Sohan Banerjee In Kesari Chapter 2: ১৮ এপ্রিল সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে Kesari Chapter 2। মুক্তির পর বক্স অফিসে বেশ ভালই সাড়া ফেলেছে ছবিটি। কেশরি ২-এর সঙ্গে রয়েছে কলকাতার বিশেষ যোগ। আসলে অক্ষয়ের সঙ্গে এই ছবিতে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন খাস কলকাতার অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। আইনজীবীর চরিত্রে তাঁর অভিনয় দর্শকের মনে দাগ কেটেছে। টলিপাড়ার বহু তারকাই বলিউডে কাজ করেছেন। সেই তালিকার নয়া সংযোজন সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা সিরিয়ালের সৌজন্যে মেগার দার্শকের কাছে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। প্রথমবার বলিউডি ছবিতে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন? অক্ষয়ের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের পর হিন্দি ছবিতে কাজের ইচ্ছে আরও বেড়ে গেল? বাংলায় এতদিন রাজত্বের পর বলিউড থেকে 'কল' পেতে অনেকটা সময় লেগে গেল? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে আলাপচারিতায় অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/5845d56a-bc4.jpg)
আরও পড়ুন: আজ উনিশে এপ্রিল, মা মেয়ের সম্পর্কের রসায়ন বদলে দিয়েছিলেন দেবশ্রী! জানেন কী ভাবে?
সিনেমার প্রস্তাবটা কী ভাবে পেয়েছিলেন?
কলকাতার কাস্টিং ডিরেক্টর সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায় আমার সঙ্গে ২০২২-এর অক্টোবরে যোগাযোগ করেন। আমাকে বলেছিলেন, মুম্বইয়ে একটি বিগ বাজেটের প্রজেক্টে র কাজ হবে। আইনজীবীর চরিত্রের জন্য আপনার অডিশন নিতে চান। আমি হিন্দি ও ইংরাজি দুটি ভাষাতেই সাবলীল, সেটা ওঁরা আগে জেনে নিয়েছিলেন। এই চরিত্রে আমাকে বাছাইয়ের নেপথ্যে এটি অন্যতম একটি কারণ। মুম্বইয়ের কাস্টিং ডিরেক্টর রামনের সঙ্গেও আমার বেশ কয়েকবার ভিডিও কনফারেন্সে কথা হয়েছে। উনি আমাকে স্ক্রিপ্ট পাঠান। তখনও জানতাম না কোন হাউজ বা কোন সিনেমা। এরপর যখন আমি এই সিনেমার জন্য প্রায় ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত হলাম তখন আমার সঙ্গে করণ সিং ত্যাগী যোগাযোগ করেন। যেহেতু আইনজীবীর চরিত্রে অভিনয় করব সেই বিষয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়। আইন নিয়ে ওঁর বিস্তর জ্ঞান রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে আমিও আইন সংক্রান্ত কিছু বিষয় জানি। সব মিলিয়ে এভাবেই কেশরি ২-এর জন্য আমাকে চূড়ান্ত করা হয়।
অক্ষয়ের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
অক্ষয় কুমারের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা খুবই ভাল। মুম্বইয়ের মানুষজন অনেকবেশি প্রফেশনাল। আমার যে জিনিসটা খুব লেগেছে সেটা হল ওঁরা প্রত্যেককে যোগ্য সম্মানটুকু দিতে জানেন। অক্ষয় কুমার কল টাইমের আগেই সেটে পৌঁছে যেতেন। আমি ওনাকে স্যার সম্বোধন করতাম। উনিও কিন্তু আমাকে পালটা স্যার বলেই সম্মান করেছেন। অসম্ভব নিয়মানুবর্তী একজন অভিনেতা। ফ্লোরে এসে আমার সঙ্গে আলাপ করেছেন। সেটে এসে প্রথমেই রিহার্স করতেন তারপর শট দিতে যেতেন। যতবার আমাদের কথা হয়েছে দুজন দুজনকে স্যার সম্বোধন করেই কথা বলেছি। কাজের সময় খুব সিরিয়াস। কোনওরকম বিরক্তি ছাড়াই প্রয়োজনে একটা শট বহুবার দিয়েছেন। একটানা আট ঘণ্টা শুটিং করতেন। প্রথমবার কাজ করে খুব ভাল অভিজ্ঞতা সঞ্চার করেছি। অত্যন্ত সুভদ্র ব্যবহার। কাজটা যে উনি প্রফেশনালি করতে এসেছেন সেটা আমি অন্তর থেকে উপলব্ধি করেছি।
কেশরি ২-তে কাজ করতে গিয়ে ওখানে গিল্ড-ফেডারেশনের কোনও অন্তর্দ্বন্দ নজরে এসেছে?
গিল্ড-ফেডারেশন ওখানেও আছে। এখানে যেমন আর্টিস্ট ফোরাম আছে ওখানেও একটা সংস্থা রয়েছে। ওগুলোর ব্যপ্তি অনেক বড়। গোটা ভারতজুড়ে কাজ হয়। শিফটের একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, যেটা আমাদের এখানে অনেকসময় শিথিল হয়ে যায়। আমাদের এখানে যেমন নিয়ম আছে তেমনই আবার নিয়ম ভাঙারও একটা প্রবণতা আছে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিটা ছোট বলেই হয়তো এখানে এগুলো সম্ভব। আর্থিক দিক থেকেও মুম্বইয়ের সঙ্গে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির কোনও তুলনা হয় না। তবে আন্তরিকতা অনেকটা গভীর। মুম্বই অনেক বেশি পেশাদার।
আরও আগে বলিউডে সুযোগটা পাওয়া উচিত ছিল?
আমি কোনওদিন সিনেমা বা মেগায় অভিনয় করব সেটা কখনও ভাবিনি। থিয়েটার আমার রক্তে। কর্পোরেটে উচ্চপদের চাকরি ছেড়ে আমি নাটকে মনোনিবেশ করেছিলাম। এরপর ঘটনাচক্রে টেলিভিশনের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছি। সিনেমায় খুব বেশি সুযোগ পাইনি। আসলে বাঙালিদের চেহারা বোধহয় আমার মতো এত বড়সড় নয়, সেই জন্যই হয়ত সিনেমায় সুযোগ পাইনি (ফোনের ওপারে হাসি)। তবে যে কটা কাজ করেছি দর্শকের প্রশংসা কুড়িয়েছি। আগামী দিনে যদি আবার বলিউডের ছবিতে কাজের সুযোগ পাই নিশ্চয়ই করব।
আরও পড়ুন: মহারাজের মহাধামাকা! কোটি কোটি টাকার চুক্তিতে টেলিভিশনে গ্র্যান্ড কামব্যাক, একজোড়া শো নিয়ে আসছেন সৌরভ