Yuvika Chaudhary IVF: চিকিৎসকের গাফিলতি-IVF এ মারাত্মক যন্ত্রণা, তিন বছরের ভয়ংকর মানসিক যন্ত্রণা ভাগ ইউভিকার

Yuvika Chaudhary IVF struggle: সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ইউভিকা জানিয়েছেন মাতৃত্বের সুখ পেতে দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলেছিল আইভিএফ-এর চিকিৎসা। বছরের পর বছর কী ধরনের মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন সেই কাহিনি নিজের মুখে বলেছেন অভিনেত্রী।

Yuvika Chaudhary IVF struggle: সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ইউভিকা জানিয়েছেন মাতৃত্বের সুখ পেতে দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলেছিল আইভিএফ-এর চিকিৎসা। বছরের পর বছর কী ধরনের মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন সেই কাহিনি নিজের মুখে বলেছেন অভিনেত্রী।

author-image
IE Bangla Entertainment Desk
New Update
cats

IVF-এর যন্ত্রণা ভাগ

Yuvika Chaudhary: হিন্দি টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ইউভিকা চৌধুরী প্রিন্স নারুলা।  ২০২৪ সালে আইভিএফ পদ্ধতির মাধ্যমে কন্যাসন্তান একলিনের বাবা-মা হন তাঁরা। সন্তান সুখের আনন্দের পিছনে রয়েছে এক কঠিন সংগ্রামের গল্প। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ইউভিকা জানিয়েছেন মাতৃত্বের সুখ পেতে দীর্ঘ তিন বছর ধরে চলেছিল আইভিএফ-এর চিকিৎসা। বছরের পর বছর কী ধরনের মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করেছেন সেই কাহিনি নিজের মুখে বলেছেন অভিনেত্রী। 

Advertisment

অত্যাধিক চাপ ও মানসিক যন্ত্রণা

Hauterfly-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউভিকা স্বীকার করেন বিয়ের কয়েক বছর পর থেকেই সন্তান নেওয়ার জন্য তিনি প্রচণ্ডভাবে সামাজিক ও পারিবারিক চাপের মুখে পড়েছিলেন। তিনি বলেন, 'আমিই সবচেয়ে বেশি সন্তান ধারণ করতে চেয়েছিলাম। সেটা সম্পূর্ণ পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে। যদিও প্রিন্স অনেক বেশি রিল্যাক্সড ছিল। '

ভুল চিকিৎসক ও প্রথম ব্যর্থতা

ইউভিকা জানান, প্রথম দিকে তিনি এক ভুল চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন। যাঁর পরামর্শে শুধু ২-২.৫ লাখ টাকা খরচই হয়নি বরং  শারীরিক ও মানসিকভাবে ভয়ঙ্কর চাপের মুখে পড়েছিলে। সেই চিকিৎসক নাকি তাঁকে সরাসরি বলে দেন, তুমি কোনওদিন মা হতে পারবে না। তোমার ডিম্বাণুর গুণমান ভাল নয় তাই কারও থেকে ডিম্বাণু নিতে হবে।' এই কথায় ইউভিকা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েন ইউভিকা। তিনি বলেন, 'আমার বয়স তখন ৩৮ বছর। সেই সময় মনে হল এ কী হয়ে গেল! ওঁর কথায় আমার আত্মবিশ্বাস পুরো শূন্য হয়ে গিয়েছিল। আমি নিজের ওপরই সন্দেহ করতে শুরু করি।'

Advertisment

 আরও পড়ুন IVF পদ্ধতিতে কোলে যমজ সন্তান, জন্মের পরই প্রয়াত সদ্যোজাত! অবিবাহিত অভিনেত্রীর জীবনে কী ভাবে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা?

আইভিএফ প্রক্রিয়ার কষ্ট ও ব্যর্থতা

আইভিএফ প্রক্রিয়ায় প্রতিদিন পেটে ও উরুতে ইনজেকশন নিতে হয় যা শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যন্ত বেদনাদায়ক। প্রথম “পিক আপ” প্রক্রিয়া অর্থাৎ যেখানে মহিলার শরীর থেকে পরিপক্ব ডিম্বাণু সংগ্রহ করা হয় তিনি বুঝতে পারেন চিকিৎসক ঠিকভাবে দায়িত্ব নিচ্ছেন না। ভয়ংকর মুহূর্তের স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'পিক আপের দিন অ্যানেস্থেশিয়া দেওয়ার আগে ওঁরা বলল যদি জ্ঞান ফেরে তাহলে সেই দায় আমরা নেব না। তখনই প্রিন্স আর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমরা এটা করব না। ফলে আড়াই লাখ টাকাও বৃথা গেল।'

আরও পড়ুন 'আমি ভাবিনি IVF-এর পর...', চতুর্থ সন্তানের অপেক্ষায় জনপ্রিয় ইউটিউবার

নতুন চিকিৎসক ও নতুন আশা

পরবর্তীতে ইউভিকা আরেকজন চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর কাছ থেকে সঠিক পরামর্শ পান। শেষ পর্যন্ত চারবার “পিক আপ” করার পর ইউভিকা সফলভাবে গর্ভধারণে সক্ষম হন। আত্মবিশ্বাস ফেরানো এবং মা হতে সাহায্য করার জন্য দ্বিতীয় চিকিৎসককেই কৃতিত্ব দেন ইউভিকা। 

আরও পড়ুন IVF পদ্ধতিতে কোলে যমজ সন্তান, জন্মের পরই প্রয়াত অভিনেত্রীর ১ সদ্যোজাত!

Yuvika Chaudhary