Ranojoy Bishnu-Shweta Bhattacharya: অল্প সময়ের ব্যবধানে একের পর এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা। বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় আতঙ্কের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের মাঝ আকাশে ভেঙে পড়ে উড়ান। রবিবার ভোরে কেদারনাথ ধামে ঘটে যায় সেই বিরাট দুর্ঘটনা। হেলিকপ্টার ভেঙে মৃত্যু কমপক্ষে ৫ জনের। এ যেন এক অভিশপ্ত রবিবাসরীয় সকাল! সাধারণ মানুষ থেকে সেলেব, দমদম বিমানবন্দর সংলগ্ন যাঁদের বাড়ি তাঁরা এই ঘটনায় আতঙ্কিত। কী বলছেন টলিপাড়ার ফেমাস স্টার রণজয় বিষ্ণু ও শ্বেতা ভট্টাচার্য? খোঁজ নিল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। ঘটনাচক্রে এই মুহূর্তে দুজনেই জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক 'কোন গোপনে মন ভেসেছে'-তে কাজ করছেন। আর দুজনের বাড়িই দমদম বিমানবন্দর সংলগ্ন এলাকায়। রণজয় বর্তমানে ফ্ল্যাটে থাকলেও নিজের বাড়ি মধ্যমগ্রামে। অন্যদিকে শ্বেতার বাড়ি দমদম যশোর রোডে। বিয়ের পর অবশ্য ঠিকানা বদলেছে।
দমদম বিমানবন্দরের কাছাকাছি বাড়ি হওয়ায় এই মুহূর্তে পরিবারের জন্য বেশ চিন্তিত রণজয়। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি বলেন, 'আহমেদাবাদে যে ঘটনাটা ঘটেছে সেটা এখনও বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে। যে ছাত্রগুলো খাচ্ছিল তাঁদের কথা ভাবলে তো...! আমার পরিবারের সদস্যরা মধ্যমগ্রামের বাড়িতেই থাকেন। এই ঘটনাটার পর ওঁদের জন্য সত্যিই খুব চিন্তা হচ্ছে। একবার ভেবেছিলাম আমার ফ্ল্যাটে নিয়ে আসব। কিন্তু, ওঁরা তো রাজি হবে না। যেদিন এই ঘটনাটা ঘটেছে তারপর থেকে আমরা মেকআপ রুমে এটা নিয়েই আলোচনা করছি। মানুষের জীবন সত্যিই কত অনিশ্চিত! আমরা এখন শুটিং করছি এক সেকেণ্ড পর কী হবে কেউ জানি না।'
আরও পড়ুন 'যতক্ষণ তুমি আছো ততক্ষণ...', বিমান দুর্ঘটনার পরে উৎকণ্ঠায় ক্যাপ্টেন পত্নী ও শিল্পী দেবলীনা
অন্যদিকে শ্বেতার বক্তব্যেও রণজয়ের সঙ্গে বেশ কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। ছোট পর্দার শ্যামলী বলছেন, 'আমার বাড়ি বিমানবন্দরের একদম পাশে না হলেও অনেকটাই কাছাকাছি। সেদিনের ঘটনার পর থেকে একটা ভয় সত্যিই কাজ করছে। তবে বাড়ির ছাদে বিমান ভেঙে পড়বে কিনা সেটার থেকেও এখন যেন বেশি আতঙ্ক প্লেন জার্নিটা। আমাদের তো কাজের সূত্রে বিভিন্ন সময় বিমানযাত্রা করতে হয়। জীবনের ঝুঁকিটা এখন আরও অনেকটাই বেড়ে গেল বলে মনে হচ্ছে।'
আরও পড়ুন আমার জীবনের বেশিরভাগ সময়টাই তো বিমানে কেটে যায়: ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত