Rituparna Sengupta jamai sasthi 2025: বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। আরল সেই পার্বণের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল জামাইষষ্ঠী। রাত পোহালেও জামাই আদরের পালা। প্রিয় জামাইদের জন্য সকাল থেকেই শাশুড়ি মায়েদের ব্যস্ততা থাকে একেবারে চোখে পড়ার মতো। কেউ ব্যস্ত জামাইয়ের পছন্দের রেস্তোরাঁ স্টাইলে ডাব চিংড়ি তো কেউ আবার ঘরোয়া পদ্ধতিতেই সুস্বাদু ইলিশ ভাপা বা ভেটকি পাতুড়ি বানানোর তোড়জোর থাকে সকাল থেকেই। কিন্তু, এই আনন্দের দিনটা অনেকের কাছেই বড্ড কষ্টের। বিয়ের পর প্রতি বছর যাঁর মা জামাই আদরে কোনও ত্রুটি রাখতেন না, আজ আর সেই মানুষটাই নেই যিনি তাঁর পুত্রসম জামাইকে পাশে বসিয়েছে খাওয়াবেন। এই বছরের জামাইষষ্ঠীতে ঠিক এই কারণেই মন খারাপ টলি কুইন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর। প্রথমবছর মাকে ছাড়া জামাইষষ্ঠী!!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলায় স্মৃতিচারণা করে বলেন, 'মা প্রত্যেক জামাইষষ্ঠীতে ওঁর পছন্দের ফিশফ্রাই, মটন চপ, মটনকারি বানাত। ও যদি কখনও এই বাড়ি না আসতে পারত তাহলে মা আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দিত। আমি শুধু ভেজে দিতাম। এছাড়াও আম, লিচু, কত রকমের ফল, মিষ্টি সব দিয়ে দিত। অনেকবার অবশ্য মায়ের বাড়িতে গিয়েও জামাইষষ্ঠী করেছে। আমার মা তো জোর করে খাওয়াত আর বাবা বলত ওকে আর জোর করো না। মায়ের সেই আদরযত্নটা তো অবশ্যই ও মিস করবে। যখনই মায়ের কাছে আসত আগেই বলত, মিম্মার (ঋতুপর্ণার মা) বাড়িতে যাওয়া মানেই তো পেটে আর বিন্দুমাত্র জায়গা ফাঁকা থাকবে না।'
আরও পড়ুন মা নেই তবুও আজ মায়ের নম্বরেই মেসেজ করলাম, 'হ্যাপি মাদার্স ডে': ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত
রিয়েল লাইফে এবার জামাইষষ্ঠী ফিকে। তবে রিলে ঋতুপর্ণার জামাইষষ্ঠী একেবারে জমজমাট। অভিনেত্রী বলেন, 'বাস্তবে জামাইষষ্ঠী হচ্ছে না। তবে পুরাতনের ৫০ দিন পূর্তি ও শাশুড়ি-জামাইয়ের যে সমধুর সম্পর্ক সেটা দিয়েই এবারের জামাইষষ্ঠী সেলিব্রেশন হোক। ২৫ বছর পর জামাইষষ্ঠী উপলক্ষে বড় পর্দায় শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ রি-রিলিজ হল। এটাও আমার জীবনের আরও একটা প্রাপ্তি। মায়ের অভাবটা তো কোনওদিন কোনওভাবে পূরণ হবে না। জামাইষষ্ঠীর সেই স্মৃতিগুলোই আমার মনে রয়ে যাবে।'
আরও পড়ুন মাকে ছাড়া প্রথম নববর্ষ, তবে পুরাতনে মায়ের গন্ধুটুকু পাচ্ছি: ঋতুপর্ণা