Satish Shah Career: 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই'-এ ব্যর্থতা-পারিশ্রমিকে সমঝোতা, ধাক্কা সামলে কী ভাবে টেলিভিশনের 'আইকন' হলেন সতীশ?

Satish Shah: হিন্দি টেলিভিশনের অন্যতম হিট সিটকম সারাভাই ভার্সেস সারাভাই। সম্প্রচারের সময় টিআরপি ছিল অত্যন্ত কম। ব্যর্থ প্রজেক্ট বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর যা হল তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

Satish Shah: হিন্দি টেলিভিশনের অন্যতম হিট সিটকম সারাভাই ভার্সেস সারাভাই। সম্প্রচারের সময় টিআরপি ছিল অত্যন্ত কম। ব্যর্থ প্রজেক্ট বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর যা হল তা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
cats

সতীশের কেরিয়ার কথা

Satish Shah TV career: শনিবার ৭৪ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সারাভাই ভার্সেস সারাভাই খ্যাত সতীশ শাহ। কমেডি কিং-এর অকাল মৃত্যুতে বিনোদুনিয়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মৃত্যুকালে রেখে গেলেন অসংখ্য স্মৃতি ও হাসির মুহূর্ত যা তাঁর অনুরাগীদের মনে চিরস্থায়ী হয়ে আছে। তাঁর অভিনীত বহু চরিত্রের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল ইন্দ্রবদন সরাভাই। হিট সিটকম সারাভাই ভার্সেস সারাভাই–এর সেই কিংবদন্তি চরিত্র আজও দর্শকের স্মৃতিতে একদম টাটকা। এই ধারাবাহিকটি পরবর্তীতে এক 'কাল্ট ক্লাসিক'-এ পরিণত হয়েছিল। মজার বিষয়, সম্প্রচারের সময় সিরিয়ালটির টিআরপি ছিল অত্যন্ত কম এবং এটি সতীশ শাহের টেলিভিশন জীবনের অন্যতম ব্যর্থ প্রজেক্ট বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু, আজ তাঁর রসবোধ, আন্তরিকতা ও প্রাণবন্ত উপস্থিতির মাধ্যমে ভারতীয় টেলিভিশনের ইতিহাসে অমর হয়ে গেলেন।

Advertisment

টিভি কেরিয়ারের প্রথম ব্যর্থতা 

এক পুরোনো সাক্ষাৎকারে সতীশ শাহ জানিয়েছিলেন, 'সারাভাই ভার্সেস সারাভাইকে সাপ্তাহিক ধারাবাহিক হিসেবে করেছিলাম। সেই সময় সিরিয়ালটি তেমন প্রচারের আলোয় আসেনি। যখন দর্শক বুঝল যে সিরিয়ালটি সত্যিই ভাল তখনই কম টিআরপি-র কারণে সেটি বন্ধ হয়ে যায়। এটা আমার টেলিভিশন কেরিয়ারের প্রথম ব্যর্থতা, খুব খারাপ লেগেছিল। পরে দর্শক এই সিরিয়ালের প্রেমে পড়ে যায়।' আরও যোগ করেছিলেন, 'প্রথমবার প্রচারের সময় সারাভাই একদম ব্যর্থ হয়েছিল। নইলে আজও হয়ত সেটি চলত। এই সিরিয়ালের জন্য আমি পারিশ্রমিকেও সমঝোতা করেছিলাম।'

আরও পড়ুন তারাদের দেশে মিলিয়ে গেল হাসি, এক নজরে কৌতুক অভিনেতা সতীশের সেরা পাঁচটি কাজ

Advertisment

রত্না পাঠকের সঙ্গে শাহর পুরোনো যোগ

রত্না পাঠক শাহ ও সতীশ শাহের মায়া–ইন্দ্রবদন জুটির রসায়ন ছিল ধারাবাহিকের অন্যতম আকর্ষণ। এই কেমেস্ট্রির নেপথ্যে ছিল ব্যক্তিগত পুরোনো সম্পর্কও। সতীশ বলেছিলেন, 'রত্নাজির মা ও আমার বাবার ছোটবোন ছিলেন পরম বন্ধু। রত্নাজির মায়ের বিয়ে হয়েছিল আমার পিসির বাড়িতে। তখন আমরা কেউই অভিনয় জগৎ-এ আসিনি কিন্তু পরস্পরকে চিনতাম। পরে যখন পেশাগতভাবে দেখা হয় খুব সহজেই আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ওঁর স্বামী নাসিরুদ্দিন শাহ আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু আর আমার স্ত্রী রত্নার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী। তাই আমরা যখন পর্দায় স্বামী–স্ত্রীর ভূমিকায় অভিনয় করতাম সেটা বাস্তবের মতো মনে হত।'

মহিলারা ইন্দ্রবদনের মতো স্বামী চাইতেন না

এক সাক্ষাৎকারে সতীশ জানিয়েছিলেন সারাভাই ভার্সেস সারাভাই মূলত উচ্চবিত্ত দর্শকদের জন্য বানানো হয়েছিল। স্টার ওয়ান চ্যানেলটি তখন এলিট দর্শকগোষ্ঠীর উদ্দেশে কাজ শুরু করেছিল, যারা সমাজের উচ্চস্তরের মানুষ। এই ধারাবাহিকটিও ছিল সেই স্তরের  মানুষদের জন্যই। পর্দার চরিত্রটির সঙ্গে নিজের মিল খুঁজে পেলেও সতীশ বলেছিলেন, অনেক মহিলা দর্শক ইন্দ্রবদনের মতো স্বামী একেবারেই চাননি। তাঁর কথায়, 'অনেক মেয়েরা আমাকে বলেছে, আমি তোমার মতো শ্বশুর চাই। অনেক ছেলেরা বলেছে, তোমার মতো বাবা চাই। আবার অনেক মহিলাই বলেছে, তোমার মতো স্বামী একদম চাই না।'

আরও পড়ুন মৃত্যুর আগে শাম্মি স্মরণে সতীশ, সোশ্যালে ভাইরাল প্রয়াত অভিনেতার শেষ পোস্ট

সন্ধ্যা ৬টার পর কাজ না করার শর্ত

আফটার আওয়ারস উইথ AAE–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরিচালক  Deven Bhojani, যিনি নিজেও সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন তিনি বলেন, সতীশ শাহ শোতে কাজ করার আগে একটি শর্ত দিয়েছিলেন। আর সেটি হল সন্ধ্যা ৬টার পর কাজ করবেন না। কিন্তু শুটিং শুরু হওয়ার পর পরিস্থিতি পালটে যায়। দেবেন ভোজানি বলেন, 'সতীশজি বাস্তব জীবনেও খুব দুষ্টুমি করতেন। প্রথমে তিনি বলেছিলেন বেশি কাজ করতে চান না, তাই ৬টার পর নয়। আমরা সেই অনুযায়ী সময়সূচি ঠিক করেছিলাম। প্রথম দুই–তিন দিন ঠিকই ৬টার মধ্যে কাজ শেষ করতেন কিন্তু পরে সেটে এত আনন্দ করা শুরু করলেন যে আমরা ‘প্যাক আপ’ বলে দিলেও তিনি রাত ৯টা পর্যন্ত থাকতেন। শুধু বাকিদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জন্য।'

আরও পড়ুন মনে হচ্ছে নিজের বাবাকে হারালাম-লাভ ইউ ড্যাড! সতীশের প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন পর্দার দুই সন্তানের

Satish Shah