Sayak Chakraborty: ২ মে, বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হল ২০২৫-এর মাধ্যমিক ফলাফল। ৬৯ দিনের মাথায় হল ফলপ্রকাশ। ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছিল চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা। শেষ হয় ২২ ফেব্রুয়ারি। এবারের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ৬৯ হাজার ৪২৫ জন। এর মধ্যে রেগুলার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৯ লক্ষ ১৩ হাজার ৮৮৩ জন। পাশের হার ৮৬.৫৬ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি।
মেধাতালিকার প্রথম দশে রয়েছে ৬৬ জন পরীক্ষার্থী। মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বেরনোর পর অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে, এত ভাল নম্বর পাওয়ার পিছনে রহস্যটা কী? যারা মেধাতালিকার প্রথম ১০-এ রয়েছে তারা বইয়ের থেকে মুখ তোলে না? এইরকম নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খায় জনপ্রিয় ইউটিউবার ও অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীর মাথাতেও। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে মজার একটি ঘটনা শেয়ার করেন।
আরও পড়ুন: অঙ্কে ভীতি ছিল? মাধ্যমিকে কত পেয়েছিলেন? 'অঙ্ক কি কঠিন' মুক্তির আগে জানালেন ঊষসী
তিনি নাকি এক বন্ধুর ভরসাতেই মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন। নিজের মাথাকে 'নীরেট' বলতেও বিন্দুমাত্র সংকোচ করলেন না সায়ক। মজার ঘটনা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, 'স্কুল লাইফে আমার একমাত্র ভরসার পাত্র ছিল গুল্লু (পলাশ মন্ডল) । পরীক্ষার আগে ওঁর থেকেই নোট নিতাম। আমি যতই পড়তাম মাথায় কিছুই ঢুকত না। যাকে বলে গবেট মাথা। নিজের বিষয়ে সত্যি বলতে আমার কোনও দ্বিধা নেই। দাদাভাই ছিল আমার বিপরীত। এত ভাল নম্বর পেত। ও পড়াশোনাতেও খুব ভাল ছিল। গুল্লু না থাকলে মাধ্যমিক পর্যন্ত উৎরাতে পারতাম না। আমি খুব ভাল লিপ রিড করতে পারি। আমি যদি কিছু জিজ্ঞাসা করতাম ও বলে দিত। তখন তো টিক মার্কের উপরও অনেকটা নম্বর থাকত। যেখান থেকে যা হাতড়ে পাওয়া যেত। টুকলি তো আর করতে পারতাম না। আমার মনে গভীর প্রশ্ন মানুষ এত পড়শোনা করে কী ভাবে ভুরি ভুরি নম্বর পায়? আমি যে কেন পেতাম না! আমি তো পড়ে না পড়ে কোনওভাবেই পাইনি।'
প্রসঙ্গত, প্রায় এক বছর পর মেগায় গ্র্যান্ড কামব্যাক অভিনেতা ও জনপ্রিয় ভ্লগার সায়ক চক্রবর্তীর। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেটেস্ট মেগা 'চিরসখা'-র হাত ধরে ছোট পর্দায় ফিরেছেন। এই মুহূর্তে তুই আমার হিরো ধারাবাহিকে কাজ করছেন। চিরসখার আগে সায়ককে শেষ দেখা গিয়েছিল 'মঙ্গলময়ী মা শীতলা' ধারাবাহিকে।
এক বছর পর ঘর ওয়াপসি ঘটতেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে তিনি বলেছিলেন, 'অনেক কলই পেয়েছিলাম। কিন্তু, প্রতিদিনের শ্যুটিং সিডিউলের সঙ্গে আমার সময় ঠিক মতো ম্যাচ করছিল না। চরিত্রগুলোও খুব একটা মনপসন্দ ছিল না। সেই জন্য ভ্লগটাই করছিলাম। কিন্তু, কাজের যে তৃপ্তি সেটা তো আর ভ্লগ থেকে পাচ্ছিলাম না। লীনা দির সিরিয়ালে সুযোগ পেয়ে এক বছর আবার চেনা ছন্দে ফিরতে পারলাম।'
আরও পড়ুন:'পাঁচদিন আগেও কথা হল', টলিপাড়ার 'দাদু'-র প্রয়াণে শোকস্তব্ধ কৌশিক! মন খারাপ শ্রুতি-রাহুলের