Shweta Tiwari News: ২০০০ সালে গোড়ার দিকে জনপ্রিয় টিভি ধারাবাহিক 'কসৌটি জিন্দেগি কে'-তে অভিনয়ের মাধ্যমে রাতারাতি খ্যাতির শিখরে পৌঁছে যান টেলি অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারি। প্রেরণার চরিত্রে শ্বেতার অভিনয় আর অনুরাগের সঙ্গে ছোট পর্দায় প্রেমের রয়াসন আজও ভোলেনি দর্শক। এখনও শ্বেতা তিওয়ারি সকলের কাছে প্রেরণা নামেই বেশি জনপ্রিয়। অভিনেত্রী হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও ব্যক্তিগতজীবন মোটেই সুখের ছিল না। বৈবাহিত বিচ্ছেদের পর 'সিঙ্গল মাদার' হিসেবে দুই সন্তানকে মানুষ করেছেন। আর মা হিসেবে বেশ কড়া শাসনেই রাখেন সন্তানদের। সম্প্রতি শ্বেতা তিওয়ারি তাঁর মেয়ে পলক তিওয়ারি-কে বড় করে তোলার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।
ভারতী টিভির ইউটিউব চ্যানেলের একটি চ্যাট শো-তে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, তিনি কখনোই খুব কঠোর ছিলেন না তবে বাড়িতে বেশ কিছু নির্দিষ্ট নিয়মের বাঁধনে পলককে বেঁধেছিলেন। শৃঙ্খলা পরায়ণতা শেখানোই ছিল মূল উদ্দেশ্য। শ্বেতা বলেন, 'আমি কঠোর ছিলাম না, কিন্তু আমাদের বাড়িতে কিছু নিয়ম ছিল। যদি তুমি বল যে তুমি রাত ১টার মধ্যে ফিরে আসবে তাহলে তোমাকে ১টা তেই দরজার সামনে থাকতে হবে। পার্টি থেকে তখন বের হও না কেন সময়ের জ্ঞান থাকতে হবেই।'
তিনি আরও জানান, 'পলকের বন্ধু ও তাঁদের পরিবারের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ থাকত। আমি বলতাম প্রথমেই কিন্তু, ওঁদের ফোন করব না তবে যদি তোমার ফোন বন্ধ থাকে তাহলে আমি তোমার বন্ধুদের ফোনেই ফোন করব। প্রয়োজনে ওঁদের মায়েদেরও ফোন করব।' এখানেই শেষ নয়, এমনকি মেয়ের ফোন ট্র্যাক করাও ছিল তার নিয়মের মধ্যে।
আরও পড়ুন 'আমাকে সহ অভিনেতার বাথরুম পর্যন্ত...', ইন্ডাস্ট্রির লিঙ্গবৈষম্য নিয়ে বিস্ফোরক নুসরত
পলকের নিরাপত্তা নিয়ে শ্বেতা বলেন, 'আমি একটু ভয় পেয়েছিলাম কারণ ও কন্যা সন্তান। ছোটবেলা থেকেই কিছু বিধিনিষেধ ছিল। ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত পলক মেকআপ ব্যবহার করতে পারেনি এবং স্কুল শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে ফোন দেওয়া হয়নি। পলককে বাজেটের মধ্যে খরচ করার শিক্ষা ছোটবেলা থেকেই দেওয়া হয়েছে।'
আরও পড়ুন বাংলা ছবিতে 'থ্রি ইডিয়টস' খ্যাত বলিউড তারকা, বিপরীতে কোন টলি অভিনেত্রী?
আরও বলেন, 'আমি ওকে প্রতিমাসে একটা নির্দিষ্ট খরচের টাকা দিতাম। যেমন ২৫,০০০ টাকা, তবে সেক্ষেত্রেও একটা নিয়ম ছিল। যদি বেশি খরচ করতে চাইত তাহলে ওকে ঘরের কাজ করতে হত। আর কাজের তালিকাও ছিল নির্দিষ্ট। বাথরুম পরিষ্কার করলে ১০০০ টাকা, বিছানা গুছিয়ে রাখলে ৫০০ টাকা, থালা পরিষ্কার করলে ১০০০ টাকা।'
এইভাবে পলক ছোট থেকেই দায়িত্বশীল হয়ে উঠেছেন। আজ তিনি নিজেই উপার্জন করছেন কিন্তু এখনও তাঁর অর্থ বিনিয়োগের দায়িত্ব পালন করেন তারকা মম শ্বেতা তিওয়ারি। এই প্রসঙ্গে পর্দার প্রেরণা বলেন, আমি ওঁর অ্যাকাউন্টে সব টাকা রাখি না। ও তো মাঝে মাঝে বলে,মুঝে কাঙ্গাল কর দিয়া, মেরে পয়সা নিকাল লিয়ে। আমি তখন ওকে বোঝাই, তোমারই সেভিংস অন্য কারোও নয়।
আরও পড়ুন 'শ্বশুরের প্রশ্রয়ে রক্ষিতাকে নিয়ে...', স্বামীর খুল্লামখুল্লা পরকীয়া নিয়ে বিস্ফোরক বাঙালি অভিনেত্রী