Rupanjana And Ushasie On Dilip Ghosh Wedding: ১৮ এপ্রিল, শুক্রবার ছিল বৈশাখের প্রথম বিয়ে। এই দিন গোধূলিলগ্নে চার হাত এক করে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করলেন দিলীপ ঘোষ। পাত্রী বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী, রিঙ্কু মজুমদার। বৃহস্পতিবার বিকেলে কলকাতার আকাশে যখন কালো মেঘের ঘনঘটা, ঝড়ের দাপটে চারিদিক অন্ধকার তখন বঙ্গ রাজনীতির ময়দানে দিলীপের বিয়ের খবর ঘিরে তো একেবারে 'কালবৈশাখী'। দিলীপ ঘোষ সঙ্ঘ থেকে ঘোরতর সংসারি হচ্ছেন এটা যেন অনেকেরই হজম হচ্ছিল না। কিন্তু, শুক্রের সন্ধ্যায় শুভ পরিণয় সুসম্পন্ন হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া। চায়ের ঠেক থেকে ড্রইং রুম, খাবার টেবিল সর্বত্রই এক আলোচনা। দিলীপ বিয়ে ঘিরে নাগরিক সমাজ যেন দ্বিধাবিভক্ত। কারও কাছে এই বিয়েটা হাসির খোরাক তো কারও মতে সঠিক সিদ্ধান্ত।
দিলীপ-রিঙ্কুকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রূপোলি দুনিয়ার সেলেবরাও। সেই তালিকায় রয়েছেন বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি বলেন, 'হ্যাঁ, যাদের হাসি-মজা করার তাঁরা করছে। এই বিয়েকে হাসির খোরাক বানানোর একদম বিপক্ষে। নিজেদের ইচ্ছেয় ওঁরা দুজন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে সম্মান করি। নিজেদের মতো করে দুজন দুজনকে আরও ভালভাবে চিনবে-জানবে। নিজের পক্ষ থেকে নবদম্পতিকে সাধুবাদ জানিয়েছি। আমার মনে হয়, তাঁরা ব্যক্তিগত জীবনে কী চলবেন, কী ভাবে সাংসারিক জীবন কাটাবেন সেটা সমাজ বলে দেবে না। তাঁদের ইচ্ছে হয়েছে সংসার পাতার তাই তাঁরা বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তা সে বেশি বয়স হোক বা কম বয়স। বিদেশে তো বেশি বয়সে বিয়ের রেওয়াজ আছে। ৭০ বছরে বিয়ে করেও একে অপরের মন জুগিয়ে চলতে পারে। যাঁরা কটাক্ষ করছেন তাঁরা করতেই পারেন। সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের রুচির ব্যাপার। বিয়ে করে তো কোনও অন্যায় করেননি। ব্যক্তিগতভাবে আমার মত, দুজন দুজনকে পছন্দ করে জীবনের একটা সুন্দর পদক্ষেপ নিয়েছেন।'
ঊষসী চক্রবর্তী, যিনি নানা বিষয়ে নিজের মত প্রকাশ করেন দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ে নিয়ে মুখে একেবারে কুলুপ এঁটেছেন। তাঁর মতে, ' দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে কিছু মন্তব্য করা আমার এক্তিয়ার বহির্ভূত বলে মনে হয়। আমার মন্তব্য করাটা ঠিক সাজে না। ওঁর বিয়ে নিয়ে কথা বলার আমি কে? তৃতীয় ব্যক্তির জীবন নিয়ে কথাটা না বলাই শ্রেয়। এটা আমার পছন্দ নয়। বিয়ে একটা পার্সোনাল চয়েস। যে বিয়ে করছে সেটা সম্পূর্ণ সেই দুজন মানুষের সিদ্ধান্ত। কোনও তৃতীয় ব্যক্তি, সমাজ, কারও কোনও বক্তব্য থাকার কথাই নয়, সেটা বয়স-ধর্ম-জাতি-কাল নির্বিশেষে।'
আরও পড়ুন: কারও চরিত্র তো পালটাতে পারব না, আমার মতো দিলীপকে যেন শুনতে না হয়: দোলন রায়
দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ে ঘিরে কুমন্তব্যগুলো যেন আরও একবার অভিনেত্রী দোলন রায়কে পুরনো ক্ষতকে মনে করিয়ে দিয়েছে। তিনি বলছেন, ' যখন দেখছি সেই একই ঘটনার পুনরাবৃতি, অত্যন্ত বাজে মন্তব্য তাই ভাবলাম যাঁরা এমন লিখছেন বা বলছেন তাঁদেরকে একটু অনুরোধ করেছি মাত্র। আমি তো মানুষের চরিত্র পালটানোর দায়িত্ব নিতে পারব না। আর সেটা সম্ভবও নয়। এদের চরিত্রটা এইরকমই। তাই এরা বলবেই। অনুরোধ করা ছাড়া তো আমার আর কোনও উপায় নেই। কাল থেকে এত খারাপ মন্তব্য দেখে নিজের পুরনো দিনগুলোর কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। এগুলো শুনতে কতটা খারাপ লাগে সেটা তো বুঝি। তাই মনে হচ্ছিল আমার মতো যেন দিলীপ ঘোষকে আর শুনতে না হয়।'
আরও পড়ুন: আজ উনিশে এপ্রিল, মা মেয়ের সম্পর্কের রসায়ন বদলে দিয়েছিলেন দেবশ্রী! জানেন কী ভাবে?