জনপ্রিয় নায়িকাদের বেশিদিন টেলিপর্দায় না দেখলে দর্শকের মন খারাপ হয়। 'খোকাবাবু' শেষ হওয়ার পরে বেশ কিছুদিন 'থাই কারি' ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন তৃণা। কিন্তু এমনটা নয় যে তৃণা এবার পুরোপুরি বড় পর্দাতেই মনোনিবেশ করবেন। আসলে তেমন কিছু নির্দিষ্ট করে রাখেন নি তিনি। সেই প্রসঙ্গে কথা উঠতেই সুখবরটা জানালেন তৃণা, আসছে তাঁর নতুন ধারাবাহিক।
কিছুদিন আগেই 'ঠাকুরমার ঝুলি'-তে একটি রূপকথার চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু দর্শক আবারও তাঁকে 'তরী'-র মতো কোনও সাড়া-জাগানো টেলি-নায়িকার ভূমিকায় দেখতে চান। নায়িকা জানালেন, সেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। সম্ভবত এই মাসেই নতুন ধারাবাহিকের প্রোমো দেখানো হবে এবং ধারাবাহিকের সম্প্রচার শুরু হবে মে মাসে।
আরও পড়ুন: সিরিয়াল নয়, অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত ‘ইমন’
সাধারণত আইপিএল সিজনে নতুন ধারাবাহিক লঞ্চ হয় না। সেই কথা মাথায় রেখে মোটামুটি আশা করা যেতে পারে যে একমাস পরে শুরু হবে সম্প্রচার এবং আবারও টেলিপর্দায় নিয়মিত দেখা যাবে জনপ্রিয় নায়িকাকে। "এটা স্নেহাশিসদার প্রজেক্ট আর গল্পটা একদম অন্য রকম। আমার তো মনে হয় না এরকম কোনও কনসেপ্টের উপর বাংলা টেলিভিশনে এর আগে কাজ হয়েছে। আমি তাই সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নিই যে এটাই করব," জানালেন তৃণা।
স্নেহাশিস চক্রবর্তী পরিচালিত স্টার জলসা-র ধারাবাহিক 'খোকাবাবু' দিয়েই টেলিপর্দায় আবির্ভাব তৃণার, এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অত্যন্ত প্রিয়পাত্রী হয়ে ওঠেন দর্শকের। ধারাবাহিকটি পুরুষ চরিত্র কেন্দ্রিক হলেও, নায়িকা তরীর চরিত্রটিকে সাদরে গ্রহণ করেন দর্শক। আবারও স্নেহাশিস চক্রবর্তীর পরিচালনায় কাজ করার সুযোগ এসেছে বলে অত্যন্ত আনন্দিত নায়িকা।
নতুন এই ধারাবাহিক নিয়ে এখন বেশি কিছু বলা বারণ, তবে এইটুকু জানালেন তৃণা যে 'খোকাবাবু' ইউনিটের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই দেখা যাবে এই ধারাবাহিকে। প্রযোজক স্নেহাশিস চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং 'খোকাবাবু'-তে তরীর বউমণি, রূপসা চক্রবর্তী, থাকবেন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নের দেশে হনিমুনে অঙ্কিতা, রইল ভিডিও
কথোপকথনের মধ্য়ে উঠল 'থাই কারি'-র প্রসঙ্গ। এবছর মার্চ মাসের শুরুতেই মুক্তি পায় অঙ্কিত আদিত্য পরিচালিত এই ছবি, যেখানে নায়িকার ভূমিকায় রয়েছেন তৃণা। হিরণ, সোহম ও রুদ্রনীল ঘোষ হলেন প্রধান তিন প্রোটাগনিস্ট। ছবির বেশিরভাগ শুটিংই হয় থাইল্যান্ডে। কেমন ছিল শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা?
"খুবই ভাল লেগেছে ওই ছবিতে কাজ করে। সবাই খুবই হেল্প করেছে আমাকে। আমার বেশিরভাগ সিন থাকত হিরণের সঙ্গে," বললেন তৃণা। "একটা সিনে সাম্য, মানে হিরণকে থাপ্পড় মারার ব্য়াপার ছিল। ওই সিনটায় এত হেল্প করেছে, আমাকে খুবই কমফর্টেবল করে দিয়েছিল যাতে আমার অভিনয়টা করতে অসুবিধা না হয়।"
আরও পড়ুন: নতুন নায়কের সঙ্গে রসায়ন কেমন, জানালেন স্বস্তিকা
বড়পর্দা এবং ছোটপর্দা, দুই মাধ্যমেই তিনি সমান সাবলীল। তবে বড়পর্দায় শুধু অভিনেত্রী নয়, অদূর ভবিষ্যতে পরিচালকের ভূমিকাতেও আসতে চান তিনি। কিন্তু ছোটপর্দা মানেই বাংলার ঘরে ঘরে দর্শকের অসীম ভালবাসা, এবং ভাল চরিত্র পেলে সেই ভালবাসাকে উপেক্ষা করতে একেবারেই রাজি নন তৃণা।