Covid Vaccine India: ২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ফের একবার কোভিড-১৯ সংক্রমণের মুখোমুখি হয়েছে। কেরল, মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও তামিলনাড়ুতে সাম্প্রতিক সংক্রমণের ঘটনা বৃদ্ধির তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সংক্রমণ তেমন প্রভাবশালী নয়, তবে নতুন ভ্যারিয়েন্ট JN.1 নিয়ে বিশেষজ্ঞদের উদ্বেগ বেড়েছে।
JN.1 ঠিক কী?
JN.1 হল ওমিক্রনের একটি সাব ভেরিয়েন্ট। এটিতে প্রায় ৩০টি মিউটেশন রয়েছে। যার বেশিরভাগই স্পাইক প্রোটিন। এই স্পাইক প্রোটিন আমাদের শরীরের কোষে ভাইরাস প্রবেশে সহায়তা করে। এই পরিবর্তনগুলোর ফলে ভাইরাস আরও সংক্রমণযোগ্য হয়ে উঠেছে এবং পুরোনো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম হচ্ছে।
আরও পড়ুন- জল জীবন মিশনে টেন্ডার নিয়ম বদল, খরচ বাড়ল ১৬,০০০ কোটি টাকা! তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
টীকা কী করছে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীতে নেওয়া টিকার ফলে শরীরে এখনও "মেমোরি সেল" রয়ে গেছে। যা নতুন ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধেও প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে। "PLOS Pathogens" প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, মেমোরি টি সেল ও অ্যান্টিবডি ওমিক্রনকে ঠেকাতে সক্ষম।
আরও পড়ুন- কেন পাকিস্তানকে না জানিয়ে লাদেনকে হত্যা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, নেটফ্লিক্সের নতুন সিরিজে ফাঁস আসল কারণ
উপসর্গ কী?
JN.1-এর উপসর্গ মূলত হালকা। যেমন:
-
গলা ব্যথা
-
হালকা জ্বর
-
ফ্লুর মতো ক্লান্তি
-
সর্দি-কাশি
- অনেকের ক্ষেত্রে চোখ লাল হওয়া বা ব্যাকটেরিয়াল কনজাংকটিভাইটিসের মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন- সূর্যের প্রখর রোদের চেয়েও এবারের গ্রীষ্মে ভ্যাপসা ভাবটা বেশি, কারণটা কী?
কারা বেশি ঝুঁকিতে?
আরও পড়ুন- একবিংশ শতাব্দীর সেরা ১০টি অ্যালবাম, টেলর সুইফটকে ছাড়িয়ে শীর্ষে বিয়ন্সে!
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা কী?
-
জনবহুল স্থানে মাস্ক ব্যবহার করুন
-
নিয়মিত হাত ধুতে থাকুন
-
হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢাকুন
-
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও জল পান করুন
-
উপসর্গ থাকলে ঘরে থাকুন ও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
নতুন টিকা কি দরকার?
বর্তমান ব্যবহৃত কোভ্যাক্সিন বা কোভিশিল্ড পুরনো স্ট্রেইন-এর ওপর ভিত্তি করে তৈরি। নতুন mRNA-ভিত্তিক টিকা যেমন GEMCOVAC-১৯, JN.1-এর মত ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। তবে এই টিকা এখনও সংখ্যায় কম পাওয়া যাচ্ছে।