The Zoya Factor movie cast: দুলকর সলমান, সোনম কাপুর, সঞ্জয় কাপুর, মনু ঋষি, অঙ্গদ বেদী, সিকন্দর খের, কোয়েল পুরী
The Zoya Factor movie director: অভিষেক শর্মা
The Zoya Factor movie rating: ২.৫/৫
লেখিকা অনুজা চৌহানের 'দ্য জোয়া ফ্যাক্টর' শীর্ষক উপন্যাসটি প্রকাশিত হয় ২০০৮ সালে। সেসময় এটিকে ভারতীয় 'চিক লিট' (সোজাসাপ্টা বলতে গেলে, কমবয়সী মহিলা এবং তাঁদের প্রেম কাহিনী নিয়ে লেখা গল্প)-এর অন্যতম নিদর্শন বলা হয়েছিল। উপাদান ছিল সবই - মেড ফর ইচ আদার পাত্রপাত্রী, প্রথম দেখায় ঝগড়া, সেখান থেকে প্রেম-হয়-কী-না-হয় নিয়ে উদ্বেগ, তারপর যাক বাবা প্রেম হওয়ার স্বস্তি, সবই ছিল। কিন্তু অনুজা চৌহান এর সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন ভারতীয় সমাজের কিছু অংশের প্রতি তাঁর অব্যর্থ, তির্যক কটাক্ষবাণ। তার ওপর পাত্রপাত্রীর মিষ্টি প্রেম ছিল তাজা, ফুরফুরে, একদম যথাযথ মাত্রায় ছিল সেক্সের পাঁচফোড়ন, এবং সবার ওপর ছিল হো হো করে হেসে ওঠার রসদ।
মনেই হয়েছিল, এ বই ছবি না হয়ে যায় না। অ্যাডভার্টাইজিং দুনিয়ায় নবাগতা, কোঁকড়াচুলো, কিঞ্চিৎ ক্যাবলা জোয়া সোলাঙ্কি এবং 'টল ডার্ক অ্যান্ড হ্যান্ডসাম' ক্রিকেটার নিখিল খোডাকে নিজেদের ঝকঝকে স্মার্ট প্রেমকাহিনী নিয়ে আপনার নিকটবর্তী রুপোলি পর্দায় আসতেই হতো।
আরও পড়ুন, বাবা সানি দেওল হলে ‘হিরো’ হতে বাধা কোথায়?
তা দশ বছর লেগে গেল। সমস্যা হলো, জোয়ার ভূমিকায় সোনম এবং নিখিলের ভূমিকায় দুলকরের নিঃসন্দেহে ভালো দেখতে জুটি সেই ম্যাজিক দেখাতে পারলেন কই? খুব মাঝেসাঝে একসঙ্গে মানায় তাঁদের, যেমন মাঝেসাঝে আনন্দ দেয় এই ছবি।
ছবির সর্বশ্রেষ্ঠ অংশগুলি অবুশ্যই দুলকরের ভাগে পড়ে, যদিও দেখতে দেখতে বারবার মনে হয়, আরেকটু যদি খুলে অভিনয় করতেন। তবু পরিশ্রমী ভারতীয় ক্রিকেট ক্যাপ্টেন নিখিলের চরিত্রটি বেশ ভালো ফুটিয়ে তোলেন তিনি, যাঁর জীবনে জোয়া আবির্ভূত হন গুগলির মতো, এবং রাতারাতি হয়ে ওঠেন টিমের ভাগ্য ফেরানোর কবচ।
একটু উড়নচণ্ডী, একটু খ্যাপাটে, কিন্তু আদ্যন্ত ভালোমানুষ গোছের চরিত্রে যে তিনি অত্যন্ত স্বচ্ছন্দ, তা 'খুবসুরত' ছবিতে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন সোনম। কিন্তু বর্তমান ছবিতে তাঁর নানারকম পাগলামি সত্ত্বেও আরও কিছু দেখতে মন চায়, কারণ জোয়ার আরও কিছু ছিল, বিশেষ করে যেখানে পর্দায় এতটা সময় জুড়ে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, এবার আসছে রানুর বায়োপিক, আইনি চুক্তিতে সই করলেন তিনি
পার্শ্বচরিত্রদের মধ্যে ধড়িবাজ ক্রিকেটকর্তা হিসেবে নজর কাড়েন ঋষি, নজর কাড়েন হিংসুটে টিভি অ্যাংকরের ভূমিকায় অভিনেত্রীও। ক্রিকেট টিমের কিছু সদস্যকেও মনে থাকে, বিশেষ করে এক কুসংস্কারাচ্ছন্ন বোলার এবং হরিয়ানার প্রায় দুর্বোধ্য হিন্দি বলা এক জাট ক্রিকেটারকে। কিন্তু একটি দৃশ্য বাদে জোয়ার ক্রিকেট-পাগল বাবা (কাপুর) এবং ভাই (খের) একেবারেই নিরামিষ। এমন কোনও দৃশ্য যদি খুঁজে পান, যেখানে জোয়াকে 'ঝাড়ু' বলে ডাকেন নি তাঁর 'ভাই', আমায় জানাবেন দয়া করে।
আরও পড়ুন, এমি অ্যাওয়ার্ডে মনোনীত সেক্রেড গেমস, রাধিকা আপ্তে
যে কোনও 'রম-কম' (রোম্যান্টিক কমেডি) ছবির ধর্মই হলো হালকা থাকা, কিন্তু এই ছবিটির বিশেষ করে হালকা থেকেও চার-ছক্কা হাঁকানোর প্রচুর সুযোগ ছিল। এক্ষেত্রে বাদ সেধেছে অনমনীয় চিত্রনাট্য। স্লগ ওভারের সংখ্যা যেন বড্ড বেশি।
শেষমেশ থেকে যাচ্ছেন সেই দুলকর, কখনও তীব্র, কখনও আবেগঘন। ছবিটার নাম 'দ্য ডিকিউ ফ্যাক্টর' হলে ভালো হতো বোধহয়।