Jal jeevan mission: দেশজুড়ে জল জীবন মিশনে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। শুধু নীতি বদলেই ১৬,৮৩৯ কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ বাড়ানো হয়েছে বলে উঠেছে অভিযোগ। তদন্তে ধরা পড়েছে রাজ্যভিত্তিক ব্যয়ের ভয়ংকর পার্থক্য।
ভারতের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরে ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ২০১৯ সালে শুরু হয়েছে, 'জল জীবন মিশন'। তবে একটি ছোট্ট নীতিগত পরিবর্তনেই সৃষ্টি হয়েছে বড়সড় বিতর্ক— যেখানে অতিরিক্ত ১৬,৮৩৯ কোটি টাকা খরচ হয়েছে মাত্র ১৪,৫৮৬টি প্রকল্পে। The Indian Express-এর এক্সক্লুসিভ অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, ২০২২ সালের ২১ জুন, জল জীবন মিশনের টেন্ডার নিয়মে পরিবর্তনের পর থেকেই ব্যয় বেড়েছে বিপুল হারে। এই পরিবর্তনের ফলে 'টেন্ডার প্রিমিয়াম' নিষিদ্ধ তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। অর্থাৎ, অনুমোদিত খরচের তুলনায় বেশি দামে টেন্ডার গ্রহণ করার দরজা খুলে যায়।
আরও পড়ুন- কেন পাকিস্তানকে না জানিয়ে লাদেনকে হত্যা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র, নেটফ্লিক্সের নতুন সিরিজে ফাঁস আসল কারণ
কী বলছে তথ্য?
মোট ১,০৩,০৯৩টি প্রকল্পের মধ্যে ১৪,৫৮৬টির টেন্ডার মূল্য অনুমোদিত খরচের চেয়ে বেশি ছিল। এর মধ্যে ৬,৪৭০টি প্রকল্পে খরচ ১০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। মধ্যপ্রদেশে মাত্র ৫০৮টি প্রকল্পের টেন্ডার থাকলেও, খরচ বৃদ্ধির ৬৪ শতাংশ ওখানেই হয়েছে। ১৩টি প্রকল্পে অতিরিক্ত খরচের পরিমাণ ২৫০ কোটি টাকার বেশি, যার মধ্যে ৩টিতে খরচের সীমা ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন- সূর্যের প্রখর রোদের চেয়েও এবারের গ্রীষ্মে ভ্যাপসা ভাবটা বেশি, কারণটা কী?
কেন ঘটল এই খরচ বৃদ্ধি?
করোনা পরবর্তী সময়ে উপকরণ ও শ্রম খরচ বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় নিয়মে শিথিলতা এবং রাজ্যস্তরে স্বচ্ছতার অভাব এর পিছনে মুখ্য কারণ হিসেবে উঠে এসেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রের দাবি, রাজ্যগুলির দাবির ভিত্তিতে এই পরিবর্তন ঘটেছে।
আরও পড়ুন- একবিংশ শতাব্দীর সেরা ১০টি অ্যালবাম, টেলর সুইফটকে ছাড়িয়ে শীর্ষে বিয়ন্সে!
কেন্দ্রীয় তহবিল ছাঁটা হয়েছে
এই গোলমালের আঁচ পেয়ে ছাঁটা হয়েছে কেন্দ্রীয় তহবিলও। জলশক্তি মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত ২.৭৯ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়ার অনুরোধ করেছিল। কিন্তু, অর্থ মন্ত্রকের কমিটি মাত্র ১.৫১ লক্ষ কোটি টাকা অনুমোদনের সুপারিশ গ্রহণ করেছে। ফলে প্রকল্প বাস্তবায়নে বড়সড় চ্যালেঞ্জ দেখা দিতে পারে বলে একাংশের দাবি।
আরও পড়ুন- কানাডার প্রথম হিন্দু বিদেশমন্ত্রী অনিতা আনন্দ, নতুন মোড় নেবে ভারত-কানাডা সম্পর্ক?
কী হতে পারে ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ?
সরকার ইতিমধ্যেই ১০০টি তদন্তকারী দল পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। দেশের ১৩৫টি জেলায় তদন্তকারীরা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন। বিশেষ নজর দেওয়া হবে রাজ্যস্তরে টেন্ডার ব্যবস্থাপনা, অনুমোদন পদ্ধতি এবং প্রকল্প বাস্তবায়নের গুণগত মানে।