঘটনার কথা কাউকেই না বলেন, বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমে তো একেবারেই নয়। সঞ্জীব কুমারও বন্ধুর সেই পরামর্শ মেনে আজীবন এই ব্যাপারে মুখে কুলুপ এটে ছিলেন। সঞ্জীব কুমার একসময় হেমা মালিনীর সঙ্গেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তিনি চেয়েছিলেন হেমা অভিনয় ছেড়ে গৃহবধূ হন। সেই কারণে প্রেম ভেঙে খানখান।
আরও পড়ুন কাশ্মীরে কেলেঙ্কারি! শুটিংয়ের মাঝে প্রাণনাশের হুমকি, ভয়ংকর অভিজ্ঞতা ভাগ পরিক্ষীতের
সেই বিচ্ছেদে তিনি এতটাই ভেঙে পড়েছিলেন যে এরপর আর কখনও হেমা মালিনীর সঙ্গে কোনও ছবিতে অভিনয় করেননি। অপরদিকে, হেমার স্বামী ধর্মেন্দ্রও প্রতিশোধে তাঁর সঙ্গে কাজ করতে রাজি হননি। সঞ্জীব কুমার ১৯৮৫ সালে মাত্র ৪৭ বছর বয়সে মারা যান। নূতন মারা যান ১৯৯১ সালে ৫৪ বছর বয়সে।