Udaipur Files producer Death Threat: ৮ অগাস্ট মুক্তি পেয়েছে 'উদয়পুর ফাইলস'। মুক্তির ঠিক পরদিন অর্থাৎ ৯ অগাস্ট শনিবার থেকে অচেনা নম্বরে ফোন আসছে। সেই সঙ্গে পাচ্ছেন মৃত্যুর হুমকিও। এক্স হ্যান্ডেলে সে কথা নিজেই জানিয়েছেন উদয়পুর ফাইলসের প্রযোজক অমিত জানি। শনিবার এক্স-এ তিনি জানান, একটি অপরিচিত নম্বর থেকে বারবার ফোন আসছে। বোমা মেরে বা গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/f2429b85-45c.jpg)
প্রযোজক অমিত জানির দাবি, ওই অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নিজেকে নাম ‘তাবরেজ’ বলে পরিচয় দিয়েছেন এবং জানিয়েছে তিনি বিহারের বাসিন্দা। পোস্টের মাধ্যমে অমিত জানি কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছেন তাবরেজের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে তাকে যেন অবিলম্বে গ্রেফতার করা হয়। গত মাসে অর্থাৎ জুলাইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশে উদয়পুর ফাইলসের প্রচারের সময় প্রযোজককে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তার দিয়েছিল।
আরও পড়ুন 'আজ থেকে ১৩ বছর আগে...', কাঞ্চনের সঙ্গে প্রথম দেখার পর কী ভাবে মিস টু মিসেস হলেন শ্রীময়ী?
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট তাকে পুলিশি সুরক্ষা চাওয়ার অনুমতি দেয়। কারণ তিনি প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তায় ৮ থেকে ১১ জন কর্মী থাকেন। যার মধ্যে কমান্ডো বাহিনীর সদস্যও অন্তর্ভুক্ত থাকেন এবং তাঁরা কড়া নিরাপত্তার বলয়ে সেই ব্যক্তিকে ঘিরে রাখেন। দিল্লি হাইকোর্ট ছবিটি মুক্তির অনুমতি দেওয়ার পর ৮ আগস্ট, শুক্রবার, উদয়পুর ফাইলস ভারতে মুক্তি পেয়েছে।
ছবিটি মূলত ১১ জুলাই মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তবে সেন্সর ও আইনি জটিলতার কারণে বারবার মুক্তি পিছিয়ে যায়। সরকার ছবিটি মুক্তির বাধ সাধলে সেই সমস্যা মোকাবিলার জন্য দিল্লি হাইকোর্টকে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। কেন এত জটিলতা তৈরি হয়েছিল? প্রসঙ্গত, উদয়পুর ফাইলস ২০২২ সালের কানহাইয়া লাল হত্যাকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে নির্মিত এক সিনেমা। কানহাইয়া লাল, একজন দর্জি, রাজস্থানের উদয়পুরে দিনে-দুপুরে নিজের দোকানেই নির্মমভাবে খুন হন।
তিনি প্রাক্তন বিজেপি সদস্য নূপুর শর্মাকে সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলেন। যিনি বেসরকারি চ্যানেলের একটি শোয়ে নবী মোহাম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন। একটি প্রতিবেদন থেকে সেই সময় জানা যায়, প্রধান অভিযুক্ত মোহাম্মদ রিয়াজ আত্তারি ও গহৌস মোহাম্মদ কাপড় সেলাই করানোর অছিলায় দোকানে ঢুকে তাঁর ওপর ছুরি দিয়ে হামলা চালায় এবং গলা কেটে দেয়। হত্যার সেই ভয়াবহ ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে দায় স্বীকার করেছিল।
আরও পড়ুন নাচ-গান আর রকমারি আহারে জমজমাট রবিবাসরীয় রাত, 'গৃহপ্রবেশ'-এর বিশেষ পর্বে শুভশ্রীর সঙ্গে থাকছেন আর কারা?
ক্ষোভে ফেটে পড়েছিল দেশবাসী। চরমপন্থা ও সাম্প্রদায়িক সহিংসতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর UAPA-সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হয়। প্রথমে রাজস্থান পুলিশ তদন্ত চালালেও পরে সেই তদন্তভার যায় জাতীয় তদন্ত সংস্থা (NIA)-এর কাছে। বর্তমানে মামলাটি জয়পুরের বিশেষ এনআইএ আদালতে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন 'বিয়ে কোনও সুখ নয়...', ২৮ পেরিয়ে ২৯-এ পা দিয়ে বিবাহবার্ষিকীতে কেন এমন বললেন অপরাজিতা?