Satti Sabitri: বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগের কিংবদন্তী অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। উত্তমকুমার থেকে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সহ একাধিক প্রবাদপ্রতীম নায়কের সঙ্গে জুটি বেঁধে সফল হয়েছিলেন। উত্তম জমানার অভিনেত্রী আজও সমান দাপটের সঙ্গে অভিনয়টা কিন্তু, করে চলেছেন। এই মুহূর্তে বাংলা মেগায় কাজ করছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ হয়েছেন। তবে সুস্থ হয়ে আবার ফ্লোরে ফিরেছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। দেজ পাবলিকেশনের তরফে প্রকাশিত হয়েছিল সত্যি সাবিত্রী। যে বইটির লেখিকা ছিলেন খোদ সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। তাঁর জীবনের জানা-অজানা সব গল্পই লিখেছিলেন। Subhabrata Maitra নামক এক ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই বইয়ের একটি অংশ শেয়ার করেছেন।
আরও পড়ুন: বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগে কী ভাবে সাফল্য সেলিব্রেট হত? উত্তম জমানার গল্প বললেন সাবিত্রী
তাঁর দাবি, সাবিত্রী নাকি নিজেই বলেছিলেন, মহানায়ক উত্তমকুমার সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়কে মদ্যপানে অভ্যস্ত করিয়েছিলেন। সাবিত্রীর বাবা শশধর চট্টোপাধ্যায় যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন সেই মদ খাওয়ার পরিমাণ পরিমিত ছিল এবং বাড়িতে মদ ঢুকতো না। পিতার মৃত্যুর পর সাবিত্রী যখন একপ্রকার অভিভাবক হয়ে উঠেছিলেন তখন থেকেই বাড়িতে মদের বোতলের প্রবেশাধিকার হয়েছিল। পিতৃবিয়োগের শোক নাকি মদ্যপানের আরও একটি অন্যতম কারণ ছিল।
আরও পড়ুন: তাঁরা কেউ বেঁচে নেই যে জন্মদিনে আমাকে পায়েস করে খাওয়াবে : সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়
একইসঙ্গে আরও একটি বিষয়ে স্পষ্ট করেছেন, 'মনের শাসনে চলি মন যদি ভালো থাকে তাহলে আমি মদ ছুঁয়ে দেখিনি দিনের পর দিন,মাসের পর মাস,এমনও হয়েছে। কিন্তু একদিন যখন দেখলাম,বুঝতে শিখলাম,হাজার মানুষের ভিড়েও আমার চারপাশটা সত্যিই শূন্য, নিজের বলতে কেউ নেই, সেই দিন থেকে মদ আমার নিত্য সঙ্গী হয়ে উঠল। তবু একটা কথা হলফ করে বলছি ,চিরকাল আমি মদকে খেয়েছি মদ আমাকে কখনো খেতে পারে নি। আর মদ খেয়ে কখনো বেলেল্লাপনা করিনি।' সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায় সত্যিই মদ্যপায়ী ছিলেন? সত্যি সাবিত্রী বইয়ের এই কথাগুলো সত্যি? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার তরফে যোগাযোগ করা হয়। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী সরাসরি নাকচ করে দেন।
আরও পড়ুন: উত্তমকুমারের থেকে অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন শর্মিলা ঠাকুর, তারপর যা হয়েছিল...!! সেই গল্প শুনলে তাজ্জব বনে যাবেন