Widow's Shadow Suman Adhikary: গতানুগতিক ছবির বাইরে একটু ছকভাঙা গল্প দেখতে পছন্দ করেন অনেকেই। এবার তাঁদের শখপূরণ করতে প্রস্তুত পরিচালক সুমন অধিকারী। বলিউডের মুভি হলেও রয়েছে কলকাতা কানেকশন। কারণ পরিচালক সুমন খাস কলকাতার ছেলে। কর্মসূত্রে বিগত আট বছর তাঁর স্থায়ী ঠিকানা মায়ানগরী মুম্বই। নবাগত পরিচালক হিসেবে একপ্রকার সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বললে খুব একটা ভুল বলা হবে না। জাতিগত বৈষম্য, মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক ও সমকামিতার প্রেক্ষাপটে গল্প বুনেছেন পরিচালক সুমন অধিকারী। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ছবি বানিয়ে সেন্সর বোর্ডের নানাবিধ সমস্যারও সম্মুখীন হয়েছেন। ১৮ এপ্রিল ভারতব্যাপী মুক্তি পেতে চলেছে সুমন অধিকারীর 'Widows Shadow'। তার আগে ছবি নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলার সঙ্গে কথা বললেন পরিচালক।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/59831e6f-2e7.jpg)
নারী কেন্দ্রীক এই ছবির কেন্দ্রীয় আকর্ষণ জাতিগত বৈষম্য, সম্পর্কের জটিলতা আর সমকামিতা। দুটো গ্রাম্য মেয়ের জীবনযুদ্ধের লড়াইয়ের নেপথ্য কাহিনি 'Widows Shadow'। একজন নবাগত পরিচালক হিসেবে এমন কঠিন বিষয়বস্তু নিয়ে ছবি তৈরির ভাবনা কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক সুমন অধিকারীর জবাব, 'এই গল্পটা আমাকে উদ্ভুদ্ধ করেছিল। আমাদের দেশের স্বাধীনতার পর এতগুলো বছর কেটে গিয়েছে। কিন্তু, সমাজ আজও যেন সেভাবে উন্নত নয়। বর্তমানে আমাদের সমাজের অবস্থান সম্পর্কে মানুষকে অবগত করতেই এই ধরনের ছবি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের সমাজের এক শ্রেনির মানুষ আজও ব্যক্তিস্বাধীনতা থেকে অনেক দূরে। তাঁদের কাছে এই সিনেমাটা একটা দৃষ্টান্ত তৈরি করবে।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/38fccd43-b96.jpg)
'Widows Shadow'-এর টার্গেট অ্যডিয়েন্স কারা? সুমনের স্পষ্ট জবাব, '২১ বছরের ঊর্ধে প্রতিটি মানুষ আমার ছবি দেখুক। একজন পরিচালক হিসেবে এর থেকে বড় চাওয়া আর কিছু হতে পারে না। আমরা যাতে আমাদের সমাজকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিতে যেতে পারি, সেই বার্তাই আমি এই ছবির মধ্যে দিয়ে দর্শকের কাছে পৌঁছে দিতে চাই।' সেন্সর বোর্ডের তরফে কতটা বেগ পেতে হয়েছে? পরিচালকের উত্তর, 'সেন্সর বোর্ডের সঙ্গে দীর্ঘ চার মাস লড়াই করেছি। অনেক কাঁচি চলেছে। বহু দৃশ্য বাদ পড়েছে। সংলাপ মিউট করা হয়েছে। এর ফলে দর্শকের সিনেমা দেখার সময় একটা জার্ক মনে হতে পারে। আর সেটার জন্য সম্পূর্ণভাবে দায়ী সেন্সরবোর্ড। তবুও দর্শকের সামনে সিনেমাটা আনতে পারছি এটাই সৌভাগ্যের।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/3f43aed5-1c1.jpg)
একজন বাঙালি হয়েও হিন্দি ভাষার (বলিউড) ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ কেন? সুমনের সোজাসাপটা উত্তর, 'আমি চেয়েছিলাম আমার প্রথম ছবি দেশের প্রতিটি দর্শকের কাছে পৌঁছে যাক। বাংলা সিনেমা হলে হয়ত কলকাতায় হল পেতেও সমস্যাও হত। বলিউড ছবি বলেই হয়ত এক্ষেত্রে অতটা বেগ পেতে হল না।' কলকাতায় ছবি মুক্তি নিয়ে আগে থেকেই আতঙ্কিত? মুচকি হেসে 'Widows Shadow'-এর মেকারের জবাব, 'অনেক কারণেই ভাল সিনেমা বক্স অফিসে সাফল্য পায় না। কলকাতার ক্ষেত্রে যেটা মনে হয় সিনেমার বিষয়বস্তু। অনেকসময় ভাল ছবির সঠিক মূল্যায়ন হয় না।'
/indian-express-bangla/media/post_attachments/bea62925-439.jpg)
আরও পড়ুন: আজও আমার কাছে শুটিং ফ্লোর প্রাণ খুলে শ্বাস নেওয়ার জায়গা, আবার যদি সুযোগ পাই সিনেমা করব: শতাব্দী
ফেসবুকের কভার ফটোতে ইরফানের ছবি। উনিই কি আপনার ছবি তৈরির অনুপ্রেরণা? সুমনের উত্তর, 'যেদিন উনি মারা যান সেদিন ছবিটা সেট করেছিলাম। আজও পালটাই নি। ইরফান খান এমন একজন অভিনেতা যাঁর মৃত্যুর খবরে আমি হাঁউহাঁউ করে কেঁদেছিলাম। ওঁর অভিনয়ের কদর বিশ্বজুড়ে। সামনে থেকে দেখার কোনওদিন সৌভাগ্য হয়নি তবে পরিচালক হিসেবে কাজ শুরুর পর মনে মনে চাই দূর থেকে উনি আমাকে আশীর্বাদ করুন।' পরবর্তী কাজ নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়ে গিয়েছে? দরাজ কণ্ঠে জবাব, 'হ্যাঁ, নিশ্চয়ই। আমার পরের সিনেমা You are mine। অসমে সিনেমার শুটিং হয়েছে।' বাঙালি পরিচালকের বাংলার কোন নায়ক-নায়িকাকে পছন্দ? সুমন অধিকারীর পছন্দ উত্তর কুমার ও সুপ্রিয়া দেবীকে।
আরও পড়ুন: সিগারেটের খালি প্যাকেট তুলে অটোগ্রাফ সুচিত্রা সেনের, মহানিয়াকার কাণ্ড দেখে তাজ্জব...!!